November 2019

বছর ঘুরে আবার শীতের আনাগোনা শুরু। খাবার দাবারের বেলাতেও যেমন নানা মুখরোচক পিঠা পায়েসের দেখা মিলে তেমনি নানা পদের সবজি থেকে শুরু করে ফলমূলের বাহার থাকে পুরো শীতজুড়ে। শীত মানেই যেন উৎসব। এসব ছাড়াও শীতের আরেকটি আকর্ষণ হচ্ছে শীতের সময়ের নানা ধরনের ডিজানের ফ্যাশনেবল পোশাক। গরম কাপড়, এ সময় রোদে দেয়ার সব চেয়ে উপযুক্ত সময়। যেহেতু শীতের কাপড় একটা লম্বা সময় পর্যন্ত গুছিয়ে রাখা হয় তাই তা নামিয়ে একটু ঝেরে মুছে নেয়া জরুরি।
শীতের আগে কাপড়ের যত্ন
সেই ক্ষেত্রে শীতের কাপড় যেমন শাল, চাদর, সোয়েটার রোদে রাখলে পরে তা বেশ ফুরফুরে আমেজে পরা যায়। অন্যদিকে যারা শীতের কাপড় ধুতে চাচ্ছেন তারা এসব পোশাক বাসায় না ধুয়ে ড্রাই ওয়াশে দিলে নষ্ট হওয়ার ভয় কম। তবে শাল বাসায় পরিষ্কার করে নিতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা পানি এসব পোশাক ধোয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত। ঠাণ্ডা পানি যেমন কাপড়ের রং নষ্ট করে না তেমনি কাপড়ের আয়তন বেড়ে যাওয়া কিংবা কাপড় নষ্ট হয়ে যাওয়া এসব বিড়ম্বনায় পড়তে হয় না।

এছাড়া শীতে ব্যবহৃত লেপ কিংবা কম্বল এ সময়ে রোদে দিতে পারেন। কানটুপি, মাফলার, হাত মোজা, পা মোজা এসব টুকিটাকি জিনিস ধুয়ে শুকিয়ে নিন। অতিরিক্ত রোদে দেবেন না। এতে কাপড়ের রং ঝলসে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অন্যদিকে কোট আর লেদারের কাপড়ের বেলায় তা লন্ড্রিতে দিয়ে আগে ভাগেই পরিষ্কার করিয়ে নিন যাতে পরবর্তিতে হাতের নাগালেই পেয়ে যান শীতের সময়।

এছাড়া শীতের আগে আগে শীতের কাপড় নতুন করে ভাঁজ করে হাতে নাগালে রাখুন। কাপড় রাখার তাক ঝেরে মুছে পরিষ্কার করে নিন। কম্বল বা লেপ প্রয়োজন মনে হলে বানিয়ে কিংবা ধুনিয়ে নিতে পারেন আগে ভাগেই, যাতে করে শীতের সময়টি আপনি উপভোগ করতে পারেন নিজের মনের মতন করে।
সব সাবান সব ত্বকের জন্য উপকারী নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকের পিএইচ স্তর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যার একটু কমবেশি হলেই ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাজারের সব ধরনের সাবানে পিএইচ স্তর থাকে নয় থেকে এগারোর মধ্যে, যা ত্বকের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তবে নিয়মিত ব্যবহারের জন্য হারবাল সাবান অনেকটাই উপকারী। কারণ এর মধ্যে থাকে ক্যামোমাইল, ল্যাভেন্ডার, পেপারমিন্ট, জইচূর্ণসহ আরও একাধিক প্রাকৃতিক প্রোডাক্ট। অলিভ তেল এবং মাখন ব্যবহার করা হয় এ ধরনের সাবান তৈরিতে, যা ত্বকের উপকারী। সাবানে অলিভ ওয়েল থাকলে তা আপনার অ্যান্টি এজিংয়েও সহায়তা করবে। এছাড়া গ্লিসারিন থাকলে ত্বক নরম রাখবে। অতএব ভেবে-চিন্তে সাবান ব্যবহার করা উচিত।

আপনার ত্বকে ভেষজ সাবান ব্যবহারের গুণাবলী

ত্বকের রোগ থেকে মুক্তি : অনেক সাবান রাসায়নিক এবং সুগন্ধযুক্ত হওয়ায় চামড়ার রোগ নিরাময় করতে সক্ষম হয় না। আপনার ত্বক যদি সংবেদনশীল হয় এবং ত্বকে আপনি বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হন তবে আপনার সাবানটি পরিবর্তন করা উচিত।

আপনি যদি ভেষজ সাবান ব্যবহার করেন তবে এটি ত্বকের অনেক রোগ নিরাময় করবে। ভেষজ সাবান দিয়ে কোনো ফুসকুড়ি, চুলকানি বা ত্বকের অন্যান্য অবস্থার কোনো সম্ভাবনা নেই।

পরিবেশের জন্য আরও ভালো : তবে ভেষজ সাবান পরিবেশবান্ধব। পরিবেশের জন্য হুমকি এমন কোনো উপাদান তাদের মধ্যে নেই।

চুলকানি : মানুষের ত্বক খুব সংবেদনশীল। আপনি যদি ভুল সাবান ব্যবহার করেন তবে এটি ত্বকে চুলকানি তৈরি করতে পারে যা বিরক্তিকর। চুলকানি থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে ভেষজ সাবান ব্যবহার শুরু করতে পারেন। বেশিরভাগ ভেষজ সাবান ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর এবং ত্বকে কোনো চুলকানি হয় না।

পুষ্টিকর : ভেষজ সাবানে প্রকৃতির প্রাকৃতিক মঙ্গল রয়েছে এবং এটি আপনার ত্বককে পুষ্টিকর করে তোলে। এটি আরাম, নিরাময় এবং স্ট্রেস রিলিফও সরবরাহ করে।

ভেষজ : উত্তেজনা থেকে মুক্তি এবং ভেষজ সাবানে নিরাময়ের শক্তি হিসেবে বৈশিষ্ট্যগুলোর কারণে, যারা মন, দেহ এবং চেতনা পুনরুজ্জীবিত করতে চাইছেন তাদের পক্ষে প্রচুর উপকারিতা রয়েছে।

ভেষজ সাবানের উপকারিতা : ভেষজ সাবান ১০০ শতাংশ জৈব এবং উদ্ভিদ নিষ্কাশনে গুরুত্বপূর্ণ তেল ধারণ করে।

হারবাল সাবানের ব্যবহার আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা এখন নিয়মিত হারবাল সাবান ব্যবহার করে থাকেন।

হেমন্তের মাঝামাঝিতে এসে শীতের পরশ পাওয়া যাচ্ছে শরীরে। এ সময় কিছুটা উষ্ণতা মন্দ লাগে না। শীত ঠেকানোর আয়োজন এখন আর শুধুই সেকেলে গরম পোশাকেই আবদ্ধ নেই। হালফ্যাশনে যুক্ত হয়েছে। নানা রকমের দৃষ্টিনন্দন পোশাক-আশাক আর দেহ আবরণ। ফ্যাশনে লেগেছে নতুনত্বের হাওয়া।
শীতের পোশাকে নতুন ফ্যাশন

তবে কেতা দুরস্ত পোশাক-আশাকের ভিন্নতার বিবেচনায় এখন ছেলেমেয়ে যে কারও জন্যই শীত শুধু গরম কাপড়ে শীত নিবারণ নয়, বরং কেতা দুরস্ত হয়ে ওঠারও অন্যতম উপলক্ষও। 


বছরজুড়ে যেসব স্টাইল কেবল চোখেই দেখেছেন, প্যাঁচ প্যাঁচে গরমের কারণে পরখ করে দেখা হয়ে ওঠেনি। এবার শীতে সেগুলোর দিকে দৃষ্টি ফেরাতে পারেন।

আমাদের দেশে বর্তমানে হাই স্ট্রিট বা হাই ফ্যাশনে আগ্রহীদের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। ওয়েস্টার্ন আউটফিট বা স্টাইলিশ আউটফিটে পঞ্চ, শ্রাগ, কেপ, ক্যাজুয়াল ব্লেজার, কটি, পাতলা শাল, সোয়েটার, টপসহ যে কোনো ডিজাইনের ‘আউটার উইন্টার’ অর্থাৎ অন্য পোশাকের ওপর পরার মতো আরেকটি পোশাক এখন ব্যাপক জনপ্রিয়। পশ্চিমা ট্রেন্ড মেনেই নকশা করা হচ্ছে এসবের, তবে কাপড়টা এ দেশের আবহাওয়া উপযোগী।

পঞ্চ ফ্যাশন

স্টাইলিশ আউটার উইন্টার হিসেবে পঞ্চ বরাবরই জনপ্রিয়। পঞ্চ সব বয়সে সবখানেই পরা যায়। একসময় পঞ্চ পাঁচকোনায় তৈরি হলেও এখন আর পঞ্চ শুধু পাঁচকোনায় আটকে নেই। চারকোনা, তিনকোনা, গোলাকার বিভিন্ন শেপে তৈরি হচ্ছে পঞ্চ। ফুল এবং পাতা প্রিন্টের উলেন পঞ্চ এখন বেশ জনপ্রিয়।

গলার কাটিং কখনও গোল, কখনও তিনকোনা হচ্ছে। আবার অনেক পঞ্চের কাঁধের দুই দিকে দুই টুকরা কাপড় রাখা হচ্ছে, যা মাফলারের মতো করে পেঁচিয়ে নেয়া যায়। সেলাইয়ের বদলে বোতাম ব্যবহার করেও পঞ্চে বৈচিত্র্য আনা হচ্ছে।

বেশ কয়েক বছর আগে যে পঞ্চগুলো দেখা যেত তা মূলত শাল কেটেই তৈরি করা হতো। এখন জর্জেট, লিনেন, সুতি, তাঁত, উলেন, খাদি কাপড়ে পঞ্চ তৈরি হচ্ছে। শাড়ি, টপস, লেগিংস, জিন্স, স্কার্ট, টি-শার্টসহ বিভিন্ন ধরনের ওয়েস্টার্ন পোশাকের ওপর পঞ্চ পরতে পারেন অনায়াসে।

কেপ কিংবা সোয়েট টপ

যে কোনো পোশাকের ওপর সিল্ক কিংবা জর্জেটের কেপ জুড়ে হালকা শীতে ছড়াতে পারেন উষ্ণতা। তাতেও যদি শীতটা বাধা না মানে তবে জড়াতে পারেন একটু ভারী কাপড়ের কেপ। বাজারে কোটের মতো কাটের কেপ জ্যাকেটও পাবেন। রাউন্ড নেক বা শেরোয়ানি কাটের কেপ এখন বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। হাতা ও প্যাটার্নে বৈচিত্র্য থাকছে কেপের ডিজাইনে ভিন্নতা আনতে। পাশাপাশি নেকে ব্যবহৃত বোতম বা জিপার দিয়ে তৈরি কেপও ফ্যাশনে এখন ইন। হালকা শীতে উষ্ণতা পেতে গায়ে চাপাতে পারেন গরম কাপড়ের তৈরি স্টাইলিশ ‘সোয়েট টপ’। সোয়েট টপ পোশাকের সামনে বড় শো-বোতাম, পাথরের কাজ বা চেইন ভিন্নতা আনে।

কটিতে কাটবে শীত

এখন সকাল-বিকাল কিছুটা শীতের দাপট দেখা গেলেও সারাদিন তেমন ঠাণ্ডার উপস্থিতি নেই। এ সময় চাদর বেশিক্ষণ পরে থাকা কষ্টকর। আবার সোয়েটারও কিছুক্ষণ পরে থাকলে অস্বস্তি লাগে। এক্ষেত্রে কটি হতে পারে চমৎকার একটি সমাধান।

সিল্ক, কাতান, খাদি, অ্যান্ডি, ধুপিয়ান, ব্রোকেড, তসরসহ একটু ভারী কাপড়ে তৈরি কটিতে শীতও মানবে জমকালো লুকও আসবে। আর জিন্সের তৈরি কটি ক্যাজুয়াল পোশাকের সঙ্গে রকিং লুক আনে। এসব কটির নিচের অংশে তিনকোনা কাটের ছাঁটের সঙ্গে দু’দিকে কাটা থাকছে। সালোয়ার-কামিজ, টপস, কুর্তির সঙ্গে ভালো লাগবে কটি।

শালে অমলিন

শাল এখন আর সেকেলে নেই। কারণ শালেও এখন প্রতিনিয়ত আসছে বৈচিত্র্য। ফ্যাশন এখন পাতলা শালের চল। পাতলা আর ছোট হওয়ায় ওড়নার মতোই এগুলো ব্যবহার করা যায়। আবার গরম লাগলে চট করে ভাঁজ করে তুলে রাখা যায় হ্যান্ডব্যাগে কিংবা শালটাকে স্কার্ফের মতো পেঁচিয়ে স্টাইলিশ ঢঙেও পরে নেয়া যায়।

কুমিল্লার খাদি, তাঁত, সিল্ক, নিট, উল, চায়নার পাতলা শালগুলোতে এখন সুতা, চুমকি, অ্যাম্ব্রয়ডারি, ব্লক প্রিন্ট, টাইডাই, স্ক্রিনপ্রিন্টসহ বিভিন্ন নকশা, ফলস কাপড়ের ব্যবহারে বৈচিত্র্য আনা হচ্ছে।

শীত পোশাকে অনুষঙ্গ

শীতের যে কোনো পোশাকের সঙ্গে বটম হিসেবে ছেলেমেয়ে সবাই সঙ্গী করতে পারেন জিন্স, ডেনিম কিংবা গ্যাবার্ডিন প্যান্ট। হালফ্যাশনে স্কিনি, ক্যাপ্রি, সেমিন্যারো, বুটকাট, স্ট্রেটকাট, ব্যাগিসহ বিভিন্ন ডিজাইনের জিন্স, ডেনিম পাওয়া যাচ্ছে বাজারে।

শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়দের তুলনায় অনেক কম। এ জন্য একটু অসাবধনতার কারণে শিশুদের অসুখ করে। তাই ছোট শিশুদের বেশি যত্নের প্রযোজন।
যেসব লক্ষণে বুঝবেন শিশুর পানিশূন্যতা, কী করবেন?
শিশুর খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে তার ওজন, সুস্থতার প্রতি নজর রাখতে হবে। আসুন জেনে নিই যেসব লক্ষণে বুঝবেন শিশুর পানিশূন্যতা-

১. শিশুর শরীরে পানির ঘাটতি হলে ঠোঁট ও মুখের চারপাশ শুকিয়ে যাবে।

২. পানিশূন্যতার কারণে মাঝেমধ্যে হাত ও পা অস্বাভাবিক রকম ঠাণ্ডা বা গরম হতে পারে।

৩. শিশু কান্না করলে যদি তার চোখ দিয়ে পানি না পড়ে, তা হলে বুঝতে হবে পানিশূন্যতা।

৪. শিশুর শরীরে পানির ঘাটতি হলে প্রসাব গাঢ় হলুদ রঙের হয়।

৫. দিনের বেশিরভাগ সময়ই সে ঘুমিয়ে যায়। শিশুর মধ্যে এ রকম লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কী করবেন?

পানিশূন্যতা রোধ করার জন্য খাবার স্যালাইন ও অন্যান্য তরল খাবার শিশুকে বারবার দিন। পানি, ভাতের মাড়, চিড়ার পানি, ডাবের পানি, টক দই, ঘোল, ফলের রস ও লবণ গুড়ের শরবত খেতে দিতে হবে।

শরীর থেকে যে পানি ও লবণ বের হয়ে যায় তা স্যালাইন পূরণ করে মাত্র, সঙ্গে অবশ্যই স্বাভাবিক খাবার দিতে হবে।

শিশুর বয়স ছয় মাসের কম হলে তাকে বারবার মায়ের দুধ খেতে দিন।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

বাড়তি ওজন নিয়ে যারা চিন্তায় থাকেন, তাদের জন্য ‘বুলেটপ্রুফ কফি’ অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কফি ওজন কমানো থেকে শুরু করে কর্মক্ষমতা বাড়াতে পান করা যেতে পারে।
ওজন কমাতে ‘বুলেটপ্রুফ কফি’
নিয়মিত ‍‌এই কফি পানে ক্ষুধা কম লাগবে। এর স্বাদ সাধারণ কফির চেয়ে বেশি।

কফি বানাতে যা লাগবে 

কফি গুঁড়া এক চা চামচ, কফিমেট ৩ চা চামচ, চিনি এক চা চামচ(ইচ্ছা) গরম পানি এক মগ। আধা চা চামচ মাখন ও ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল।

পদ্ধতি 

প্রথমে মগে কফি গুঁড়া নিয়ে সামান্য পানি দিয়ে বিট করে নিন। গরম পানিতে কফিমেট ভালো করে মিশিয়ে কফির মগে ঢেলে দিন। চিনি দিয়ে এবার মাখন এবং তেল মিশিয়ে নিলেই তৈরি হবে বুলেটপ্রুফ কফি।
সংসার জীবন হচ্ছে ভাঙাগড়ার খেলা। তবু যদি একটু মানিয়ে নেয়া যায়, এ ভরসায় বিয়ে করেন অনেকে। দাম্পত জীবনে যদি সুখী হতে চান, তবে অবশ্যই কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে।
যে ৭ ভুলে ভেঙে যেতে পারে বিয়ে
বিয়ে মানে একটি নতুন জীবনের শুরু। তাই আপনাকে অনেক কিছুই নতুন করে শুরু করতে হবে। বিয়ের পর বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়, না হলে এমনও হয় সাংসার ভেঙে যায়।

আসুন জেনে নিই যে ৭ ভুলে ভেঙে যেতে পারে সংসার-

শ্বশুরবাড়িতে মানিয়ে নেয়া বিয়ের পর দুজনেরই উচিত দুপক্ষের বাবা-মাকে সম্মান করা ও তাদের ইচ্ছেগুলোকে মর্যাদা দেয়া।

খরচের সঠিক হিসাব না রাখা সংসারে আর্থিক চাপটা দুজনকেই বুঝতে হবে। একজনের খরচ যেন অন্যজনের বোঝা হয়ে না দাঁড়ায় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

মন খুলে কথা বলা নিজেদের মধ্যে মন খুলে কথা বলুন। কোনো কিছু চাপিয়ে রাখবেন না, যা কিছু ঘটছে বা যা কিছু আপনি ভাবছেন, তা শেয়ার করুন আপনার জীবনসঙ্গীর সঙ্গে।

ঘরের কাজ জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ঘরের কাজগুলো ভাগ করে নিন। বিশেষ করে যারা চাকরিজীবী নারী, তাদের একার পক্ষে ঘরের সব কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই কাজ ভাগ করে নিন। যদি পরস্পরকে কাজে সাহায্য করেন, তা হলেই হয়ে উঠবেন আদর্শ দম্পতি।

ঋণ নিয়ে আলোচনা সংসার জীবনে স্বামী বা স্ত্রীর যদি কারও কাছে ঋণ থাকে, তা হলে তা অবশ্যই পার্টনারকে জানানো উচিত।

অতীত নিয়ে আলোচনা অতীতের কথা সঙ্গীকে না বলাই ভালো। তবে কিছু বিষয় রয়েছে, যা বলা যায় তাই বলুন। অতিরিক্ত কিছু না বলাই ভালো।

রাগ ধরে রাখা রাগ যদি দিনের পর দিন টেনে যেতে থাকেন, তা হলে কিন্তু সমস্যা তৈরি হতে পারে। ঝগড়া হলেও সেটি একদিনের বেশি ধরে রাখবেন না।

ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য চমৎকার এক বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে ট্রাভেল গাইড ‘লোনলি প্ল্যানেট’ ।

তারা বলছে, দশ দেশের ১০ শহরে আগামী বছরে ভ্রমণ করা উচিত। কী কারণে সেই ১০ শহরে ২০২০ সালে যাওয়া উচিত জানিয়ে তালিকাও প্রকাশ করেছে তারা।

 
চলুন দেখে নেই কোন কোন শহর রয়েছে সেই তালিকায়-

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি

আগামী বছর ওয়াশিংটনে নারীদের ভোটাধিকার প্রদানের শততম বার্ষিকী পালন করবে যুক্তরাষ্ট্র। ৯৯ বছর আগে সংবিধানে ‘উনিশতম সংশোধনীর’ মাধ্যমে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান করে দেশটি। এই উপলক্ষে অনেকগুলো বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে ওয়াশিংটর। পাশাপাশি পর্যটকদের উদ্দেশ্যে শহরটির পুনরুজ্জীবিত ‘ওয়াটারফ্রন্ট’ আর বৈচিত্র্যময় খাবারের আয়োজন রয়েছে সেখানে, যা হবে মনমুগ্ধকর। আর এসব উপভোগ করতে পর্যটকদের ২০২০ সালে বিদেশ ভ্রমণের তালিকায় ওয়াশিংটনকে রাখা অবশ্যই উচিত বলে মনে করছে ট্রাভেল গাইড ‘লোনলি প্ল্যানেট’।

অস্ট্রিয়ার সালৎসবুর্গ

ট্রাভেল গাইড ‘লোনলি প্ল্যানেট’ ইউরোপের সুরের দেশ অস্ট্রিয়ার সালৎসবুর্গ শহরটিকে ‘হৃদয় চুরি করা এক আলপাইন শহর’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। আগামী বছর সেখানে সালৎসবুর্গ উৎসবের শতবর্ষ পূর্তি পালিত হবে৷ এ উপলক্ষে শহরটির ঐতিহাসিক কেন্দ্রে নানা প্রদর্শনী এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। দেশটির স্থানীয় সংস্কৃতি আর সুরের মূর্ছনায় মুখরিত হয়ে উঠবে সালৎসবুর্গ। আর বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি উপভোগ করতে আগ্রহী এমন পর্যটকরা অবশ্যই সালৎসবুর্গ যাবেন বলে মনে করে ট্রাভেল গাইডটি।

মিসরের কায়রো

কায়রোকে জাদুঘরের শহর বলা হয়। পিরামিড আর প্রাচীন ঐতিহ্যের শহর কায়রো পর্যটকদের জন্য সবসময়ই আকর্ষণীয়। তবে এবার বিশেষ একটি কারণে কায়রোতে ঘুরে আসতে বলেছ ট্রাভেল গাইড লোনলি প্ল্যানেট। তারা জানিয়েছে, আগামী বছর কায়রোর বিখ্যাত ‘গ্রান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম’ পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। আর সেখানে স্থায়ীভাবে রহস্যময়ী ফারাও রাজা তুতানখামুনের সমাধিস্থ ধন-সম্পদ প্রদর্শন করা হবে। জানা গেছে, মিশরের অন্যান্য শহর থেকে এই শহর এবং সংলগ্ন পিরামিডগুলো ভ্রমণ করাও সহজ হবে, কেননা সেখানে নতুন একটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরও চালু করা হচ্ছে। তাই ২০২০ সালে কায়রো যে পর্যটকের আনাগোনায় মুখরিত থাকবে তা অনুমান করা যাচ্ছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই

কি না আছে বিশ্বের ধনী শহরের তালিকায় থাকা দুবাই শহের। এ শহরের বর্ণিল সব আয়োজন সবসময়ই পর্যটকদের আকর্ষণ করে। তবে ২০২০ সালে দুবাই সাজবে ভিন্ন রঙে। আগামী বছর দুবাইতে বেশি কয়েকটি বড় প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে। এর মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে ছয়মাসব্যাপী এক বিশ্ব বাণিজ্যমেলা, যেখানে বিশ্বের ১৯০টি দেশ স্থায়িত্ব এবং গতিশীলতার নানা মডেল উপস্থাপন করবে। আর সেখান থেকে মাত্র দুই মাইল দূরে সমুদ্র উপকূলে এক কৃত্রিম দ্বীপে ইউরোপীয় থিমে তৈরি ফ্যান্টাসি রিসোর্টও পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

আয়ারল্যান্ডের গ্যালওয়ে

বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতিপ্রেমীদের জন্য ২০২০ সালের পুরোটাই রেখে দিয়েছে আয়ারল্যান্ডের গ্যালওয়ে শহর। ২০২০ সালে এই শহর হবে ইউরোপের একটি সাংস্কৃতিক রাজধানী। ফলে সারা বছরই সেখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হবে। তাই আগামী বছরে আয়ারল্যান্ডে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা গ্যালওয়ে না গেলে বড় ভুলই করবেন। লোনলি প্ল্যানেটের ভাষায় ‘উজ্জ্বলভাবে বোহেমিয়ান’ শহর গ্যালওয়ে চমৎকার সব পানশালার জন্য বিখ্যাত। তাই এ শহর পর্যটকদের জন্য বিশেষ আর্কষণও।

জার্মানির বন

রাজধানীর মর্যাদা হারানোর পর বন অনেক মানুষের ভ্রমণের তালিকা থেকে হারিয়ে গেছে। তবে আগামী বছর শহরটির প্রতি মানুষের আগ্রহ আবারো বাড়বে। বনে জন্ম নেয়া সুরস্রষ্টা লুডভিগ ফান বেটোফেনের ২৫০তম জন্মবার্ষিকী বড় করে পালন করার উদ্যোগ নিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ। তবে, বেটোফোনের বাড়ি ঘুরে দেখা ছাড়াও রাইন নদীর পাড় ধরে ঘুরে বেড়াতেও পছন্দ করেন অনেক পর্যটক।

কানাডার ভ্যানকুভার

সমুদ্র এবং পাহাড়ের মাঝখানে থাকা ভ্যানকুভ্যার শহরও বেশ পরিবেশবান্ধব। গ্রিনপিসের জন্মস্থানে সাইকেল চালানো এবং হাঁটার জন্য রয়েছে বিস্তৃত সড়ক নেটওয়ার্ক।

ফেসবুকের মালিকানাধীন বার্তা আদানপ্রদানকারী অ্যাপ হোয়াসটঅ্যাপের কঠোর সমালোচনা করেছেন টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা পাভেল দুরোভ। একে মুছে ফেলার আহ্বানও জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ব্যবহারকারীদের লাখো লাখো ব্যবহারকারীদের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। একে তিনি পরিষ্কার ভাষায় 'ট্রোজান হর্স' বা 'ট্রয়ের ঘোড়া' হিসেবে চিহ্নিত করেন।
ফেসবুকের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ হচ্ছে ট্'রয়ের ঘোড়া' 
ট্রয়ের ঘোড়া বলতে ট্রয় বা ইলিয়ন নগরের পতনের বিখ্যাত গ্রিক উপকথার সংগে জড়িত কাঠের ঘোড়াকে বোঝানো হয়। কথিত আছে, গ্রিকরা একটি অতিকায় কাঠের ঘোড়া তৈরি করে তার ভিতরে কিছু সেনা লুকিয়ে রেখে ঘোড়াটা ট্রয় নগরের কাছে এনে দাঁড় করায়। ট্রয়বাসীরা ঘোড়াটাকে শহরের ভিতরে নিয়ে আসে; রাতে সেনারা ঘোড়ার ভিতর থেকে বের হয়ে নগরের দরজা খুলে দেয় এবং গ্রিকরা নগরে ঢুকে তা অনায়াসেই দখল করে।

টেলিগ্রাম চ্যানেল প্রকাশিত বিশাল এক নিবন্ধে পাভেল দুরোভ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে আলোকপাত করেন। কোনও রকম লুকোচুরি আশ্রয় না নিয়েই হোয়াটসঅ্যাপকে মুছে ফেলার সরাসরি আহ্বান জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষায় ফেসবুকের দীর্ঘ ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

২০১৪ সাল থেকে ফেসবুকের মালিকানাধীন রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ সে কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি ব্যবহারকারীদের বার্তার গোপনীয়তা রক্ষাই কেবল ব্যর্থ হয় নি। বরং হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে জড়িত নয় ব্যবহারকারীদের এমন ছবি এবং বার্তার ওপর আড়ি পাততে 'ট্রোজান হর্সে'র কাজ করছে হোয়াটসঅ্যাপ।

সম্প্রতি ফাঁস হওয়া হোয়াটসঅ্যাপের আরেকটি কথিত 'দুর্বলতার' কথাও তুলে ধরেন তিনি। এ 'দুর্বলতাকে' কাজে লাগিয়ে হ্যাকাররা বিশেষ ভাবে তৈরি এমপিথ্রি ফাইল পাঠাতে পারে। আর এর মধ্য দিয়ে অ্যানরয়েড বা আইওএস ব্যবহারকারীদের সব তথ্যের ওপর আড়ি পাতা সম্ভব হয়।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের তৈরি পেগাসাস নামের অ্যাপের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপে গোয়েন্দাগিরি চালানোর খবর সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া, সৌদি ভিন্নমতালম্বী সাংবাদিক জামাল খাসোগীর বিরুদ্ধে একই অ্যাপ ব্যবহার হয়েছে বলেও খবর প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানে শীর্ষস্থানীয় সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাসহ বিশিষ্টজনদের ওপর নজরদারির চালানো হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে।

নিজেকে আকর্ষণীয় করতে অনেক পুরুষই নিয়মিত জিমে যান। অনেক মহিলাই পুরুষদের একটু মেদহীন চেহারা পছন্দ করেন। কিন্তু বর্তমানে অনেকটাই বদলে যাচ্ছে সেই ভাবনা। অনেক নারীপুরুষ সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশি সুঠাম চেহারা পছন্দ করছেন না। মেদ আছে এমন পুরুষদের প্রতিই বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন নারীরা। এমনটাই বলছে সমীক্ষা।


ইউনিভার্সিটি অফ মিসৌরির একটি সমীক্ষা অনুযায়ী সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে অল্প মেদ আছে এমন পুরুষদেরই বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে করেন বেশিরভাগ মহিলা। হালকা গোলগাল ও সাধারণ চেহারার মধ্যেই নিরাপত্তা খুঁজে পান তারা। গবেষকদের মতে, বেশি সুঠাম দেহের পুরুষ সঙ্গীকে নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগতে পারেন কেউ কেউ। সেই কারণেই একটু গোলগাল চেহারাই পছন্দ তাদের।

জিম করা সুঠাম দেহ রাখার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত ওয়ার্ক আউট ও পরিমিত ডায়েট। সিনেমার পর্দায় অভিনেতারা সেই দেহ পেতে কড়া নিয়মের মধ্যে জীবনযাপন করেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে পুরুষ সঙ্গী যদি এতটাই নিয়ম মেনে চলতে থাকেন, সেক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়ে সম্পর্কে। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া নারীদের দাবি, "এটা খাব না, সেটা খাব না, মোটা হয়ে যাব... এই ধরনের কথা বলা পুরুষের থেকে অল্প মোটা পুরুষই ভাল।" তবে এর পেছনে বিবর্তন ও যুগেরও প্রভাব আছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। অল্প মোটা দেহকে মেয়েরা কেন এখন বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে, তার পেছনে রয়েছে ব্যাখ্যা। অল্প স্থুল পুরুষদের কাজের প্রতি বেশি মনযোগী বলে মনে করেন নারীরা। পরিবারকেও বেশি সময় দেন বলে মনে করা হয়। সেক্ষেত্রে সামাজিকভাবে বেশি নিরাপদ বোধ করেন তারা।

নিজের বডি ইমেজ নিয়ে চিন্তিত নারীরা একটু ভুঁড়িওয়ালা পুরুষই পছন্দ করেন। এর একটা বড় কারণ মোটা পুরুষদের পাশে বেশি রোগা লাগে নারীদের। আর সেই কারণেই পুরুষরা একটু মেদ হলেই তারা বেশি আত্মবিশ্বাসী মনে করেন।

বদর যুদ্ধে উভয় বাহিনী পরস্পরের মুখোমুখি হয় এবং যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এ সময় মুসলমানদেরকে লক্ষ্য করে রাসুল [সা] বলেন- এগিয়ে যাও সেই জান্নাতের দিকে যার প্রশস্ততা আকাশ-জমিন বরাবর।
বদর যুদ্ধে ইসলামের প্রথম শহিদ হয়েছেন যিনি!

রাসুল [সা]-এর জবান মুবারকে এ কথা উচ্চারিত হতেই হজরত উমায়র ইবনে হুমাম আনসারি [রা] বললেন- হে আল্লাহর রাসুল, সেই জান্নাত কি আকাশ ও পৃথিবী বরাবর? রাসুল [সা] বললেন- হ্যাঁ! এতে উমায়র [রা] বলে উঠলেন- বাহ! বাহ! রাসুল [সা]তখন তাকে লক্ষ্য করে বললেন- এ তুমি কী বলছ? উমায়র রা. বললেন- হে আল্লাহর রাসুল, না, অন্য কিছু নয়। আমি এই ধারণার বশে বলছি যাতে এই জান্নাত আমার ভাগ্যে জুটে যায়। রাসুল [সা] বললেন- হ্যাঁ, হ্যাঁ, তুমি এই জান্নাত লাভ করবে। 

এরপর উমায়র [রা] তার তূণীর থেকে কিছু খেজুর বের করলেন এবং খেতে লাগলেন। এরপর হঠাৎ করেই বলে উঠলেন- যদি আমি এই খেজুরগুলো শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করি তাহলে অনেক বেশি দেরী হয়ে যাবে। এতক্ষণ বেঁচে থাকার মত ধৈর্য আমার নেই। এই বলে বাকি খেজুরগুলো তিনি ছুঁড়ে ফেলে দিলেন এবং যুদ্ধের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়লেন এবং শহিদ হয়ে গেলেন। বদর যুদ্ধে তিনিই ছিলেন প্রথম শহিদ। (নবিয়ে রহমত)

বাদুররা আসতানা ছেড়ে সবসময় বাম দিকে উড়াল দেয় 
☆ বাদুররা আসতানা ছেড়ে সবসময় বাম দিকে উড়াল দেয় । 

☆ চিতাবাঘ কিন্তু সিংহের মতো গর্জন দেয় না, অনেকটা বিড়ালের মতোই ডাকে।

☆ প্রজাপতির ইংরেজি আসল নাম ছিলো ফ্লুটারবাই, বাটারফ্লাই নয়।

☆ বই এর ইংরেজি শব্দ বুক এসেছে ল্যাটিন শব্দ লিবার থেকে ।

☆ একসময় চাইনিজরা কাগজ বানাতে রেশমি সুতা ব্যবহার করত ।

☆  নীল তিমি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণী । এর জিহ্বা একটা হাতির মতো লম্বা এবং এর হৃদযন্ত্র একটা গাড়ির সমান ।

☆ পানি ছাড়া ইদুর উটের তুলনায় বেশিক্ষন টিকতে সক্ষম ।

☆ আমরা যেসকল পোকাকে আলোর প্রতি আকৃষ্ট বলে মনে করি, প্রকৃতপক্ষে ব্যাপারটি তা নয়, এসব পোকা আসলে বাল্বের অন্ধকারতম জায়গাটির খোঁজ করতে থাকে।

☆  বাদুর প্রায় ৯০০ ধরনের হয়ে থাকে, তাদের মধ্যে রক্তচোষা বাদুরের দাত সবচেয়ে কম।

☆ প্রায় শত বছর আগে চিনারা রকেট তৈরি করে , যা দেখতে তীরের মতো ।

☆  প্রথম চাকা তৈরি করে সুমেরীয়রা, ৩৪৫০ বি.সি । প্রথম লেখার ও আবিস্কার করে সুমেরীয়রা ।

☆  দাবা খেলাটি ভারতে আবিস্কৃত হয় ।

☆ চিঠিতে জিপ কোডের ব্যবহার আমেরিকার ডাকবিভাগের দ্বারা শুরু হয় ১৯৬৩ সালে ।

☆ হাঙরের চামড়াকে একসময় সিরিশ কাগজ হিসেবে ব্যবহার করা হতো ।

☆ শোওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই ঘুমানোর অর্থ হলো আপনার ঘুমের ঘাটতি আছে । ১০-১৫ মিনিট হলে অবশ্য তা ঠিক আছে ।

☆ পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের মাত্র ১১% (প্রায়) খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহার হয় ।
ঢাকাসহ দেশের ১৯টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে আইরিন অভিনীত ছবি ‘পদ্মার প্রেম’। ছবিটি নিয়ে শনিবার বিকেলে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

ছবিটি নীরবেই মুক্তি পেল কেন? এ প্রশ্ন আমারও। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কেন এমনটা করল, জানি না। খুবই দুঃখজনক। ভালো একটা ছবি, দর্শকেরা হয়তো আগ্রহ নিয়ে দেখতেন।

ছবিটি দর্শক কেন দেখবে? গল্পই এই ছবির শক্তিশালী দিক। শুক্রবার মধুমিতা হলে ছবিটি দেখলাম। হাউসফুল হয়নি, তবে দর্শকের উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল। চিত্রনাট্য পড়ে যা ভেবেছিলাম, তার চেয়ে অনেক ভালোভাবে ছবিটি তৈরি হয়েছে। কিছু কারিগরি ত্রুটি আছে, সেটাকে আমি খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি না।

ছবির নায়ক সুমিত, চলচ্চিত্রে নতুন। আমরা দুজনই নতুন, সে হিসেবে ছবিটি অনেক চ্যালেঞ্জিং। দর্শকদেরও আমাদের মতো নতুনদের পুরোনো হতে সুযোগ দিতে হবে। যাঁরা প্রেক্ষাগৃহে বসে সিনেমাটি উপভোগ করতে চান, তাঁরা এ ছবি দেখে প্রতারিত হবেন না।

ওয়েব সিরিজের খবর কী? করছি, তবে ছবিতে জোর দিচ্ছি বেশি। সামনে কাউন্টডাউন নামে ভারতীয় একটি সিনেমার কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। তিনজন নারীর গল্প নিয়ে ছবিটি।

মুক্তির অপেক্ষায় কী কী আছে... রৌদ্রছায়া, গন্তব্য, সেইভ লাইফ–এর শুটিং শেষ, মুক্তির অপেক্ষায়। আহা রে জীবন, ভোলা ও পার্টনার ছবির কাজ বাকি আছে।
অনেক মেয়েই হাই হিলের জুতা পরতে পছন্দ করেন। তবে এমন জুতার অধিকাংশই আরামদায়ক নয়, দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আমরা যখন হাই হিলের জুতা পরি, তখন মেরুদণ্ডের আকৃতির স্বাভাবিক বিন্যাস বজায় থাকে না। শরীরের অধিকাংশ ওজন তখন পায়ের গোড়ালি দিয়ে না গিয়ে পায়ের পাতার সামনের দিকে স্থানান্তরিত হয়। ফলে পায়ের পাতার সামনের অংশ এবং আঙুলে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। হাই হিলের জুতা পরলে শরীর অনেকটা সামনের দিকে ঝুঁকে যায়। বিশেষ করে কোমর ও হাঁটু বেশি ঝুঁকে যায়। এ জন্য কোমর ব্যথাসহ অন্যান্য শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

যেসব জটিলতা দেখা দিতে পারে পায়ের গোড়ালি ব্যথা, পা মচকানো, পায়ের আঙুলে ব্যথা, কাফ মাসল শক্ত হওয়া, পায়ের রগে টান লাগা, মাংসপেশি বা রগ শক্ত হয়ে যাওয়া, হাঁটু ও কোমর ব্যথা, চলাফেরার ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে মেরুদণ্ডের ওপর অতিরিক্ত চাপ থেকে ঘাড় ব্যথাও হতে পারে।

করণীয় ■ দীর্ঘ সময়ের জন্য খুব উঁচু হিলের জুতা পরার অভ্যাস ত্যাগ করুন। নরম স্লিপার বা আরামদায়ক জুতা পরলে ভালো। যদি পরতেই হয় তবে প্রয়োজনে হিল কুশন বা কৃত্রিম আর্চসমৃদ্ধ জুতা পরতে পারেন। অনুষ্ঠান বা কোনো উৎসব ছাড়া বেশি হাঁটতে হয় এমন স্থানে এ ধরনের জুতা না পরাই ভালো।

■ উঁচু হিল ব্যবহারের পর পায়ে যদি ব্যথা থাকে, তবে কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট অথবা যে জায়গায় ব্যথা হবে সেখানে ১০-১৫ মিনিট নরম কাপড়ে বরফ রেখে ম্যাসাজ করুন। কিছু স্ট্রেচিং ও স্ট্রেনদেনিং ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনার হাঁটু ও পায়ের গোড়ালির মাংসপেশিকে শক্তিশালী করুন। যেমন:

ক বিছানায় সোজা হয়ে বসে একটি তোয়ালে দিয়ে পায়ের পাতা সামনের দিকে টানুন এবং ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। এটি ১০-১৫ বার করে দিনে ২-৩ বেলা করুন।

খ একটি দেয়ালের সামনে বৃদ্ধাঙ্গুলের ওপর ভর করে দাঁড়ান এবং ২০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। এটি ১০-১৫ বার করে প্রতিদিন ২-৩ বেলা করুন। এরপরও যদি ব্যথা থাকে তবে আপনি একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন।

তেঁতুল যেমন লোভনীয় স্বাদের একটি ফল। এটির অনেক গুণ রয়েছে। তেতুল ওবেসিটি কমিয়ে ঝরঝরে রাখে। এছাড়া হৃদস্পন্দন নিয়মিত রেখে হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়। প্রতিদিন পাতে একটু তেঁতুল মানেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যায়। এছাড়াও ভিটামিন সি, ই, বি ছাড়াও তেঁতুলে পাবেন ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ আর ফাইবার। আর রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সব মিলিয়ে তেতুল স্বাস্থ্যের জন্য মঙ্গল।

১. তেঁতুলের এর মধ্যে থাকা হাইড্রোসিট্রিক অ্যাসিড শরীর থেকে ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।

২. ক্যান্সার রোধে তেঁতুল অপ্রতিরোধ্য। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আর টার্টারিক অ্যাসিড প্রচুর রয়েছে। যা ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।

৩. সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস কমায়। কার্বোহাইড্রেট তৈরি হতে দেয় না রক্তে। এর জন্য সকালে খালিপেটে তেঁতুলের রস খেতে পারেন সুগারের রোগীরা।

৪. তেঁতুলের গুণে লিভারের সমস্ত সমস্যা গায়েব। হজম হয় দ্রুত। ওজন ধরে ঝটপট।

৫. তেকুলের এর মধ্যে থাকা আয়রন আর পটাশিয়াম লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৬. বিছে কামড়ানোর ব্যথা-জ্বালা কমায় তেঁতুলের রস।

সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বিপদে পড়েছেন বাড়ির গৃহিনীরা। সাধ থাকলেও হয়তো অনেক সময় ভালো কিছু রেঁধে খাওয়াতে পারছেন না প্রিয়জনদের। সাধ্যে কুলাচ্ছে না পেঁয়াজের যথেচ্ছ ব্যবহার।

অনেকেরই ধারণা, পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া মাছ-মাংস রান্না করা একদমই অসম্ভব। কিন্তু সে ধারণা ঠিক নয়। আজকের রেসিপিতে থাকছে পেঁয়াজ-রসুন ছাড়াই মাংস রান্নার সমাধান।
‘কাশ্মীরি মাটন’ ভোজনরসিকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই রেসিপিটিকে ‘মাটন রোগানজোস’-ও বলা হয়। কাশ্মীরি মশলা ও মরিচের ঝাঁজে রেসিপিটি তৈরি হবে পেঁয়াজ রসুন ছাড়াই।
কাশ্মীরি এই পদটির আগমন মোগলদের হাত ধরে। গরম ভাত বা নানের সঙ্গে লা-জবাব এই রেসিপি।
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক রেসিপিটি:

উপকরণ:
মাটন ১ কেজি
সরিষার তেল ৪ টেবিল চামচ
ছোট এলাচ ৪/৫ টি
দারচিনি ২/৩ টি
লবঙ্গ ৫/৬ টি
বড় এলাচ ২টি
তেজপাতা ২/৩ টি
টকদই ১ কাপ
হিং ১ চা চামচ
কাশ্মীরি মরিচ গুড়া ২ টেবিল চামচ
শুকনা মরিচ গুড়া ১ টেবিল চামচ
মৌরি গুড়া ১ টেবিল চামচ
শুকনা আদা গুড়া ১ টেবিল চামচ
ধনে গুড়া ১ টেবিল চামচ
লবণ স্বাদ মতো
গরম মশলা গুড়া ১ টেবিল চামচ
রতনযোগ পরিমাণ মতো (রংয়ের জন্য)

প্রণালী:
প্রেসার কুকারে সরিষার তেল ঢেলে ধোঁয়া ওঠা পর্যন্ত গরম করুন। তারপর কুকারটি গ্যাস থেকে নামিয়ে রেখে সমস্ত গোটা মশলার ফোড়ন দিন।
পুনরায় কুকারটি গ্যাসে চড়ান। এরপর সেদ্ধ করে রাখা মাটন দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। মাটন হালকা ভাজা হয়ে গেলে তাতে ফেটানো টক দই দিন।
এরপর একে একে সব গুঁড়া মশলা যোগ করে অল্প আঁচে ভাল করে কষান।
মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে তাতে গরম পানি মিশিয়ে নাড়াচাড়া করুন।
স্বাদ মতো লবণ দিন।
গ্রেভির লাল রঙের জন্য যোগ করুন পরিমাণ মতো রতনযোগ।
প্রেসার কুকারের ঢাকনা দিয়ে ৩ থেকে ৪ সিটি ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
সবশেষে গরম মশলার গুঁড়া মিশিয়ে নামিয়ে নিন।
ব্যাস, তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু কাশ্মীরি মাটন। গরম ভাত, পরোটা বা নানরুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন।
রেসিপিটি গরুর মাংস, মুরগি বা মাছ দিয়েও ট্রাই করতে পারেন।

মিষ্টির দোকানগুলোতে সাধারণত দুধের সানা দিয়ে তৈরি করা হয় রসগোল্লা। বাসায়ও অনেকে এটি তৈরি করে থাকেন। তবে ছানা তৈরি কিছুটা ঝামেলার এবং সময়সাপেক্ষ হওয়ায় বাসায় রসগোল্লা তৈরির ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে চান না অনেকে। কিন্তু আপনি চাইলে সুজি দিয় বাসায় বসে সহজেই তৈরি করে ফেলতে পারেন মজাদার রসগোল্লা।

উপকরণ: 

দুধ, ঘি, চিনি, সুজি, পানি।

পদ্ধতি: মিডিয়াম আচে চুলায় একটা প্যান বসান। তাতে দিয়ে দিন দুই কাপ পরিমাণ (আপনার চাহিদা অনুযায়ী দিতে পারেন) লিকুইড দুধ। ফুলক্রিম দুধ হলে ভালো হয়। দুধটা হালকা ফুটে উঠলে এক চা চামচ ঘি এবং আধা কাপ চিনি দিয়ে দিতে হবে। দুয়েক মিনিট ভালোভাবে নেড়ে চিনি এবং ঘি দুধের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। চিনিটা গলে দুধটা হালকা ফুটে উঠলে তার মধ্যে সুজি দিয়ে দিন। একবারে ঢেলে দেয়া যাবে না। অল্প অল্প করে ঢালতে হবে এবং অনবরত নাড়তে হবে। তাহলে দুধের মধ্যে সুজিগুলো দলা বেঁধে যাবে না। এরপর চুলার আঁচ মিডিয়াম লো করে দিয়ে অনবরত নাড়াচাড়া করে ভালোভাবে জাল দিয়ে নিতে হবে। এরমধ্যে একটু এলাচের গুড়া বা আস্ত এলাচ দিয়ে দিতে পারেন।

অনবরত নাড়তে নাড়তে এটা আঠালো ভাব হয়ে আসলে এবং প্যানের গা ছেড়ে দেয়ার মতো হয়ে আসলে বুঝতে হবে ডো তৈরি হয়ে গেছে। এবার চুলা অফ করে নামিয়ে নিন। এটাকে একটু ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। গরম অবস্থায় মিষ্টিগুলো তৈরি করা যাবে না।


চিনির শিরা তৈরি: চুলায় একটি প্যানে দুই কাপ পরিমাণ পানির মধ্যে এক কাপ পরিমাণ চিনি দিয়ে দিতে হবে। পানির সঙ্গে নেড়েচেড়ে চিনিটাকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। একটু বলক উঠলেই চুলার আচ একেবারে কমিয়ে রেখে দিতে হবে।

গোল্লা তৈরি: আগে থেকে বানিয়ে রাখা ডো-টা ঠাণ্ডা হয়ে গেলে দুই হাতে একটু তেল বা ঘি মেখে নিয়ে ডো দিয়ে বলের মতো তৈরি করে নিতে হবে। বলগুলোর সাইজ আপনার পছন্দমতো করতে পারেন।

এরপর চুলায় আলতো আচে ফুটতে থাকা চিনির শিরার মধ্যে গোল্লাগুলোকে দিয়ে দিতে হবে। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৭-৮ মিনিট জাল করিয়ে নিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে ঢাকনা খোলা যাবে না। এরমধ্যেই মিষ্টিগুলো কিছুটা ফুলে নরম হয়ে যাবে।

এবার চুলাটি বন্ধ করে মিষ্টিগুলোকে প্যান থেকে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

মিষ্টিপ্রেমীদের কাছে পছন্দের একটি নাম ছানার সন্দেশ। খুব সহজেই এটি তৈরা করা যায় এবং খেতেও সুস্বাদু বলে অনেকেই বাড়িতে তৈরি করেন ছানার সন্দেশ। রেসিপি জানা থাকলে তৈরি করতে পারেন আপনিও।

বিভিন্নরকম পদ্ধতিতে সন্দেশ তৈরি করা যায়। আজকের রেসিপিতে দেখুন ভাপা সন্দেশ তৈরির পদ্ধতি।

ছানার উপকরণ:
গরুর দুধ আধা কেজি, লেবু রস বা ভিনেগার হাফ কাপ।

ছানা বানানোর প্রণালী:
দুধ চুলায় দিয়ে জ্বাল দিতে হবে।
দুধ ফুটে উঠলে চুলা থেকে নামিয়ে কিছুক্ষণ পর লেবু রস বা ভিনেগার দিয়ে দেন।
যতক্ষণ দুধ ও ছানা আলাদা হয়ে সবুজ আভা দেখা না যায় ততক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। কিছুক্ষণ পর ছানা ভালো করে ধুয়ে পাতলা সুতি কাপড়ে ঝুলিয়ে রাখতে হবে পানি ঝরার জন্য। ছানার পানি ঝরে গেলে একটি বাটিতে ছানা তুলে রাখতে হবে।

সন্দেশ বানানোর উপকরণ:
১৫০ গ্রাম শুকনো ছানা ৮০ গ্রাম গুঁড়ো চিনি ৫০ গ্রাম ক্ষীর সামান্য জ়াফরান ২টা কলাপাতা ৫টি পেস্তা ২০ গ্রাম ভাঙা কাজু আধা চা চামচ গোলাপজল

পদ্ধতি:
ছানা আর ক্ষীরটা খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে একটা বাটিতে রাখুন। এবার একে একে চিনি, কাজু, গোলাপজলটাও মিশিয়ে দিন এর মধ্যে। মিশ্রণটাকে ৮ ভাগে ভাগ করুন, খুব পাতলা হয়ে গেলে সামান্য ময়দা মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে মিষ্টিতে ময়দা মেশানোর সময় খুব সাবধান, মাপের এদিক-ওদিক হলে কিন্তু স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে। প্রতিটি ভাগকে চৌকো আকার দিয়ে কলাপাতায় মুড়ে নিন। 

মোড়ার আগে কলাপাতাটা একটু সেঁকে নিলে মুড়তে সুবিধে হবে। কলাপাতাটা বেঁধে নিন সুতো দিয়ে, তা না হলে সন্দেশ বেরিয়ে আসবে। রঙের জন্য এক সুতো করে জ়াফরান দিতে পারেন সন্দেশের উপর। এবার মাঝারি আঁচে ৪/৫ মিনিট ভাপিয়ে নিলেই রেডি আপনার ভাপা সন্দেশ। ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।

এই রেসিপি খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এবং বানাতেও সময় লাগে খুবই কম। খুব কম সময়ে এই পুষ্টিকর খাবারটি বানাতে পারবেন।

প্রয়োজনীয় উপকরণ:
ছোলা ৫০ গ্রাম, টমেটো ১/২টা, আলু সেদ্ধ, পেয়াজ টুকরো করা, রসুন, মরিচগুড়ো ১ চামচ, কাঁচামরিচ ১টা, লবণ স্বাদমতো, চাট মশলা ১ চামচ, পুদিনা পাতা কুচি ১ চামচ, তিল ২ চামচ, লেবুর রস ১ চামচ, তেঁতুল গোলা ২ চামচ, পেয়াজের পাতা টুকরো করে কাটা ১ চামচ,

যেভাবে বানাবেন:
একটি পাত্রে সেদ্ধ ছোলা ও মটর দিন। তার সাথে পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি ও সেদ্ধ আলুর টুকরো মিশিয়ে দিন। কাঁচা লঙ্কা কুচি মিশিয়ে, সেদ্ধ করা মটর মিশিয়ে দিন। স্বাদানুসারে লবণ ও মরিচের গুঁড়ো দিন, তাতে চাট মশলা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে দিন। এতে রসুনের কোয়া, তিল, লেবুর রস, তেঁতুল গোলা, পুদিনার চাটনি মিশিয়ে ভালো করে নেড়ে নেবেন। ভালো করে মিশিয়ে, ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।

শীত আসছে। বাজরও সাজছে হরেক রকমের সবজিতে। মৌসুমি এসব সবজি যেমন পুষ্টিকর তেমন স্বাদে অনন্য। পছন্দের সবজিগুলো দিয়ে রান্না করুণ স্বাস্থ্যকর নিরামিষ।

উপকরণ: 

তেল ৩ টেবিল চামচ, মিষ্টি জিরা ১ চা চামচ, লাল মরিচ ১টি, রসুন কুচি ১/৪ কাপ, পেয়াজ কুচি ১ কাপ, কাচা মরিচ ৪টি, লবণ স্বাদমতো, হলুদ ১ চা চামচ।

সবজি:
ফুলকপি, ব্রুকলী, শিম, গাজর, কর্ণ (ভুট্টা), মটরশুঁটি, টমেটো, ধনে পাতা। অথবা আপনার পছন্দের যেকোনো সবজি।

পদ্ধতি:
মিডিয়াম আচে চুলা জ্বালান। একটি প্যানে তেল দিয়ে তার মধ্যে জিরা, লাল মরিচ এবং রসুন কুচি দিয়ে একটু ভেজে নিন। এগুলো কিছুটা লালচে রং ধারণ করলে এরমধ্যে পেয়াজ কুচি এবং কাচা মরিচ কুচি দিয়ে দিন। লবণ হলুদ দিয়ে আরো কিছুক্ষণ ভাজুন। এরপর সামান্য পানি দিয়ে টমেটোর টুকরোগুলো দিয়ে দিন। 


কিছুক্ষণ জাল দিয়ে টমেটো সিদ্ধ হয়ে আসবে। এরপর আগে থেকে মিডিয়াম সাইজে কেটে রাখা সবজিগুলো প্যান বা কড়াইয়ে দিয়ে দিন। এভাবেই কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে একটু ভেজে নিয়ে এরমধ্যে পানি দিয়ে দিন। পানি যেনো খুব বেশি না হয়ে যায়। এরপর কড়াইটি সম্পূর্ণ ঢেকে দিয়ে কয়েক মিনিট মিডিয়াম আচে জাল দিন। নামিয়ে ফেলের আগ মুহূর্তে ধনেপাতার কুচিগুলো দিয়ে দিন। এরপর কড়াই থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

গ্রাম-বাংলার দারুণ সুস্বাদু শৈল মাছের পাতুরি। তবে শহরে এসব রান্না প্রায় হয় না বললেই চলে। যারা এই মজার রান্নাটি করতে চান তাদের জন্যই থাকছে রেসিপিটি। দেখে নিন শৈল মাছের পাতুরি রান্নার পুরো প্রণালী।


শৈল পাতুরি রান্নার উপকরণ যা যা লাগবে:

১. শৈল মাছ ছোট ছোট টুকরা করা

২. পেয়াজ বাটা ১ চা চামচ

৩. রসুন বাটা ১/২ চা চামচ

৪. সাদা সর্ষে বাটা ১ টেবিল চামচ

৫. কাচা মরিচ বাটা ১ চা চামচ

৬. আস্ত কাচা মরিচ ৫/৬ টি

৭. হলুদ গুড়া ১/২ চা চামচ

৮. লবন স্বাধমত

৯. সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ

যেভাবে রান্না করবেন শৈল পাতুরি:

মাছের সঙ্গে সব মশলা মাখিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। মাখানো মাছ কলাপাতায় সুতো দিয়ে বেধে একটি গরম পানে হালকা তেল দিয়ে পাতার ২ পাশ ভালোভাবে পুড়ে গেলে নামিয়ে নিয়ে হবে। ব্যস, ঝটপট হয়ে গেল শৈল মাছের পাতুরি। এবার গরম গরম পরিবেশন করুন ।

নারকেল কোরানো বেশ ঝামেলার কাজ। কিন্তু খুব সহজ একটি পদ্ধতিতে এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।

চলুন জেনে নেয়া যাক সেই উপায়টি:

প্রথমে বড় সাইজের একটি নারিকেল নিন। নারকেল ভেঙ্গে পানি বের করে নিন।
একটি বড় পাত্রে পানি ফুটতে দিয়ে তাতে নারকেলগুলো নৌকার মতন ভাসিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন নারকেল যেন ডুবে না যায়। তাহলে নারকেলের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে।

১০ মিনিট ফুটন্ত পানির উপরে নারকেলটি রাখতে হবে। ১০ মিনিট পর পানি থেকে বের করে নিন। এবারে একটি ছুরি দিয়ে সামান্য চাপ দিতেই দেখবেন নারকেলের শাঁস কোনো ঝামেলা ছাড়াই মালা থেকে উঠে আসছে।

এবার পিলার দিয়ে নারকেলের শক্ত অংশ পরিষ্কার করে নিন। তারপর নিজের পছন্দের আকারে কেটে নিন।
প্রেসার কুকারে রান্নার সময় খেয়াল রাখা জরুরি যে বিষয়টা সেটি হলো এটির ঢাকনা ঠিকভাবে আটকানো হয়েছে কিনা। এছাড়াও অনেকেই রান্না শেষে প্রেসার কুকারে বাষ্প থাকা অবস্থায়ই ঢাকনা খোলার চেষ্টা করেন। যা ঠিক নয়। কারণ এর ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ভেতরের বাষ্প পুরোপুরি বের হলে তবেই প্রেসারের কুকারের ঢাকনা খুলবেন। ডাল বা এমন যে খাবারগুলো উপচে ওঠে বেশি, সেগুলো প্রেসার কুকারে রান্না করতে হলে অল্প পরিমাণে করুন। পরিমাণ বেশি হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়াও প্রেসার কুকারে যে খাবার রান্না করা থেকে বিরত থাকা উচিত সেগুলো নিচে দেওয়া হলো।
 
মাছ: মাছ এমন একটি খাবার যা রান্না করতে খুব বেশি সময় লাগে না। এটি অতিরিক্ত রান্না করলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। আবার বেশি সময় ধরে মাছ রান্না করা হলে তা সহজেই ভেঙে যায়। তাতে তরকারি দেখতে খারাপ লাগে আর স্বাদ তো নষ্ট হয়ই। তাই প্রেসার কুকারে মাছ রান্না না করাই ভালো।

দুধ: দুধ ফুটতে শুরু করলেই উপচে ওঠে। তাই প্রেসার কুকারে দুধ বা দুধ দিয়ে কোনো খাবার যেমন পায়েশ বা ফিরনি রান্না করতে নিলে তা আটকে গিয়ে প্রেসার কুকার ব্লাস্ট হতে পারে। তাই বড় দুর্ঘটনা এড়াতে প্রেসার কুকারে দুধ বা দুধ দিয়ে কোনো খাবার রান্না করতে যাবেন না।

ডিম সেদ্ধ: ডিম সেদ্ধ করতে চাইলে বা রান্না করতে চাইলে সাধারণ হাঁড়িতেই করে নিন। কারণ ডিম প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করতে চাইলে বড় মাপের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তাই ভুলেও কখনো প্রেসার কুকারে ডিম সেদ্ধ করতে যাবেন না।

সবজি ও ফল: ফল কিংবা যেকোনো ধরনের শাক-সবজি বেশি রান্না করলে পুষ্টিগুণ পুরোপুরি চলে যায়। প্রেসার কুকারে এসব রান্না করলে এর ভিটামিন, মিনারেলসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। তাই এ ধরনের খাবার কখনো প্রেসার কুকারে রান্না করবেন না।

রাতে ঘুমানোর আগে অনেকেই চা, কফি বা স্ন্যাক জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে। রাতে ঘুমানোর আগে দূরে রাখতে হবে সাতটি খাবার। না হলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

যে সাত ধরণের খাবার রাতে না খাওয়া উচিত, সেগুলো হল:

১. অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার: এমন খাবারের জন্য আপনার জ্ঞান লোপ পেতে পারে। ঝালযুক্ত খাবারের বুকে জ্বালা ও পেটে ব্যথা হতে পারে।

২. ফ্যাটযুক্ত খাবার: এই খাবার মোটেও খাবেন না। পিৎজা, বার্গার, আলুর চিপস ইত্যাদি খেলে পরিপাকক্রিয়াতে সমস্যা ও ওজনও বৃদ্ধি পাবে।

৩. পনির: পনির শরীরকে মোটা বানিয়ে ফেলে, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়, শরীরে উচ্চমাত্রায় চর্বি ও কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে।তাই পনিরকে খুব সংযতভাবে খাওয়া উচিৎ।

৪. ফল: অতিরিক্ত ফল খেলে শরীরে গ্যাসের সৃষ্টি হয় এবং হজম ক্ষমতায় বিভিন্ন বিঘ্ন বাঁধে। যদি রাতে ফল খেতেই হয়, তাহলে এককাপের বেশি ফল খাবেন না।

৫. মাংস: মাংস খুব হজম হতে দেরি হয়। এজন্য রাতে মাংস খাওয়া একদমই ঠিক নয়।

৬. চিপস, ভুট্টা, ভাঁজাপোড়া খাবার বা এ ধরনের বিভিন্ন খাবার বাহির থেকে এনে খাবেন না। এতে আপনার কোন উপকার তো হবেই না, আরো শারীরিক সমস্যা দেখা দিবে।

৭. মিষ্টিজাতীয় খাবার: এমন একদমই খাবেন না। আইসক্রিম, চকলেট, ক্যান্ডি বার ইত্যাদিতে ফ্যাট রয়েছে। ঘুমানোর আগে অবশ্যই ফ্যাটযুক্ত কোন খাবার খাবেন না।

স্মার্টফোন এখন জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে তাতে সন্দেহ নেই। স্মার্টফোনের এতো সব কাজের অ্যাপের ভিড়ে হোমস্ক্রিন গুছিয়ে রাখবেন কীভাবে?

স্মার্টফোন এখন জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে তাতে সন্দেহ নেই। সকালে ফোনের অ্যালার্মে ঘুম ভাঙা থেকে শুরু করে ইমেইলের ইনবক্স চেক করা, কোন রাস্তায় যানজট কেমন দেখা, যানজটে বসে বসে গান শোনা, দু’একটা নাটক-সিনেমা দেখে ফেলা, কোনো বইয়ের কিছু অংশ পড়ে ফেলা, তারপরেও জ্যামে বসে থেকে বিরক্ত হয়ে সেলফি তোলা, সেই সেলফি ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুকে আপলোড করা, অফিসের জরুরি ফোন, মেইল, টেক্সটের উত্তর দেয়া থেকে শুরু করে সময়মতো খাবার খাওয়া, ওষুধ খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয়া, সেলফির নিচে পড়া মন্তব্যের প্রত্যুত্তর দেয়া … এক দণ্ডও বিশ্রাম নেই যেন ফোন থেকে!

এতো কাজের কাজি যেই ফোন তাতে অগুণতি অ্যাপ্লিকেশান ইন্সটল করা থাকবে, আর সেইসব অ্যাপের নোটিফিকেশান এসে হোম স্ক্রিন ভরে থাকবে, এতো খুবই সাধারণ ঘটনা। আর এতো সব কাজের অ্যাপের ভিড়ে কিছু অ্যাপ তো থাকবেই যেগুলো ইন্সটল করা ঠিকই হবে, কিন্তু এরপর সারাজীবনেও আর কখনও অ্যাপখানা খুলে আর দেখা হবে না।

এইসব অ্যাপের ভিড়ে দরকারি অ্যাপটা খুজেঁ নিতে বার বার ফোনের স্ক্রিন সোয়াইপ করাও এক হ্যাঁপা বটে। এমন অবস্থায় স্মার্টফোনটার হোমস্ক্রিনটাকে একটু গুছিয়ে নেয়াটা যেন জীবনটাকে সহজ করার জন্যই বেশ জরুরি! কিন্তু কোন অ্যাপটা জরুরি, কোনটা রাখবেন, কোনটা ফেলবেন- সিদ্ধান্ত নিতেই তো গলদঘর্ম অবস্থা! স্মার্টফোনের গুছিয়ে রাখার জন্য যেভাবে অ্যাপ বাছাই করতে পারেন তার কিছু উপায়ই দেয়া হলো এখানে।

১. ‘থিম’ অনুযায়ী রাখুন অ্যাপগুলোকে

একই ধরনের কাজের জন্য অ্যাপগুলোকে একসঙ্গে রাখলে হোমস্ক্রিন গুছানো থাকবে। আলাদা ফোল্ডারে একই ধরনের অ্যাপগুলোতে রাখুন। আলাদা ফোল্ডারে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো অ্যাপগুলো, ব্যাংকিং বিষয়ক অ্যাপগুলো, খবরের অ্যাপগুলো, স্পোর্টস বিষয়ক অ্যাপগুলো, স্বাস্থ্য বিষয়ক অ্যাপগুলো, গেমগুলো সরিয়ে ফেলুন। এতে আপনার হোমস্ক্রিন গুছানো থাকবে, একইসঙ্গে হোমস্ক্রিনে যুক্ত হতে থাকা পেইজের সংখ্যা কমে আসবে।

২. সবচেয়ে দরকারি অ্যাপটি রাখুন সবার নিচে

সাধারণতঃ হাতের বুড়ো আঙুলের কাছে থাকা অ্যাপগুলোতে বেশি ট্যাপ করা বেশি সহজ বলে সেগুলোই বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই সবচেয়ে দরকারি অ্যাপগুলো রাখুন হোমস্ক্রিনে সবচেয়ে নিচে, বুড়ো আঙুলের কাছাকাছি। আর সবচেয়ে কম দরকারি অ্যাপটিকে রাখুন সবচেয়ে শেষের হোমপেইজের সবচেয়ে উপরের কোণায়।

৩. পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ডাউনলোড করে নিন

সব অ্যাপে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা নিরাপদ নয়, আবার এতো সব অ্যাপের সব পাসওয়ার্ড মনে রাখাও কঠিন বটে। পাসওয়ার্ড ম্যানেজার আপনার সবগুলো পাসওয়ার্ড মনে রাখার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলোকে এনক্রিপ্টগও করে রাখবে যেন আপনি কোনো ফ্রডের মুখে না পড়েন। এতে আপনার পাসওয়ার্ডগুলোর সঙ্গে সঙ্গে আপনার ফোনের হোমস্ক্রিনও গুছানো থাকবে।

৪. অ্যাপ ড্রয়ারের দিকে খেয়াল রাখুন

অ্যাপ ড্রয়ার হলো হোমস্ক্রিনের প্রথম পাতার নিচে স্থায়ীভাবে থাকা অ্যাপের সারি। আগেই বলা হয়েছে সবচেয়ে জরুরি ও বেশি ব্যবহৃত অ্যাপটি হোমস্ক্রিনের নিচের দিকে রাখা ভালো। তাই অ্যাপড্রয়ারে এগুলো রাখাটা ভালো সিদ্ধান্ত। তবে অ্যাপড্রয়ারে রাখা অ্যাপগুলো দরকার অনুযায়ী বদলে ফেলার দিকে খেয়াল রাখলে হোমস্ক্রিন পরিষ্কার থাকবে।

৫. মাঝে মাঝে ঝাড়পোছ করুন ইনবক্স আর অ্যাপগুলো

মাঝেমধ্যে পুরো ফোনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালান। যে অ্যাপগুলো একেবারেই ব্যবহার করা হয় না সেগুলো আনইন্সটল করে ডিলিট করুন। ইনবক্সেও চালান পরিচ্ছন্নতা অভিযান। পুরনো অদরকারি মেইল ও টেক্সট ম্যাসেজ মুছে ফেলুন। কন্টাক্ট লিস্টও পরীক্ষা করে দেখুন, অদরকারি কন্টাক্টগুলো ফেলে দিন। এতে শুধু যে ফোন গুছানো হবে তা-ই না, মেমোরি স্পেসও বাড়বে। গ্যালারি থেকে কিছু ছবিও ফেলে দিতে পারেন, কারণ গ্যালারিতেই সবচেয়ে বেশি অদরকারি জিনিস থেকে যায় শেষ পর্যন্ত

এখন আর শুধুমাত্র শীতকালে নয়, সারা বছরই খুশকির সমস্যা লেগে থাকে। অতিরিক্ত দুষণ, ধুলো, ময়লার কারণে চুলের সর্বনাশ হয় অকালেই। খুশকি হল চুলের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বিরাট একটা সমস্যা। অতিমাত্রায় চুল ঝরে যাওয়া, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া বা বিভিন্ন ধরনের স্ক্যাল্প ইনফেকশন-এর জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দায়ি এই খুশকি।

খুশকির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে বাজারে চলতি নানা ধরনের শ্যাম্পু বা লোশন ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু এগুলিতে থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের প্রভাবে কখনও কখনও উল্টে চুলেরই ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। আর তাতে অকালে টাক পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

নিচে দেখে নিতে পারেন কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায় যেগুলি সামান্য খরচে খুশকির সমস্যা দ্রুত দূর করতে পারে কোনও রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই...

১) নারিকেল তেল: নঋকেল তেল খুর্শকির প্রকোপ কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী! নারিকেল তেল চুলের গোড়া ময়েশ্চারাইজ করে খুশকি এবং স্ক্যাল্প ইনফেকশনের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়। সপ্তাহে অন্তত দুইবার চুলের গোড়ায় সামান্য উষ্ণ নারিকেল তেল দিয়ে মালিশ করতে পারলে খুশকির সমস্যায় দ্রুত উপকার পাবেন।

২) টকদই: খুশকির সমস্যা থেকে বাচঁতে টকদই বেশ কার্যকরী। খুশকি দূর করতে টকদই মাথার ত্বকে মিনিট দশেক ধরে ভালভাবে মালিশ করুন। এরপর ১০ মিনিট রেখে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। খুশকির সমস্যা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে অন্তত দু’বার এই ভাবে চুলে টকদই ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

৩) পেঁয়াজের রস: দু’টো মাঝারি মাপের পেঁয়াজ ভাল করে বেটে এক মগ পানিতে (অন্তত ৩০০-৩৫০ মিলিলিটার পানিতে) মিশিয়ে নিন। মাথায় এই পেঁয়াজের রস ভাল করে মাখিয়ে মিনিট পনেরো মালিশ করুন। এরপর ৫ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে সপ্তাহে দুই-তিন বার পেঁয়াজের রস মাথায় মাখলে খুশকির সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই পাবেন।

৪) রিঠা: চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে রিঠা অত্যন্ত কার্যকরী। খুশকির সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রেও এর জুরি মেলা ভার! রিঠা পাউডার বা রিঠা সিদ্ধ পানি চুলের ত্বকে লাগিয়ে ঘণ্টা খানেক রেখে তারপর ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে সপ্তাহে অন্তত দুই বার রিঠার পানি মাথায় মাখলে খুশকির সমস্যায় দ্রুত উপকার পাবেন।

৫) মেথি: খুশকির সমস্যার সমাধানে কাজে লাগাতে পারেন মেথি। সারারাত দু’-তিন চামচ মেথি পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিন। সকালে মেথির থেকে পানি ছেঁকে নিয়ে ভাল করে বেটে নিন। তবে ছেঁকে নেওয়া পানি ফেলে দেবেন না। এ বার বেটে নেয়া মেথি চুলের গোঁড়ায়, মাথার ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ঘণ্টা খানেক রেখে চুল ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার পর মেথি ভেজানো পানি দিয়ে আরও একবার চুল ধুয়ে নিন। এ ভাবে সপ্তাহে অন্তত দুইবার মেথি মালিশ করলে খুশকির সমস্যায় দ্রুত উপকার পাওয়া যাবে।

শীত প্রায় এসেই পড়লো। এসময় পায়ের গোড়ালি ফাটা নিয়ে অনেকেই চিন্তির। তবে পা ফাটা রোধ করতে আপনাকে কয়েকটি ঘরোয়া টিপস মেনে চলতে হবে। অনেক বেশি হাঁটাচলা, দিনের দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে কাজ করা, আবহাওয়াজনিত কারণ, পরিবেশ দূষণ, ডায়াবেটিকস, থাইরয়েড, খাবার গ্রহণে অনিয়ম, শরীরে পুষ্টির অভাব, বয়সের প্রভাব ইত্যাদি দেখা দিলেই মূলত এই সমস্যাটি দেখা দেয়।

প্রতিকারের ঘরোয়া টিপসগুলো হলোঃ

১-বেকিং সোডার ব্যবহার

একটি বালতি অথবা গামলায় তিন লিটার পানি ঢালুন। পানিতে তিন চামচ বেকিং সোডা ভালোভাবে মিশান। পানিতে ২০মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। পানি থেকে পা তুলে পিউমিক স্টোনের সাহায্যে পায়ের গোড়ালি আস্তে আস্তে ঘষুন। মরা চামড়া তুলে ফেলুন। এরপর পরিষ্কার পানিতে পা ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। পা শুকিয়ে এলে ময়েশ্চারাইজার ম্যাসাজ করুন। সপ্তাহে অন্তত তিন বার এইভাবে বেকিং সোডা ব্যবহার করুন। তাহলে পা কোমল ও আকর্ষণীয় হবে। পা ফাটা রোধ হবে।

২-অ্যালোভেরা জেলের ব্যবহার

পরিষ্কার পাত্রে তিন লিটার কুসুম গরম পানিতে পরিমাণ মত লবণ মিশিয়ে তাতে ২০মিনিটের জন্য পা ভিজিয়ে রাখুন। পানি থেকে পা তুলে মুছে শুকিয়ে নিন। শুকনো পায়ের গোড়ালিতে অ্যালোভেরা জেল আলতো করে ম্যাসেজ করে মোজা পরুন। এভাবে সারারাত রেখে পরদিন সকালে কুসুম গরম পানিতে পা ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে অন্তত দুই বার ব্যবহার করুন। আস্তে আস্তে গোড়ালি কোমল ও মসৃণ হবে।

৩-ভেজিটেবল অয়েলের ব্যবহার

পা ফাটা রোধের জন্য কার্যকরী কিছু ভেজিটেবল তেল আছে। যেমন- অলিভ অয়েল, তিলের তেল, নারকেল তেল, সরষের তেল ও বাদাম তেল ইত্যাদির ব্যবহারে পা ফাটা রোধ হয়, পা আকর্ষণীয় ও কোমল হয়। রাতে ঘুমানোর পূর্বে পরিষ্কার পায়ে তেলের মালিশ করে ঘুমান। অল্প দিনের অধ্যেই আশানুরূপ ফল পাবেন।

৪-গোলাপজল ও গ্লিসারিনের ব্যবহার

পা ফাটা রোধে গ্লিসারিন ও গোলাপজলের মিশ্রণ অধিক কার্যকরী। গ্লিসারিন ত্বককে কোমল করে আর গোলাপজলে আছে ভিটামিন এ, বি৩, সি, ডি ও ই। আরও আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিসেপটিকের মত উপাদান।যা ত্বকের জন্য কার্যকরী সমাধান বহন করে। প্রতিরাতে ঘুমানোর পূর্বে গ্লিসারিনের সঙ্গে সমপরিমাণ গোলাপজল মিশিয়ে পায়ে ম্যাসাজ করুন। অল্প দিনেই পা সুন্দর ও আকর্ষণীয় হবে। পা ফাটা রোধ হবে।

৫-মধুর ব্যবহার

পরিষ্কার পাত্রে দুই লিটার কুসুম গরম পানিতে দুই টেবিল চামচ মধু মিশান। এরপর পানিতে ১০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। পা মুছে শুকান এবং গ্লিসারিন, লেবুর রস এবং গোলাপ জলের মিশ্রন পায়ের ফাটা জায়গায় লাগিয়ে দিন। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করুন।

৬-পাকা কলার ব্যবহার

পাকা কলা চটকে পায়ের ফাটা অংশে ২০মিনিট লাগান। কিছুক্ষণ পর কুসুম গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। এতে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে, যা পা ফাটা রোধ করতে সাহায্য করবে। পায়ের ত্বক কোমল ও মসৃণ হবে।

৭-ভেসলিন ও লেবুর রস

লেবুর রসের সঙ্গে ভেসলিন মিশিয়ে পা লাগাতে পারেন। পায়ের মরা কোষ তুলতে প্রতিদিন পিউমিক স্টোন দিয়ে পা ভালো করে ঘষুন। আস্তে আস্তে মরা চামড়া সরে গোড়ালি সফট হবে। গোড়ালি ফাটা রোধ হবে।