গত শুক্রবার ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের আল নূর মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় ঐ মসজিদের ইমামসহ ৫০ জন মুসল্লি প্রাণ হারিয়েছেন বলে পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। এই হামলায় আরো ৪৮ জন আহত হন। হামলাকারী একজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। ইউরোপের অভিবাসন প্রক্রিয়ায় মুসলমানরা সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করছে এবং এর ফলে খ্রিস্টানদের আধিপত্য হ্রাস পাচ্ছে এটাই তার মূল আপত্তি। নিহতদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশী ছিলেন। এই সন্ত্রাসী হামলায় দুঃখ ও সহানুভূতি প্রকাশ করে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এবং পুলিশ প্রধান যে বক্তব্য প্রকাশ করেছেন তা প্রশংসনীয়। এই হামলার ব্যাপারে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বিভিন্ন রকমের বিশ্লেষণ প্রকাশিত হচ্ছে। আমি আমার আলোচনায় বর্তমান বিশ্বের জনসংখ্যার কাঠামো এবং অভিভাসন নিয়েই নিউজিল্যান্ড ঘটনার সামান্য বিশ্লেষণের চেষ্টা করবো।
জাতিসংঘের ২০১৭ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, গত ১২ বছরে সারা বিশ্বে মানুষ বেড়েছে ১০০ কোটি এবং তাদের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী আগামী ১৩ বছরে এর সাথে যোগ হবে আরো ১০০ কোটি। ২০১৭ সালের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী বিশ্বের জনসংখ্যা হচ্ছে ৭৬০ কোটি। সংস্থাটির প্রক্ষেপণের চিত্রানুযায়ী এই শতাব্দীর শেষেই বিশ্বের বহু জনবহুল অঞ্চল মানুষের অভাবে বিরাণভূমিতে পরিণত হবে। এর কারণ সেসব দেশের দ্রুত জনসংখ্যা হ্রাস। অনেক দেশে প্রতি দুজন মৃতের বদলে জন্ম নিচ্ছে একজন মানুষ। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী ক্রমাগতভাবে মানুষ কমছে সারা দুনিয়ায় এমন দেশের সংখ্যা বর্তমানে ৫১টি। এর মধ্যে অনেক দেশে গত ৫০ থেকে ৬০ বছরে জনসংখ্যা বাড়েনি বরং কমেছে। জাতিসংঘের এই হিসাবে আরো বলা হয়েছে যে, ২০৫০ সালের মধ্যে অনেক দেশের জনসংখ্যা বর্তমানের তুলনায় এক তৃতীয়াংশে নেমে আসবে। এটা উবসড়মৎধঢ়যরপ ঃরসব নড়সন হিসাবে গণ্য হবে। এসব দেশে যদি অভিবাসী হিসেবে বিদেশীদের গ্রহণ করা না হয় এক সময় মানুষের অভাবে কোন কোন দেশ বিরাণভূমিতে পরিণত হতে পারে। অনেক সভ্যতা বিলুপ্ত হতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, গত কয়েক দশক ধরে জন্ম হার না বাড়ার কারণে বুলগেরিয়া, স্পেন, জাপান এবং ইউরোপের প্রায় সব দেশের অনেক গ্রাম ও লোকালয় উজাড় হয়ে গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। বুলগেরিয়ার কোন কোন পাড়া ও গ্রামে মাত্র ৩০ জন লোক পাওয়া গেছে, এক সময়ে যেসব স্থান মানুষের কোলাহলে পূর্ণ ছিল। দেশটিতে প্রতি হাজারে মারা যায় ১৬ জন, জন্ম নেয় ৯ জন। পর্তুগালে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মারা গেছে ৫২,৩৬৩ জন এবং জন্ম নিয়েছে ৩৪,৪৮৩ জন। ইতালিতে একই সময়ে মারা গেছে ১,৮৫,০০০ মানুষ, জন্ম নিয়েছে ১,০৮,০০০ শিশু। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে যে, ১৯৭০ সালে বিশ্বে একজন নারীর গড়ে ৪.৫ জন সন্তান ছিল; ২০১৫ সালে এই সংখ্যা ২.৫ জনে হ্রাস পেয়েছে (ঋবৎঃরষরঃু ৎধঃব)। জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখার জন্য জন্মহার প্রয়োজন ২.১ জন। ইউরোপে এই হার হচ্ছে গড়ে ১.৫৫ জন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রেও তাই। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্রুত জনসংখ্যা কমছে এমন দশটি শীর্ষ দেশের তালিকা তৈরি করেছে। এসব দেশে একজন নারীর সন্তান সংখ্যা ১.৩ জন, স্পেনে ১.২ জন। জার্মানির মতো অনেক দেশে ৫০/৬০ বছর ধরে অব্যাহতভাবে স্থানীয় জনসংখ্যা কমলেও তারা তাদের জনসংখ্যা অভিবাসনের মাধ্যমে স্থিতিশীল রেখেছে। এসব দেশে দীর্ঘকাল জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে। মানুষকে ভোগ বিলাসের দিকে ঠেলে দিয়ে সন্তান ধারণ ও পালনের প্রতি বিতৃষ্ণ করে দেয়া হয়েছে। ফলে এখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির শত চেষ্টা করেও তারা সফল হতে পারছে না। অর্ধশতাধিক দেশ এই চেষ্টা করছে। মানুষের অভাবে শিল্পের চাকা ঘুরছে না। অর্থনীতিতে ধস নামছে। শিল্প ও সেবা খাত বিদেশীদের হাতে চলে যাচ্ছে। এই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০৫০ পর্যন্ত যেসব দেশের জনসংখ্যা বেশি হ্রাস পাবে সেসব দেশ হচ্ছে বুলগেরিয়া, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, পোল্যান্ড, মলডোবা, রুমানিয়া, সার্বিয়া, ইউক্রেন, হাঙ্গেরী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া দ্বীপপুঞ্জ। দ্রুত জনসংখ্যা এমন এশীয় দেশগুলোর মধ্যে জাপান প্রধান। এর পরে জর্জিয়া, পর্তুগাল, বসনিয়া, হার্জেগোবিনা এবং বেলারুশ। নি¤œ জন্মহার বিশিষ্ট জনবহুল দেশসমূহ হচ্ছে, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রাশিয়া, জাপান, ভিয়েতনাম, এস্তোনিয়া, লেবানন, গ্রীস, দক্ষিণ কোরিয়া, আলবেনিয়া ও বেলারুশ প্রভৃতি।
নগরায়ন, শিল্পায়ন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে নারীর অগ্রযাত্রা, ক্যারিয়ার, শিশু লালন পালন ও শিক্ষার ব্যয় বৃদ্ধি, কাজের সন্ধানে দেশ ত্যাগ, ভোগবাদিতা, জীবনযাত্রা কঠিন থেকে কঠিন হওয়া প্রভৃতি কারণে ইউরোপ আমেরিকাসহ উন্নত দেশের বহু নারী সন্তান গ্রহণে অনিচ্ছুক, অনেকে বিয়ে করতে রাজি নয় এসব কারণে জনসংখ্যা কমছে।
তথাকথিত উন্নত দেশগুলোতে এখন ভোগবাদিতা এত চরমে উঠেছে যে, তার বেদিতে পারিবারিক শৃঙ্খলা এমনকি পরিবার ব্যবস্থা ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাচ্ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্পাদিত একটি গবেষণা সমীক্ষা অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শতকরা ৫৪ ভাগ নারী তাদের স্বামীদের তুলনায় কুকুরকে বেশি ভালোবাসে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স প্রভৃতিসহ উন্নত দেশসমূহে এখন পরিবার নিশ্চিহ্ন হবার পথে। বিয়ের স্থান দখল করছে লিভটুগেদার, জারজ সন্তান এত বেশি হয়ে গেছে যে, কোনটি জারজ নয় অনেক দেশে তা নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়েছে। উবঢ়ড়ঢ়ঁষধঃরড়হ, জনসংখ্যা হ্রাস অথবা মানুষের অভাবে দেশের পর দেশ বিরাণভূমিতে পরিণত হবার যে আশঙ্কা ও বাস্তবতা জাতিসংঘের রিপোর্টে উঠে আসছে তাকে আল্লাহর একটি গজব বলে সহজেই চিহ্নিত করা যায়। এই গজব শুরু হয়েছে গত শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে। মালথাসের পপুলেশন থিওরি বাস্তবায়নের মাধ্যমে।
৬০ এর দশকের শুরুতে জনসংখ্যাকে দায় এবং উন্নয়নের প্রধান প্রতিবন্ধক হিসেবে গণ্য করার মাত্রা চরমে উঠেছিল। তখন এই ধারণার সমর্থনে ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্বকে প্রধান ভিত্তি হিসেবে উপস্থাপন করা হতো। বলা হতো যে, উন্নয়ন প্রবৃদ্ধি ঘটে গাণিতিক হারে এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় জ্যামিতিক হারে। ফলে দেশে দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন মানুষের ভোগ-বিলাসের যে সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করে তা এতই সীমিত হয়ে যায় যে, ক্রমবর্ধিষ্ণু জনসংখ্যার জন্য তা খুব একটা অবশিষ্ট থাকে না। অভাব-অনটন, দারিদ্র্য মানুষের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়ায় এবং রাষ্ট্র তার নাগরিকদের বাঞ্ছিত সুযোগ-সুবিধা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে না। এর একমাত্র সমাধান হচ্ছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ দুনিয়ার সব ধনী দেশগুলোই জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিপক্ষে অবস্থান নেয়। এসব দেশের বড় বড় শিল্পপতি-ব্যবসায়ীরা লক্ষ-কোটি ডলার বিনিয়োগ করে জনসংখ্যা বিধ্বংসী উপকরণ সামগ্রী ও সাহিত্যভা-ার সৃষ্টি করে তৈরি করে বিনামূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে দুনিয়াতে বিতরণ করতে থাকে। জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রি মানুষের লজ্জা-শরম তুলে দেয় এবং ব্যভিচারের প্রসার ঘটায়। বিনোদনের নামে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। এর পথ ধরে আসে পর্নোগ্রাফি। এখন সামাজিক এমন কোনো মাধ্যম নেই যেখানে মানুষের চরিত্র ধ্বংসের উপকরণ নেই।
ষাটের দশকের শুরুতে আমাদের দেশে স্বৈরতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্রব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে মুসলিম বিশ্বসহ আমাদের দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। এই দেশের আলেম সমাজ এর বিরুদ্ধে একমাত্র প্রতিবাদী কণ্ঠ ছিল। এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে ফিলিপাইন এই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। ঐ দেশের ক্যাথলিক পাদ্রীরা সম্মিলিতভাবে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টি করেছিলেন।
খ্যাতনামা আলেমে দ্বীন ও ইসলামী আন্দোলনের নেতা পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমীর মাওলানা সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী তার রচিত ‘ইসলাম আওর জবতে বেলাদত’ ইসলামের দৃষ্টিতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পুস্তকে এর কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ কলিন ক্লার্কসহ পাশ্চাত্যের অসংখ্য বিশেষজ্ঞের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রমাণ করেছিলেন যে, জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে জনসংকট ও মেধা সংকটের সৃষ্টি হবে এবং রাষ্ট্রব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে। ইসলামের দৃষ্টিতে চরম স্বাস্থ্যগত কারণ ছাড়া জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিষিদ্ধ। তাকে তখন মোল্লা বলা হয়েছিল এবং তার পুস্তকটি পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই যে, তার পুস্তকটি লেখার চার দশক পার না হতেই তার ভবিষ্যদ্বাণীসমূহ ফলতে শুরু হয়েছিল। জনসংখ্যা হ্রাসের ফলে প্রথমত বেশ কিছু দেশ উপলব্ধি করতে শুরু করল যে, তাদের দেশে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে তাদের বয়স্ক সুবিধা প্রদানের জন্য যে অর্থোপার্জন প্রয়োজন তা করার জন্য যে যুব জনশক্তির দরকার তা নেই। তাদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে লোকের অভাবে দেশই বিরাণ হয়ে যাচ্ছে। অনেক দেশ অভিবাসনের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে আবার স্থানীয়রা সন্ত্রাসী হয়ে উঠছে। এই অভিবাসীদের মধ্যে সবাই যে মুসলমান তা নয়। আবার মুসলিম নামধারী অভিবাসীরা সবাই যে ইসলাম প্রচারের জন্য অভিবাসী হয়েছেন তাও নয়, অনেকে গেছেন ভাগ্যের অন্বেষণে। জন্ম নিয়ন্ত্রণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সামনে অভিবাসী না নিয়ে সমস্যা সমাধানের বিকল্প কোনো সমাধান নেই। এখন এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে করণীয় কিছু আছে কিনা সেটাই হচ্ছে প্রশ্ন। আমার মনে হয় অনেক কিছুই করার আছে। সমস্যা চিহ্নিত হয়ে গেছে। সমাধানও আপাতত অভিবাসন। নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলাকারী হামলাপূর্ব তার বিবৃতিতে নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুসারী বলে দাবি করেছে। মুসলিম বিদ্বেষটি সে জাতিগতভাবেই ইহুদি-খ্রিস্টানদের কাছ থেকেই পেয়েছে। বর্তমানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী শুরু থেকেই পরিচিতি লাভ করেছেন এবং সে সূত্রে সম্ভবত হামলাকারী তাকে স্বগোত্রীয় বলে ধারণ াকরে থাকবেন। মুসলমানদের টার্গেট করা তার অন্যতম যুক্তি হচ্ছে অভিবাসন। ইউরোপ অভিবাসনের কারণে তাদের হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে এবং মুসলিম অভিবাসীরা তা দখল করে নিচ্ছে। এই উৎকণ্ঠা স্বাভাবিক। এর জবাব সন্ত্রাস নয়, ফিতরাতে প্রত্যাবর্তন। ইউরোপকে মুসলমানরা পথ দেখিয়েছে, সভ্যতা শিখিয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে ইসলামকে জানার সুযোগ সৃষ্টি করা দরকার। ইসলামী ব্যবস্থার সৌন্দর্য সম্পর্কে যদি পথভ্রষ্ট নির্বিশেষে সকল মানুষকে অবহিত করা যায় তাহলে অবস্থার পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। অভিবাসন প্রক্রিয়ায় যদি ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠনগুলো অংশ নেয় এবং দাওয়া ও তরবিয়া মিশন হিসেবে গ্রহণ করে তাহলে ইসলাম ও ইসলামপন্থীদের চরিত্রমাধুর্য দেখে মানুষ তাদের প্রতি আকৃষ্ট হবে। অভিবাসন কেন প্রয়োজন হলো? ইসলামী পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থায় ফিরে আসলে অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যাবে।
ইসলাম সন্ত্রাসের ধর্ম নয়। মুসলমানদের উপর সন্ত্রাসী হামলার জবাব সন্ত্রাস নয়, বরং ধৈর্য্য ও সহনশীলতার মাধ্যমেই দিতে হবে। মসজিদে হামলায় নিহত সকল ভাইবোনের আত্মার আমরা মাগফেরাত কামনা করি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমারা সমবেদনা জানাই।
জাতিসংঘের ২০১৭ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, গত ১২ বছরে সারা বিশ্বে মানুষ বেড়েছে ১০০ কোটি এবং তাদের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী আগামী ১৩ বছরে এর সাথে যোগ হবে আরো ১০০ কোটি। ২০১৭ সালের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী বিশ্বের জনসংখ্যা হচ্ছে ৭৬০ কোটি। সংস্থাটির প্রক্ষেপণের চিত্রানুযায়ী এই শতাব্দীর শেষেই বিশ্বের বহু জনবহুল অঞ্চল মানুষের অভাবে বিরাণভূমিতে পরিণত হবে। এর কারণ সেসব দেশের দ্রুত জনসংখ্যা হ্রাস। অনেক দেশে প্রতি দুজন মৃতের বদলে জন্ম নিচ্ছে একজন মানুষ। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী ক্রমাগতভাবে মানুষ কমছে সারা দুনিয়ায় এমন দেশের সংখ্যা বর্তমানে ৫১টি। এর মধ্যে অনেক দেশে গত ৫০ থেকে ৬০ বছরে জনসংখ্যা বাড়েনি বরং কমেছে। জাতিসংঘের এই হিসাবে আরো বলা হয়েছে যে, ২০৫০ সালের মধ্যে অনেক দেশের জনসংখ্যা বর্তমানের তুলনায় এক তৃতীয়াংশে নেমে আসবে। এটা উবসড়মৎধঢ়যরপ ঃরসব নড়সন হিসাবে গণ্য হবে। এসব দেশে যদি অভিবাসী হিসেবে বিদেশীদের গ্রহণ করা না হয় এক সময় মানুষের অভাবে কোন কোন দেশ বিরাণভূমিতে পরিণত হতে পারে। অনেক সভ্যতা বিলুপ্ত হতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, গত কয়েক দশক ধরে জন্ম হার না বাড়ার কারণে বুলগেরিয়া, স্পেন, জাপান এবং ইউরোপের প্রায় সব দেশের অনেক গ্রাম ও লোকালয় উজাড় হয়ে গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। বুলগেরিয়ার কোন কোন পাড়া ও গ্রামে মাত্র ৩০ জন লোক পাওয়া গেছে, এক সময়ে যেসব স্থান মানুষের কোলাহলে পূর্ণ ছিল। দেশটিতে প্রতি হাজারে মারা যায় ১৬ জন, জন্ম নেয় ৯ জন। পর্তুগালে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মারা গেছে ৫২,৩৬৩ জন এবং জন্ম নিয়েছে ৩৪,৪৮৩ জন। ইতালিতে একই সময়ে মারা গেছে ১,৮৫,০০০ মানুষ, জন্ম নিয়েছে ১,০৮,০০০ শিশু। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে যে, ১৯৭০ সালে বিশ্বে একজন নারীর গড়ে ৪.৫ জন সন্তান ছিল; ২০১৫ সালে এই সংখ্যা ২.৫ জনে হ্রাস পেয়েছে (ঋবৎঃরষরঃু ৎধঃব)। জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখার জন্য জন্মহার প্রয়োজন ২.১ জন। ইউরোপে এই হার হচ্ছে গড়ে ১.৫৫ জন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রেও তাই। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্রুত জনসংখ্যা কমছে এমন দশটি শীর্ষ দেশের তালিকা তৈরি করেছে। এসব দেশে একজন নারীর সন্তান সংখ্যা ১.৩ জন, স্পেনে ১.২ জন। জার্মানির মতো অনেক দেশে ৫০/৬০ বছর ধরে অব্যাহতভাবে স্থানীয় জনসংখ্যা কমলেও তারা তাদের জনসংখ্যা অভিবাসনের মাধ্যমে স্থিতিশীল রেখেছে। এসব দেশে দীর্ঘকাল জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে। মানুষকে ভোগ বিলাসের দিকে ঠেলে দিয়ে সন্তান ধারণ ও পালনের প্রতি বিতৃষ্ণ করে দেয়া হয়েছে। ফলে এখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির শত চেষ্টা করেও তারা সফল হতে পারছে না। অর্ধশতাধিক দেশ এই চেষ্টা করছে। মানুষের অভাবে শিল্পের চাকা ঘুরছে না। অর্থনীতিতে ধস নামছে। শিল্প ও সেবা খাত বিদেশীদের হাতে চলে যাচ্ছে। এই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০৫০ পর্যন্ত যেসব দেশের জনসংখ্যা বেশি হ্রাস পাবে সেসব দেশ হচ্ছে বুলগেরিয়া, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, পোল্যান্ড, মলডোবা, রুমানিয়া, সার্বিয়া, ইউক্রেন, হাঙ্গেরী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া দ্বীপপুঞ্জ। দ্রুত জনসংখ্যা এমন এশীয় দেশগুলোর মধ্যে জাপান প্রধান। এর পরে জর্জিয়া, পর্তুগাল, বসনিয়া, হার্জেগোবিনা এবং বেলারুশ। নি¤œ জন্মহার বিশিষ্ট জনবহুল দেশসমূহ হচ্ছে, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রাশিয়া, জাপান, ভিয়েতনাম, এস্তোনিয়া, লেবানন, গ্রীস, দক্ষিণ কোরিয়া, আলবেনিয়া ও বেলারুশ প্রভৃতি।
নগরায়ন, শিল্পায়ন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে নারীর অগ্রযাত্রা, ক্যারিয়ার, শিশু লালন পালন ও শিক্ষার ব্যয় বৃদ্ধি, কাজের সন্ধানে দেশ ত্যাগ, ভোগবাদিতা, জীবনযাত্রা কঠিন থেকে কঠিন হওয়া প্রভৃতি কারণে ইউরোপ আমেরিকাসহ উন্নত দেশের বহু নারী সন্তান গ্রহণে অনিচ্ছুক, অনেকে বিয়ে করতে রাজি নয় এসব কারণে জনসংখ্যা কমছে।
তথাকথিত উন্নত দেশগুলোতে এখন ভোগবাদিতা এত চরমে উঠেছে যে, তার বেদিতে পারিবারিক শৃঙ্খলা এমনকি পরিবার ব্যবস্থা ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাচ্ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্পাদিত একটি গবেষণা সমীক্ষা অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শতকরা ৫৪ ভাগ নারী তাদের স্বামীদের তুলনায় কুকুরকে বেশি ভালোবাসে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স প্রভৃতিসহ উন্নত দেশসমূহে এখন পরিবার নিশ্চিহ্ন হবার পথে। বিয়ের স্থান দখল করছে লিভটুগেদার, জারজ সন্তান এত বেশি হয়ে গেছে যে, কোনটি জারজ নয় অনেক দেশে তা নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়েছে। উবঢ়ড়ঢ়ঁষধঃরড়হ, জনসংখ্যা হ্রাস অথবা মানুষের অভাবে দেশের পর দেশ বিরাণভূমিতে পরিণত হবার যে আশঙ্কা ও বাস্তবতা জাতিসংঘের রিপোর্টে উঠে আসছে তাকে আল্লাহর একটি গজব বলে সহজেই চিহ্নিত করা যায়। এই গজব শুরু হয়েছে গত শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে। মালথাসের পপুলেশন থিওরি বাস্তবায়নের মাধ্যমে।
৬০ এর দশকের শুরুতে জনসংখ্যাকে দায় এবং উন্নয়নের প্রধান প্রতিবন্ধক হিসেবে গণ্য করার মাত্রা চরমে উঠেছিল। তখন এই ধারণার সমর্থনে ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্বকে প্রধান ভিত্তি হিসেবে উপস্থাপন করা হতো। বলা হতো যে, উন্নয়ন প্রবৃদ্ধি ঘটে গাণিতিক হারে এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় জ্যামিতিক হারে। ফলে দেশে দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন মানুষের ভোগ-বিলাসের যে সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করে তা এতই সীমিত হয়ে যায় যে, ক্রমবর্ধিষ্ণু জনসংখ্যার জন্য তা খুব একটা অবশিষ্ট থাকে না। অভাব-অনটন, দারিদ্র্য মানুষের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়ায় এবং রাষ্ট্র তার নাগরিকদের বাঞ্ছিত সুযোগ-সুবিধা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে না। এর একমাত্র সমাধান হচ্ছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ দুনিয়ার সব ধনী দেশগুলোই জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিপক্ষে অবস্থান নেয়। এসব দেশের বড় বড় শিল্পপতি-ব্যবসায়ীরা লক্ষ-কোটি ডলার বিনিয়োগ করে জনসংখ্যা বিধ্বংসী উপকরণ সামগ্রী ও সাহিত্যভা-ার সৃষ্টি করে তৈরি করে বিনামূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে দুনিয়াতে বিতরণ করতে থাকে। জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রি মানুষের লজ্জা-শরম তুলে দেয় এবং ব্যভিচারের প্রসার ঘটায়। বিনোদনের নামে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। এর পথ ধরে আসে পর্নোগ্রাফি। এখন সামাজিক এমন কোনো মাধ্যম নেই যেখানে মানুষের চরিত্র ধ্বংসের উপকরণ নেই।
ষাটের দশকের শুরুতে আমাদের দেশে স্বৈরতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্রব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে মুসলিম বিশ্বসহ আমাদের দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। এই দেশের আলেম সমাজ এর বিরুদ্ধে একমাত্র প্রতিবাদী কণ্ঠ ছিল। এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে ফিলিপাইন এই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। ঐ দেশের ক্যাথলিক পাদ্রীরা সম্মিলিতভাবে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টি করেছিলেন।
খ্যাতনামা আলেমে দ্বীন ও ইসলামী আন্দোলনের নেতা পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমীর মাওলানা সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী তার রচিত ‘ইসলাম আওর জবতে বেলাদত’ ইসলামের দৃষ্টিতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পুস্তকে এর কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ কলিন ক্লার্কসহ পাশ্চাত্যের অসংখ্য বিশেষজ্ঞের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রমাণ করেছিলেন যে, জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে জনসংকট ও মেধা সংকটের সৃষ্টি হবে এবং রাষ্ট্রব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে। ইসলামের দৃষ্টিতে চরম স্বাস্থ্যগত কারণ ছাড়া জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিষিদ্ধ। তাকে তখন মোল্লা বলা হয়েছিল এবং তার পুস্তকটি পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই যে, তার পুস্তকটি লেখার চার দশক পার না হতেই তার ভবিষ্যদ্বাণীসমূহ ফলতে শুরু হয়েছিল। জনসংখ্যা হ্রাসের ফলে প্রথমত বেশ কিছু দেশ উপলব্ধি করতে শুরু করল যে, তাদের দেশে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে তাদের বয়স্ক সুবিধা প্রদানের জন্য যে অর্থোপার্জন প্রয়োজন তা করার জন্য যে যুব জনশক্তির দরকার তা নেই। তাদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে লোকের অভাবে দেশই বিরাণ হয়ে যাচ্ছে। অনেক দেশ অভিবাসনের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে আবার স্থানীয়রা সন্ত্রাসী হয়ে উঠছে। এই অভিবাসীদের মধ্যে সবাই যে মুসলমান তা নয়। আবার মুসলিম নামধারী অভিবাসীরা সবাই যে ইসলাম প্রচারের জন্য অভিবাসী হয়েছেন তাও নয়, অনেকে গেছেন ভাগ্যের অন্বেষণে। জন্ম নিয়ন্ত্রণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সামনে অভিবাসী না নিয়ে সমস্যা সমাধানের বিকল্প কোনো সমাধান নেই। এখন এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে করণীয় কিছু আছে কিনা সেটাই হচ্ছে প্রশ্ন। আমার মনে হয় অনেক কিছুই করার আছে। সমস্যা চিহ্নিত হয়ে গেছে। সমাধানও আপাতত অভিবাসন। নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলাকারী হামলাপূর্ব তার বিবৃতিতে নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুসারী বলে দাবি করেছে। মুসলিম বিদ্বেষটি সে জাতিগতভাবেই ইহুদি-খ্রিস্টানদের কাছ থেকেই পেয়েছে। বর্তমানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী শুরু থেকেই পরিচিতি লাভ করেছেন এবং সে সূত্রে সম্ভবত হামলাকারী তাকে স্বগোত্রীয় বলে ধারণ াকরে থাকবেন। মুসলমানদের টার্গেট করা তার অন্যতম যুক্তি হচ্ছে অভিবাসন। ইউরোপ অভিবাসনের কারণে তাদের হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে এবং মুসলিম অভিবাসীরা তা দখল করে নিচ্ছে। এই উৎকণ্ঠা স্বাভাবিক। এর জবাব সন্ত্রাস নয়, ফিতরাতে প্রত্যাবর্তন। ইউরোপকে মুসলমানরা পথ দেখিয়েছে, সভ্যতা শিখিয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে ইসলামকে জানার সুযোগ সৃষ্টি করা দরকার। ইসলামী ব্যবস্থার সৌন্দর্য সম্পর্কে যদি পথভ্রষ্ট নির্বিশেষে সকল মানুষকে অবহিত করা যায় তাহলে অবস্থার পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। অভিবাসন প্রক্রিয়ায় যদি ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠনগুলো অংশ নেয় এবং দাওয়া ও তরবিয়া মিশন হিসেবে গ্রহণ করে তাহলে ইসলাম ও ইসলামপন্থীদের চরিত্রমাধুর্য দেখে মানুষ তাদের প্রতি আকৃষ্ট হবে। অভিবাসন কেন প্রয়োজন হলো? ইসলামী পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থায় ফিরে আসলে অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যাবে।
ইসলাম সন্ত্রাসের ধর্ম নয়। মুসলমানদের উপর সন্ত্রাসী হামলার জবাব সন্ত্রাস নয়, বরং ধৈর্য্য ও সহনশীলতার মাধ্যমেই দিতে হবে। মসজিদে হামলায় নিহত সকল ভাইবোনের আত্মার আমরা মাগফেরাত কামনা করি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমারা সমবেদনা জানাই।
লেখক : ড. মো. নূরুল আমিন
সৌজন্যে : দৈনিক সংগ্রাম
সৌজন্যে : দৈনিক সংগ্রাম
Post A Comment:
0 comments so far,add yours