ওয়েব পেজ: ওয়েব পেজ হল একটি ডকুমেন্ট যা হাইপার টেক্সট মার্ক আপ ল্যাঙ্গুয়েজ বা এইচটিএমএলে লেখা। এটি ইন্টারনেটবা অন্য নেটওয়ার্কে ইন্টারনেট ব্রাউজার দিয়ে অ্যাক্সেস করা যায়। কোনো ইউআরএল অ্যাড্রেস ব্যভহার করে ওয়েবপেজেযাওয়া যায়। এতে টেক্সট, গ্রাফিকস. হাইপার লিংক, ফাইল, অন্য ওয়েবপেজ থাকতে পারে।ওয়েবসাইট: ইন্টারনেটে প্রচুর তথ্যথাকে।এসব তথ্য বিভিন্ন উৎস থেকে আসে। এগুলো কোনো ফাইল বা ওয়েবপেজ আকারে সজ্জিত থাকে। এসবওয়েবপেজগুলোকে গ্রুপ করে একটি অস্তিত্ব তৈরির নাম ওয়েবসাইট। তাই ওয়েবসাইটকে ওয়েবপেজের গ্রুপ বলা যেতে পারে।এতে টেক্সট, ছবি বা বিভিন্ন মাল্টিমিডয়া ফাইল থাকে।
অনেকেরই প্রায় সময় বলতে শুনি “আমার একটা ওয়েব সাইট বানানোর খুব ইচ্ছা।” তো তারা কি করে বিভিন্ন সাইট থেকেওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল ও আর কিছু লাগিন এর কাজ জেনে একটা ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল দিয়ে সুন্দর দেখে একটা ফ্রিতে পাওয়াপ্রিমিয়াম থিম একটিভ করে বানিয়ে ফেলে একটা ওয়েব সাইট।
এত সোজা একটা ওয়েব সাইট বানানো ?? !! না এত সোজা কাজ না। ওয়েব সাইট তৈরির সাথে অনেক কিছু জরিত আছে। সেটাইনিচে গাইড লাইন আকারে আলোচনা করা হল।
ডোমেইন নেইম নির্বাচনঃ
ওয়েব সাইট বানালে অবশ্যই একটা ডোমেইন নাম লাগবে। মানে যেই নাম অ্যাড্রেস বারে দিয়ে ক্লিক করলেই ওই নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটটি চলে আসবে। ডোমেইন নাম যে কোন একটা হলেই হয় এটা ভুল আবার সত্য। মানে যদি আপনি প্রফেশনাল ভাবে সাইটতৈরি করতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে ইউনিক নাম নির্বাচন করতে হবে। শুধু ওই নামটা খালি থাকলেই হবে না তার সাথেআরও কিছু জিনিস যুক্ত করতে হবে। যেমনঃ
১.যেই নামে ডোমেইন নিবেন গুগলে ওই নামটি সার্চ দিয়ে দেখবেন ওই নামে কোনফেসবুক পেজ, গুগল প্লাস পেজ, টুইটার একাউন্ট, ইউটিউব একাউন্ট ইত্যাদি আছে কিনা। যদি থাকে তবে সেই নাম না নেওয়া ভাল।
২.ডোমেইন নামের মদ্ধে “-/_” হাইফেন বা হ্যস চিহ্ন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন।
৩.ডোমেইন নামটা ৭/৮ অক্ষরেরমদ্ধে যদি নিতে পারেন তবে ভাল। বেশি বড় নিবেন না।
৪.ইংরেজিতে জটিল বানান এমন ডোমেইন নাম নিবেন না। এতেভিজিটর সহজে নাম মনে রাখতে পারবেনা। আপনার সাইটের নাম লিখতে গিয়ে ভুল লিখে অন্য সাইটে চলে যাবে।
৫.একটি নামেডোমেইন আছে তার আশে পাশের বানানের ডোমেইন নাম নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। যেমনঃ www.facebook.com আছেআপনি নিয়ে নিলেন www.facebooks.com বা www.face-book.com
৬.ডোমেইন নামটা উচ্চারনে সুন্দর ও সহজ শব্দ বাযে সব শব্দ আমরা সব সময় ব্যবহার করি এমন শব্দ দিয়ে ডোমেইন নাম নেবার চেষ্টা করুন।
৭.আপনি যে ধরনের সাইটবানাতে চান সেটার সাথে মিল রেখে ডোমেইন নাম কিনুন।
হোস্টিং কেনাঃ
ডোমেইনের পরেই যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার সেটা হল হোস্টিং। হোস্টিং হল আপনি যে সাইটটা তৈরি করবেন সেটা যাবতীয়স্ক্রিপ্ট, ফাইল ও এত দরকারি জিনিসপত্র রাখার জন্য জায়গা এর আপনি বা আপনার ভিজিটর যে ওয়েব সাইটটা ভিজিটকরতেছে সেটা জন্য কিছু কে.বি খরচ হয়। সেটাকে বলা হয় ব্যান্ডউইথ। এগুলো সহ আরও অনেক কিছু সম্বলিত থাকে হোস্টিংএর মদ্ধে। হোস্টিং কি এটা আর কিছু বললাম না কারন বেশির ভাগ মানুষই জানেন এটা কি। আর কেউ যদি না জানেন মন্তব্যতেজানাবেন। বিস্তারিত বুঝানোর চেষ্টা করবো।হোস্টিং কোনটা নিবেন, কতটুকু নিবেন !!!
আমরা সাধারন ভাবে যে সাইট বানাবতার জন্য শেয়ার হোস্টিং নিলেই হবে। আর দাম খুব কম। কেউ যদি একটু ভাল স্পীড বা ভাল সার্ভিস পেতে চান তারাভি.পি.এস নিতে পারেন। সাধারন ভাবে আমাদের ১ জিবি জায়গা(Space) হলেই যথেষ্ট এটাই সহজে খরচ হবেনা। তবেব্যান্ডউইথ টা একটু বেশি নেওয়া ভাল কারন। জত ভিজিটর বাড়বে তত ব্যান্ডউইথ খরচ হবে।
আর কিছু জিনিস দেখবেন।যেমনঃ কয়টা সাবডোমেইন বানানোর সুযোগ দিবে, কয়টা ডাটাবেস তৈরি করতে দিবে। ইত্যাদি।তথ্য সংগ্রহঃআপনি কি কাজেরজন্য সাইট বানাতে চান। ব্লগ সাইট, পার্সোনাল ইনফরমেশন সাইট, বিজনেস সাইট, পোর্টফলিও সাইট ইত্যাদি। কোনটা বানাতেচান। যেটা বানাবেন সেইটার আনুশাঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ করুন।
যেমনঃ বিজনেস সাইট হলে বিজনেস সম্পর্কিত তথ্য, স্কুল ওয়েবসাইট হলে স্কুল সম্পর্কিত তথ্য ইত্যাদি।প্লাটফর্ম নির্বাচনঃআপনি যেই ওয়েব সাইটটা বানাবেন সেটা কিসে বানাবেন HTML এনাকি PHP তে নাকি কোন CMS(WordPress, Joomla, Drupal) ব্যবহার করবেন। যদি ব্লগ সাইট হয় তবে CMSহিসাবে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করতে পারেন। যদি বিজনেস সাইট হয় তবে HTML আর মাদ্ধমে করতে পারেন বা চাইলে PHPতেও করতে পারেন। অবশ্য আরও অনেক প্লাটফর্ম এ করা যায় যেমনঃ ASP.NET, Python, Ruby, ColdFusion ইত্যাদি।সাইট ডেভলপঃএবার শুরু ওয়েব সাইট ডেভলপের কাজ। সাইট ডেভলপের ক্ষেত্রে কিছু জিনিস মাথায় রাখবেন।যেমনঃ
১.ওয়েবসাইটের সুন্দর একটি লোগো বানাবেন। সেটা সাইতে ব্যবহার করবেন।
২. সাইটের ব্যাকগ্রউন্ডে আকর্ষণী একটিব্যাকগ্রাউন্ড ব্যবহার করবেন যাতে সাইটটি সুন্দর ভাবে ফুতে উঠে। তবে ব্যাকগ্রউন্ড এ এমন কোন কালার ব্যবহার করবেন নাযেটা চোখে বেশি লাগে মানে বেশি উজ্জ্বল কালার।
৩.সাইটের ফন্ট বেশি ছোট রাখবেন না। ভিজিটরের যাতে পরতে কোন সমশানা হয় এমন সাইজ ব্যবহার করবেন। ফন্ট কালার কালোই ভাল দেখা যায়।
৪.সাইটের আউটলুক সুন্দর করার চেষ্টা করবেন।যাতে ভিজিটর ভিজিত করে শান্তি পায়।
৫.ভিজিটরকে যাতে ধরে রাখা যায় বেশি ক্ষণ বা যাতে এবার ফিরে আসে সেই বাবস্থাকরুন। যেমনঃ RSS ফিড যোগ করুন। সাইড বারে ও পেজের/ পোষ্টের শেষে একই রকম পোস্ট বা বেশি পঠিত পোস্ট লিঙ্করাখুন। এছাড়াও প্রয়োজনীয় লিঙ্ক সাইড বারে দিন।
৬. সাইটে যদি বিজ্ঞাপন থাকে মানে এডসেন্স বা অন্য কিছু। তবে অতিরিক্তআঁকারে বিজ্ঞাপন দিবেন না। বিজ্ঞাপন গুলো সাজিয়ে সঠিক জায়গায় ব্যবহার করবেন। এস.ই.ও করুনঃএসইও(SEO) বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলতে বুঝায় বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে একটি সাইটকে তুলে ধরাসাইটে কি আছে তা সার্চ ইঞ্জিনকে বুঝানো।
আমরা যেকোনো কিছু লিখে গুগলে সার্চ দিলে দেখা যাবে অনেক পরিমানে ফলাফলপাওয়া যায় এর মধ্যে প্রথম ২/৩ পেজে যে সাইট গুলো আমরা পাই সেগুলোই আমরা দেখে থাকি। এটাই হল এসইও মানে সাইটেএসইও করলে সার্চ ইঞ্জিন আপনার সাইটকে আগে নিয়ে আসবে আগে থেকলে ভিজিটররা বেশি দেখবে। এটাই মূলত এসইও রকাজ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours