নারী পুরুষ সমান গতিতে ছুঠছেন আজকাল। কিন্তু এই ছোটার তালে মনের অসুখ দানা বাধছে ঘরে ঘরে। সমীক্ষা বলছে, যে সব মহিলারা সপ্তাহে অফিসে ৩৫ থেকে ৪০ ঘণ্টা কাজ করেন, তারা তূলনামুলকভাবে সুস্থ থাকেন। কিন্তু অফিসে সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা, দিনে ৯ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য থাকেন যাঁরা তাঁদের সমস্যা হয়। মানসিক চাপ বাড়তে বাড়তে তাঁরা ডিপ্রেশনে চলে যান। বেশি কাজ করেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে ৭.৩ শতাংশের মধ্যে বেশি হারে ডিপ্রেশন কাজ করে। এই পরিসংখ্যান শুধুই মহিলাদের জন্য। পুরুষরা কিন্তু এত মানসিক সমস্যায় পড়েন না।
লণ্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজের গবেষক গিল ওয়েটসন বলছেন, মহিলারা তাড়াতাড়ি ডিপ্রেশনে চলে যান কারণ তাঁদের অনেক সময়েই ঘরের কাজের দায়িত্বও সামলাতে হয়। তাই তাঁরা এতক্ষণ ধরে কাজ করলে, অফিস বাড়ি দুদিক সামলাতে গিয়ে মানসিক সমস্যায় চলে যান। পুরুষের কিন্তু এত সমস্যা নেই। তাঁকে তো সাধারণত ঘর বাড়ি দুটো সামলাতে হয় না।
তাছাড়াও যে সব মহিলা সপ্তাহের শেষ দিকে কাজে যত বেশি থাকেন, তাঁদের ডিপ্রেশনও তত বেশি বাড়তে থাকে। ‘জার্নাল অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কমিউনিটি হেলথ’-এর তরফে রোজ অফিস করা ১১,২১৫ জন পুরুষ এবং ১২,১৮৮ জন নারীদের নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহের শেষে কাজ করা মানুষদের মধ্যে ডিপ্রেশন কাজ করে। পুরুষদের ৩.৪ শতাংশ এবং মহিলাদের ৪.৬ শতাংশ প্রভাবিত হয় এক্ষেত্রে। এই সমীক্ষা এটাও বলছে যে, কম উপার্জন করেন যাঁরা, তাঁদের প্রায় প্রতিটি সপ্তাহান্তেই যেতে হয় অফিস। এটাই তাঁদের মানসিক চাপে রাখে। অথচ যাঁরা অনেক বেশি স্কিলড জব করেন, তাঁদের কিন্তু ছুটি থাকে সপ্তাহের শেষে। তাই মানসিকভাবে অনেকটা ফুরফুরেও থাকেন তাঁরা।
গবেষক ওয়েটসন বলছেন তাঁরা আশাবাদী, তাঁদের এই সমীক্ষা কোম্পানিগুলোকে ভাবতে সাহায্য করবে কীভাবে পরে তাঁরা মহিলা কর্মীদের নিয়োগ করবেন। কারণ কর্মীরা সুস্থ থাকলে কাজও হবে ভালো। এক্ষেত্রে পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে সকলেরই মনের হদিশ রাখতে পারলে কাজও এগোবে আর কর্মীরাও কোম্পানি ছাড়বে না। কাজেই কোম্পানি মালিকরা ভাবুন এবিষয়ে।
বিশিষ্ট ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট দিনাজ জিজিবয়ের কথায়, কোনও মানুষের পক্ষেই টানা ৮-৯ ঘণ্টা কাজ করা সম্ভব নয়। ২-৪ ঘণ্টা পরই মাথা বিশ্রাম চায়। এটা খুবই সহজ বিজ্ঞান। তো সেটা যে কারও পক্ষেই ডিপ্রেশনের কারণ হতে পারে। আর সামাজিক যে স্ট্রাকচার রয়েছে তাতে কাজ করে ফিরে মহিলাকেই ঘর সামলাতে হচ্ছে, তাঁর পুরুষ সঙ্গী পাশে থাকলে এই সমস্যা কম হয়। আর পুরুষরা কাজ সেরে বেরিয়ে আড্ডা বা বন্ধু নিয়ে কিছুটা সময় কাটালেও ঘরে ফিরে সঙ্গীর পাশে দাঁড়ান না। এটা তাই সমস্যার কারণগুলো মেটায় না, বরং বাড়ায়।
আবার এটাও সত্যি যে সমাজে একটা প্রচলিত ধারণা আছে যে পুরুষদের কষ্ট হয় না, তাই তাঁদের ‘ইমোশনাল ব্রেকডাউন’ও হয় না। এটা আসলে মেন্টাল ট্যাবু। একটানা কাজ করলে, উইকএণ্ডে ছুটি না পেলে পুরুষদেরও কষ্ট হয়, কিন্তু তাঁদের ডিপ্রেশনের কথা তাঁরা বলেন না অনেক সময়েই। তাই সমীক্ষার হিসেবেও গণ্ডগোল হয়ে যায়।
লণ্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজের গবেষক গিল ওয়েটসন বলছেন, মহিলারা তাড়াতাড়ি ডিপ্রেশনে চলে যান কারণ তাঁদের অনেক সময়েই ঘরের কাজের দায়িত্বও সামলাতে হয়। তাই তাঁরা এতক্ষণ ধরে কাজ করলে, অফিস বাড়ি দুদিক সামলাতে গিয়ে মানসিক সমস্যায় চলে যান। পুরুষের কিন্তু এত সমস্যা নেই। তাঁকে তো সাধারণত ঘর বাড়ি দুটো সামলাতে হয় না।
তাছাড়াও যে সব মহিলা সপ্তাহের শেষ দিকে কাজে যত বেশি থাকেন, তাঁদের ডিপ্রেশনও তত বেশি বাড়তে থাকে। ‘জার্নাল অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কমিউনিটি হেলথ’-এর তরফে রোজ অফিস করা ১১,২১৫ জন পুরুষ এবং ১২,১৮৮ জন নারীদের নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহের শেষে কাজ করা মানুষদের মধ্যে ডিপ্রেশন কাজ করে। পুরুষদের ৩.৪ শতাংশ এবং মহিলাদের ৪.৬ শতাংশ প্রভাবিত হয় এক্ষেত্রে। এই সমীক্ষা এটাও বলছে যে, কম উপার্জন করেন যাঁরা, তাঁদের প্রায় প্রতিটি সপ্তাহান্তেই যেতে হয় অফিস। এটাই তাঁদের মানসিক চাপে রাখে। অথচ যাঁরা অনেক বেশি স্কিলড জব করেন, তাঁদের কিন্তু ছুটি থাকে সপ্তাহের শেষে। তাই মানসিকভাবে অনেকটা ফুরফুরেও থাকেন তাঁরা।
গবেষক ওয়েটসন বলছেন তাঁরা আশাবাদী, তাঁদের এই সমীক্ষা কোম্পানিগুলোকে ভাবতে সাহায্য করবে কীভাবে পরে তাঁরা মহিলা কর্মীদের নিয়োগ করবেন। কারণ কর্মীরা সুস্থ থাকলে কাজও হবে ভালো। এক্ষেত্রে পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে সকলেরই মনের হদিশ রাখতে পারলে কাজও এগোবে আর কর্মীরাও কোম্পানি ছাড়বে না। কাজেই কোম্পানি মালিকরা ভাবুন এবিষয়ে।
বিশিষ্ট ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট দিনাজ জিজিবয়ের কথায়, কোনও মানুষের পক্ষেই টানা ৮-৯ ঘণ্টা কাজ করা সম্ভব নয়। ২-৪ ঘণ্টা পরই মাথা বিশ্রাম চায়। এটা খুবই সহজ বিজ্ঞান। তো সেটা যে কারও পক্ষেই ডিপ্রেশনের কারণ হতে পারে। আর সামাজিক যে স্ট্রাকচার রয়েছে তাতে কাজ করে ফিরে মহিলাকেই ঘর সামলাতে হচ্ছে, তাঁর পুরুষ সঙ্গী পাশে থাকলে এই সমস্যা কম হয়। আর পুরুষরা কাজ সেরে বেরিয়ে আড্ডা বা বন্ধু নিয়ে কিছুটা সময় কাটালেও ঘরে ফিরে সঙ্গীর পাশে দাঁড়ান না। এটা তাই সমস্যার কারণগুলো মেটায় না, বরং বাড়ায়।
আবার এটাও সত্যি যে সমাজে একটা প্রচলিত ধারণা আছে যে পুরুষদের কষ্ট হয় না, তাই তাঁদের ‘ইমোশনাল ব্রেকডাউন’ও হয় না। এটা আসলে মেন্টাল ট্যাবু। একটানা কাজ করলে, উইকএণ্ডে ছুটি না পেলে পুরুষদেরও কষ্ট হয়, কিন্তু তাঁদের ডিপ্রেশনের কথা তাঁরা বলেন না অনেক সময়েই। তাই সমীক্ষার হিসেবেও গণ্ডগোল হয়ে যায়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours