শ্রীলঙ্কার একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী, উগ্র গেরিলাসংগঠন। তারা শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চলে অবস্থান
করে উত্তর এবং পূর্বাংশ নিয়ে পৃথক ও স্বাধীন তামিল রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে শ্রীলঙ্কা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে যা শ্রীলঙ্কায় তামিল ইলম নামে পরিচিত। এছাড়াও, এলটিটিই তামিল টাইগার্স নামে সর্বসমক্ষে পরিচিত হয়ে আসছে। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মে, ১৯৭৬ সালে। এর প্রধান ছিলেন ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ, যিনি ১৮ মে, ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার সামরিক বাহিনীর সাথে যুদ্ধরত অবস্থায় নিহত হন। প্রভাকরণের মৃতদেহ দ্রুত দাহ করে ফেলা হয় এবং সরকারীবাহিনী সেখানে কোন জনসমাগম হতে দেয়নি। মানবাধিকার লঙ্ঘন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এলটিটিই'র বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ন্যায় গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করে।
এফবিআই এলটিটিইকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। অন্যান্য দেশও এলটিটিইকে একই পর্যায়ে ফেলেছে।প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি অনেকবার সাধারণ জনগণকে লক্ষ্য করে আক্রমণ কার্য পরিচালনা করেছে। উল্লেখযোগ্য আক্রমণের মধ্যে রয়েছে অরন্থালয়া গণহত্যা, অনুরাধাপুরা গণহত্যা , কত্তানকুদি মসজিদে গণহত্যা, কেবিথিগোলেয়া গণহত্যা, এবং দেহিওয়ালা গাড়ীতে বোমা হামলা অন্যতম। অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বোমা হামলায়ও অনেক নিরীহ গ্রাহক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন।
হত্যাকাণ্ড পরিচালনা:
শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রানাসিংহে প্রেমাদাসা হত্যাকাণ্ড এলটিটিই কর্তৃক পরিচালিত হয়েছিল।১ মে, ১৯৯৩ তারিখে অনুষ্ঠিত মে
দিবসের শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানে এলটিটিই’র আত্মঘাতি বোমা হামলায় প্রেমাদাসা নিহত হন।তামিল নাডুর মাদ্রাজ থেকে ৩০ মাইল দুরে শ্রীপেরুম্বুদুর লোক সভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে প্রচার- অভিযান সভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে এলটিটিই'র কর্মী ও আত্মঘাতী বোমাবহনকারী থেনমঝি রাজারত্মম ২১মে, ১৯৯১ সালে হত্যা করেছিলেন
শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি: ১ জন ভারতীয়
প্রধানমন্ত্রী: ১জন
প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী: ১ জন
শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক দলের নেতা: ১০ জন
শ্রীলঙ্কার মন্ত্রী: ৭ জন সংসদ সদস্য: ৩৭ জন
স্থানীয় সরকারের সদস্য: ৬ জন
প্রদেশিয়া সভার সদস্য: ২২ জন
রাজনৈতিক দলের সংগঠক: ১৭ জন
মেয়র: ৪ জন
এক নজরে তামিল টাইগার:
এক নজরে তামিল টাইগার:
জন্ম: ১৯৭৬ নেতা:ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ
উদ্দেশ্য: পৃথক তামিল রাষ্ট্র গঠন
সক্রিয় অঞ্চল: শ্রীলঙ্কা, যুক্তরাজ্য, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
মূলমন্ত্র : তামিল জাতীয়তাবাদ
বার্ষিক আয়: সামরিক বাহিনীর কাছে পরাজয়ের পূর্বে $২০০-৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
আয়ের উৎস: রাজস্ব অর্থ,দেশত্যাগী তামিলদের কাছ থেকে দান, জোরপূর্বক আদায়, জাহাজ ব্যবসা, অস্ত্র বিক্রয়, এলটিটিই নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে কর আদায়।
সামরিক শক্তি:
তাদের ট্যাংক ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। ট্যাংকের সংখ্যা ১০ টির বেশি নয়। অস্ত্রের মধ্যে তাদের যেসব ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে তা হল:
এসকেএস রাইফেল, একে ৪৭,এম৪ কারবাইন, কালাসনিকভ, আরপিজি, ফিম স্টিংগার,
বিমান: মাইক্রোলাইট এয়ারক্র্যাফট ২টি, হেলিকপ্টার ২
টি, ড্রোন ২ টি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours