মিষ্টির দোকানগুলোতে সাধারণত দুধের সানা দিয়ে তৈরি করা হয় রসগোল্লা। বাসায়ও অনেকে এটি তৈরি করে থাকেন। তবে ছানা তৈরি কিছুটা ঝামেলার এবং সময়সাপেক্ষ হওয়ায় বাসায় রসগোল্লা তৈরির ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে চান না অনেকে। কিন্তু আপনি চাইলে সুজি দিয় বাসায় বসে সহজেই তৈরি করে ফেলতে পারেন মজাদার রসগোল্লা।

উপকরণ: 

দুধ, ঘি, চিনি, সুজি, পানি।

পদ্ধতি: মিডিয়াম আচে চুলায় একটা প্যান বসান। তাতে দিয়ে দিন দুই কাপ পরিমাণ (আপনার চাহিদা অনুযায়ী দিতে পারেন) লিকুইড দুধ। ফুলক্রিম দুধ হলে ভালো হয়। দুধটা হালকা ফুটে উঠলে এক চা চামচ ঘি এবং আধা কাপ চিনি দিয়ে দিতে হবে। দুয়েক মিনিট ভালোভাবে নেড়ে চিনি এবং ঘি দুধের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। চিনিটা গলে দুধটা হালকা ফুটে উঠলে তার মধ্যে সুজি দিয়ে দিন। একবারে ঢেলে দেয়া যাবে না। অল্প অল্প করে ঢালতে হবে এবং অনবরত নাড়তে হবে। তাহলে দুধের মধ্যে সুজিগুলো দলা বেঁধে যাবে না। এরপর চুলার আঁচ মিডিয়াম লো করে দিয়ে অনবরত নাড়াচাড়া করে ভালোভাবে জাল দিয়ে নিতে হবে। এরমধ্যে একটু এলাচের গুড়া বা আস্ত এলাচ দিয়ে দিতে পারেন।

অনবরত নাড়তে নাড়তে এটা আঠালো ভাব হয়ে আসলে এবং প্যানের গা ছেড়ে দেয়ার মতো হয়ে আসলে বুঝতে হবে ডো তৈরি হয়ে গেছে। এবার চুলা অফ করে নামিয়ে নিন। এটাকে একটু ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। গরম অবস্থায় মিষ্টিগুলো তৈরি করা যাবে না।


চিনির শিরা তৈরি: চুলায় একটি প্যানে দুই কাপ পরিমাণ পানির মধ্যে এক কাপ পরিমাণ চিনি দিয়ে দিতে হবে। পানির সঙ্গে নেড়েচেড়ে চিনিটাকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। একটু বলক উঠলেই চুলার আচ একেবারে কমিয়ে রেখে দিতে হবে।

গোল্লা তৈরি: আগে থেকে বানিয়ে রাখা ডো-টা ঠাণ্ডা হয়ে গেলে দুই হাতে একটু তেল বা ঘি মেখে নিয়ে ডো দিয়ে বলের মতো তৈরি করে নিতে হবে। বলগুলোর সাইজ আপনার পছন্দমতো করতে পারেন।

এরপর চুলায় আলতো আচে ফুটতে থাকা চিনির শিরার মধ্যে গোল্লাগুলোকে দিয়ে দিতে হবে। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৭-৮ মিনিট জাল করিয়ে নিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে ঢাকনা খোলা যাবে না। এরমধ্যেই মিষ্টিগুলো কিছুটা ফুলে নরম হয়ে যাবে।

এবার চুলাটি বন্ধ করে মিষ্টিগুলোকে প্যান থেকে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
Share To:

Naim Khan

Post A Comment:

0 comments so far,add yours