প্রতি বছর বিশ্বের প্রাকৃতিক নিদর্শন ও নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে তার গুরুত্বের জন্য বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়।

এবার ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি আজারবাইজানের বাকুতে ৪৩তম বৈঠকে বসেছে।
সেখানে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নতুন কোন কোন যায়গাগুলোকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হবে।
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় তারা যেসব নতুন নিদর্শন বা স্থানের নাম সংযুক্ত করেছেন তার কয়েকটি ছবি।

                                              আইসল্যান্ডের ভাখনাইওকুল ন্যাশনাল পার্ক

আইসল্যান্ডের ভাখনাইওকুল ন্যাশনাল পার্কআইসল্যান্ডের মোট সীমানার ১৪ শতাংশ জুড়েই রয়েছে এই ভাখনাইওকুল ন্যাশনাল পার্ক।
বরফে আচ্ছাদিত এবং আগ্নেয়গিরির বৈশিষ্ট্য সম্বলিত পুরো অঞ্চলটি দারুণ দৃষ্টিনন্দন।
এখানে বিশাল অঞ্চল জুড়ে রয়েছে শুকিয়ে যাওয়া অগ্নুৎপাত।

ফ্রান্সের অস্ট্রাল ভূমি ও সমুদ্র


অনেকগুলো দ্বীপ সম্বলিত এই অঞ্চলটি।
বিশ্বের সবচাইতে বেশি পাখি এবং সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী বাস করে এখানে।
বিরল কিং পেঙ্গুইন দেখতে পাওয়া যাবে এখানে গেলে।

ভারতের জয়পুর নগরী


ভারতের উত্তর পশ্চিমে রাজস্থান প্রদেশের রাজধানী জয়পুরকে বলা হয় "গোলাপি নগরী"।
কারণ শহরের ভবনগুলোকে দুর থেকে গোলাপি মনে হয়।
এখানে বহু প্রাচীন ভবন রয়েছে। এমনকি শহরটি প্রথম যখন প্রতিষ্ঠা হয় সেই ১৭২৭ সালের সময়কার ভবনও রয়েছে।
দারুণ সব কারুকার্য দিয়ে সাজানো এসব ভবন।

জাপানের প্রাচীন সমাধি

জাপানের ওসাকা শহরে এরকম ৪৯ টি প্রাচীন সমাধি রয়েছে।
এগুলো তৈরি হয়েছে তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শতাব্দী। এই সমাধিগুলোর নানান আকৃতির।
যেমন এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে তালার ছিদ্রের মতো আকৃতির সমাধি। এটির নামকরণ করা হয়েছে ২৯০ খ্রিষ্টাব্দে জন্মানো সম্রাট নিনতোকুর নামে।
এটি জাপানের সর্ববৃহৎ সমাধি ।

ইরাকের ব্যাবিলন

ইরাকের অবস্থিত প্রাচীন মেসোপটেমিয়া নগরীকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বহুদিন যাবত চেষ্টা চালাচ্ছিল ইরাকের কর্তৃপক্ষ।
দেশটির যুদ্ধ ও সংঘাতময় রাজনীতির কারণে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যাবিলন নগরী।
তবে সম্প্রতি এর অতীত গৌরব সংরক্ষণে নানা ধরনের কাজ চলছে।

বাগান, মিয়ানমার

মিয়ানমারের প্রাচীন রাজধানী বাগান।
ছবিতে যেগুলো দেখছেন এগুলো বৌদ্ধ মন্দির। সবুজ প্রকৃতির মধ্যে এমন হাজার মন্দির আগে থেকেই পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

লাওসের বয়াম সদৃশ প্রাচীন স্থাপনা

লাওসের ঝিংখাওয়াং অঞ্চলে পাথর দিয়ে তৈরি এরকম হাজার হাজার বয়াম সদৃশ বস্তু রয়েছে।
প্রত্নতত্ত্ববিদরা মনে করেন এগুলো লৌহ যুগে তৈরি। কেন এগুলো তৈরি করা হয়েছিলো সেটি এখনো অনেক রহস্যময়।
অনেক প্রত্নতত্ত্ববিদ মনে করেন এগুলো সম্ভবত মরদেহ সৎকারে ব্যবহৃত হতো।
Share To:

Naim Khan

Post A Comment:

0 comments so far,add yours