মধ্য আফ্রিকার দেশ মৌরিতানিয়ায় সাহারা মরুভূমিতে প্রায় ৫০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই নীল চোখ টি অবস্থিত
অবিকল মানুষের চোখ। তবে তা দেখতে ওখানে গেলে চলবে না,ঐ খানে গেলে আপনি কিছু বুঝতে পারবেন না ! যেতে হবে অনেক ওপরে, মহাশূন্যে। কারণ চোখটি এতোই বিশাল যে, মহাশূন্যে না গেলে আপনি পুরো চোখটি একসঙ্গে দেখতেই পারবেন না।
যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে গুগুল আর্থ থেকে খানিকটা দেখতে পারেন ।
এমনকি যদি গুগল আর্থ দিয়েও দেখেন তাহলে প্রথমে আপনি চোখের মণির ভেতরের সাদা যে অংশটা, আফ্রিকার বালুরঙা চোখের সেই অংশটা কেবল দেখতে পারবেন। তারপর জুম আউট করলে আপনি দেখতে পাবেন আফ্রিকার চোখের পুরোটা। আফ্রিকার এ চোখটি আছে আফ্রিকার এক গরিব দেশ মৌরিতানিয়ায়।
আফ্রিকার বিখ্যাত সাহারা মরুভূমির নাম তো শুনেছেন। মরুভূমিটির যে অংশ মৌরিতানিয়ায় পড়েছে, তারই এক অংশে আছে আফ্রিকার এই আজব প্রাকৃতিক আশ্চর্য।
এই চোখটিকে বলে সাহারার চোখ বা রিচ্যাট স্ট্রাকচার কিংবা আফ্রিকার চোখ!
প্রথমে প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে এই চোখের সৃষ্টি হয়েছে ? সত্যি বলতে কি এর সদ্বউত্তর এখনও পাওয়া সম্ভব হয় নি ! অনেকে মনে করে গ্রহানুর বিশেষ প্রভাবে এই চোখাকৃতি টা ধারন করেছে অথবা আগ্নেওগীরির অগ্নিউৎপাত থেকে এই রকম একটি চোখের সৃষ্টি ! কিন্তু নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারে না ! কেউ কেউ তো আবার এর পিছনে এলিয়েনদের হাত আছে বলে ধারনা করে !
আবার অনেক মনে করে কোন দেশ হয়তো গোপনে সেখানে কোন আনবিক বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে তাই এর আকৃতি এমন হয়ে গেছে !
সব থেকে মজাদার ব্যাখ্যাটা পাওয়া যায় আরও কিছু বিজ্ঞানীদের কথা শুনে ! অনেকে মনে করেন রিচ্যাট স্ট্র্যাকচারের বর্ণনা প্লেটোর হারিয়ে যাওয়া শহর এটলান্টিসের সাথে অনেকাংশে মিলে যায় ! প্লেটোর বর্ণনানুসারে এটলান্টিস নামের গোলাকৃত্রিট দ্বীপ টি পানি এবং ভুমি দ্বারা সমবিভক্ত ছিল যা দুই ভাগ ছিল ভুমি আর তিন ভাগ ছিল পানি ! যেহেতু এটলান্টিস ছিল সমুদ্রের একটা অংশ সেহেতু যখন ভূমিকম্পে এটলান্টিস তলিয়ে যেতে শুরু করে তখন জল এবং মাটির সংমিশ্রনে একটা অসম্ভব মাটির বাঁধা সৃষ্টি হয়ে দ্বারায় সমুদ্রের জন্য সেটা কে সম্পূর্ন গ্রাস করার ক্ষেত্রে ! প্লেটো এতো বলেন যে এটলান্টিসে চারিপাশে কয়েকটি পাহার ছিল যা সমুদ্র থেকে শহরটিকে আজও বাঁচিয়ে রেখেছে কোথাও ! যাই হোক সেই এটলান্টিসের গঠন বর্ণনা অনেক টাই এই সাহারার এই নীল চোখের বর্ণনার সাথে মিলে যায় ! কিন্তু কোথায় আগরতলা আর কোথায় খাটের তলা ! ঐ শহর মধ্য আফ্রিকায় আসবে কিভাবে ?
