শনি গ্রহকে ঘিরে একটি বলয় আছে, যা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে দিয়েছে।



আমাদের এই সৌরজগতের গ্রহগুলির মধ্যে পৃথিবীর পর সম্ভবত শনিই সবচেয়ে সুন্দর গ্রহ। অন্তত শনিগ্রহের অপূর্ব সুন্দর বলয়গুলো দেখে সবাই তাই বলে থাকে। যদিও শনি গ্রহে এখনও মানুষের পা রাখার সৌভাগ্য হয়নি। তবে, বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিনের গবেষণার ফলে শনিগ্রহের আবহাওয়া ও ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমাদের বেশ কিছু ধারণা দিতে পেরেছেন। চল আজ আমরা জেনে নেই শনিগ্রহের সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত সেইসব মজার তথ্য--
১। শনি আমাদের সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। আয়তনের দিক থেকে বৃহস্পতির পরেই এর স্থান। তবে শনি গ্রহটি গ্যাসে পরিপূর্ণ।

২। শনিগ্রহের কেন্দ্র পাথুরে বস্তু দ্বারা গঠিত যার আশেপাশের বেশিরভাগ অংশই তরল গ্যাস দ্বারা আবৃত।
৩। সমগ্র শনিগ্রহ বিভিন্ন বলয় দিয়ে ঘেরা, এই বলয়গুলি মহাশুন্যে কয়েক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
৪। শনির এই বলয়গুলো অসংখ্য কেলাসিত বরফ দ্বারা তৈরি। তাদের আকার আকৃতিও বৈচিত্র্যময়। এগুলোর কোনো কোনোটা একটা বাড়ির সমান বড়, কোনোটা আবার ধূলিকণার মতো ক্ষুদ্র।
৫। শনিগ্রহ খুবই হালকা। হিলিয়ামের চেয়ে এই গ্রহে হাইড্রোজেনের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে এর ঘনত্ব কম। সমগ্র শনিগ্রহকে যদি আমরা একটা বাথটাবে রাখতে পারতাম তাহলে সেটা ভাসতে শুরু করত; এতই হালকা এই গ্রহ। অবশ্য সেক্ষেত্রে বাথটাবটার আকারও হতে হত সেই পরিমাণ বিশাল।
৬। সৌরজগতের আরেক গ্রহ জুপিটারের মতো শনিগ্রহের অনেকগুলো চাঁদ আছে যেগুলো তাকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।
৭। শনিগ্রহ অবশ্য মোটেও শান্তির কোনো গ্রহ নয়। প্রবল ঝড়-বাতাস এই গ্রহের আবহাওয়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ঝড়ের গতিবেগ থাকে সাধারণত ৮০০ কি.মি./ঘণ্টা।
৮। শনিগ্রহে প্রচন্ড শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র অবস্থিত যা শক্তিকণাকে আকৃষ্ট করে ও আটকে ফেলে। এর ফলে গ্রহটি উচ্চশক্তির তেজস্ক্রিয়তা উৎপন্ন করতে পারে।



Share To:

Naim Khan

Post A Comment:

0 comments so far,add yours