তবে অনেকেই এটাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয় ! তারা বলেন যে এই রিচ্যার টি গঠিত হয়েছে প্রকৃতির খেয়ালে এবং সেখানকার ভূমি এবং পাথরের গঠনের জন্যই ! ওখানকার ভূমির গঠনই এরকম ডোমাকৃতির, চোখের আদলে উচু হয়ে পরে আবার নিচু হয়ে এসেছে এবং সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে উপরের মাটি আর বালু ক্ষয়ে যাওয়ায় মূল গঠনটা বের হয়ে এসেছে যা উপর থেকে দেখলে অনেক টা চোখের মত দেখায় ! নিচের ছবি দুটির মতঃ
তবে এটা সত্য যে এই চোখ টি সম্প্রতিকালের কোন সৃষ্টি নয় ! রিচ্যাট স্ট্র্যাকচারের ভিতরে উত্তর দিককার যে kimberlite plug এবং carbonatite পাথরের সন্ধান পাওয়া গেছে যেগুলো প্রায় ৯৪ ঠে ১০৪ মিলিয়ন বছর পুরানো । সুতরাং আমরা এটা নিঃসন্ধেহে বলতে পারি যে স্ট্র্যাকচার টি কমপক্ষে ১০০ মিলিয়ন বছর পুরানো !
তবে আমরা জানি যে ৪০০০০ বছর আগে সাহারা একটি বিশাল হ্রদের অস্তিত্ব ছিল আবার 6500BC তেও সাহারায় আদ্রতা বজায় ছিল সুতরাং একেবারে নিশ্চিত করে কিছুই কিন্তু বলা যায় না যে কিভাবে আসলে রিচ্যাট টি গঠিত হয়েছে ! এখনও এটা রহস্যই রয়ে গেছে !
অবিকল মানুষের চোখ। তবে তা দেখতে ওখানে গেলে চলবে না,ঐ খানে গেলে আপনি কিছু বুঝতে পারবেন না ! যেতে হবে অনেক ওপরে, মহাশূন্যে। কারণ চোখটি এতোই বিশাল যে, মহাশূন্যে না গেলে আপনি পুরো চোখটি একসঙ্গে দেখতেই পারবেন না।
যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে গুগুল আর্থ থেকে খানিকটা দেখতে পারেন ।
এমনকি যদি গুগল আর্থ দিয়েও দেখেন তাহলে প্রথমে আপনি চোখের মণির ভেতরের সাদা যে অংশটা, আফ্রিকার বালুরঙা চোখের সেই অংশটা কেবল দেখতে পারবেন। তারপর জুম আউট করলে আপনি দেখতে পাবেন আফ্রিকার চোখের পুরোটা। আফ্রিকার এ চোখটি আছে আফ্রিকার এক গরিব দেশ মৌরিতানিয়ায়।
আফ্রিকার বিখ্যাত সাহারা মরুভূমির নাম তো শুনেছেন। মরুভূমিটির যে অংশ মৌরিতানিয়ায় পড়েছে, তারই এক অংশে আছে আফ্রিকার এই আজব প্রাকৃতিক আশ্চর্য।
এই চোখটিকে বলে সাহারার চোখ বা রিচ্যাট স্ট্রাকচার কিংবা আফ্রিকার চোখ!
প্রথমে প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে এই চোখের সৃষ্টি হয়েছে ? সত্যি বলতে কি এর সদ্বউত্তর এখনও পাওয়া সম্ভব হয় নি ! অনেকে মনে করে গ্রহানুর বিশেষ প্রভাবে এই চোখাকৃতি টা ধারন করেছে অথবা আগ্নেওগীরির অগ্নিউৎপাত থেকে এই রকম একটি চোখের সৃষ্টি ! কিন্তু নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারে না ! কেউ কেউ তো আবার এর পিছনে এলিয়েনদের হাত আছে বলে ধারনা করে !
আবার অনেক মনে করে কোন দেশ হয়তো গোপনে সেখানে কোন আনবিক বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে তাই এর আকৃতি এমন হয়ে গেছে !
সব থেকে মজাদার ব্যাখ্যাটা পাওয়া যায় আরও কিছু বিজ্ঞানীদের কথা শুনে ! অনেকে মনে করেন রিচ্যাট স্ট্র্যাকচারের বর্ণনা প্লেটোর হারিয়ে যাওয়া শহর এটলান্টিসের সাথে অনেকাংশে মিলে যায় ! প্লেটোর বর্ণনানুসারে এটলান্টিস নামের গোলাকৃত্রিট দ্বীপ টি পানি এবং ভুমি দ্বারা সমবিভক্ত ছিল যা দুই ভাগ ছিল ভুমি আর তিন ভাগ ছিল পানি ! যেহেতু এটলান্টিস ছিল সমুদ্রের একটা অংশ সেহেতু যখন ভূমিকম্পে এটলান্টিস তলিয়ে যেতে শুরু করে তখন জল এবং মাটির সংমিশ্রনে একটা অসম্ভব মাটির বাঁধা সৃষ্টি হয়ে দ্বারায় সমুদ্রের জন্য সেটা কে সম্পূর্ন গ্রাস করার ক্ষেত্রে ! প্লেটো এতো বলেন যে এটলান্টিসে চারিপাশে কয়েকটি পাহার ছিল যা সমুদ্র থেকে শহরটিকে আজও বাঁচিয়ে রেখেছে কোথাও ! যাই হোক সেই এটলান্টিসের গঠন বর্ণনা অনেক টাই এই সাহারার এই নীল চোখের বর্ণনার সাথে মিলে যায় ! কিন্তু কোথায় আগরতলা আর কোথায় খাটের তলা ! ঐ শহর মধ্য আফ্রিকায় আসবে কিভাবে ?
তবে অনেকেই এটাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয় ! তারা বলেন যে এই রিচ্যার টি গঠিত হয়েছে প্রকৃতির খেয়ালে এবং সেখানকার ভূমি এবং পাথরের গঠনের জন্যই ! ওখানকার ভূমির গঠনই এরকম ডোমাকৃতির, চোখের আদলে উচু হয়ে পরে আবার নিচু হয়ে এসেছে এবং সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে উপরের মাটি আর বালু ক্ষয়ে যাওয়ায় মূল গঠনটা বের হয়ে এসেছে যা উপর থেকে দেখলে অনেক টা চোখের মত দেখায় ! নিচের ছবি দুটির মতঃ
তবে এটা সত্য যে এই চোখ টি সম্প্রতিকালের কোন সৃষ্টি নয় ! রিচ্যাট স্ট্র্যাকচারের ভিতরে উত্তর দিককার যে kimberlite plug এবং carbonatite পাথরের সন্ধান পাওয়া গেছে যেগুলো প্রায় ৯৪ ঠে ১০৪ মিলিয়ন বছর পুরানো । সুতরাং আমরা এটা নিঃসন্ধেহে বলতে পারি যে স্ট্র্যাকচার টি কমপক্ষে ১০০ মিলিয়ন বছর পুরানো !
তবে আমরা জানি যে ৪০০০০ বছর আগে সাহারা একটি বিশাল হ্রদের অস্তিত্ব ছিল আবার 6500BC তেও সাহারায় আদ্রতা বজায় ছিল সুতরাং একেবারে নিশ্চিত করে কিছুই কিন্তু বলা যায় না যে কিভাবে আসলে রিচ্যাট টি গঠিত হয়েছে ! এখনও এটা রহস্যই রয়ে গেছে !
Post A Comment:
0 comments so far,add yours