আপনি যখন কোনো রক্তদানকারী সংস্থার (রেড ক্রস, রেড ক্রিসেন্ট, সন্ধানী ইত্যাদি) আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচিতে যোগ দেন ও রক্ত দান করেন, সেই রক্ত কী হয় বলুন তো? আপনি জানেন যে এই রক্ত কারো জীবন বাঁচাতে কাজে আসবে। কিন্তু আপনার শরীর থেকে রক্ত নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু তা কোনো রোগীর শরীরে দেওয়া হয় না। এর মাঝে আছে আরও কিছু ধাপ। জেনে নিন রক্ত দান করার পর সেই রক্ত কী করা হয়।
১) বরফ
রক্ত দান করার কাজটি শেষ হয়ে যায় ১৫ মিনিটের মাঝেই। এরপর ব্লাড ব্যাগ রাখা হয় একটি কুলারে। এ ছাড়া টেস্ট করার জন্য আলাদা একটি টিউবেও কিছু রক্ত রাখা হতে পারে।
২) সংরক্ষণ
যে প্রতিষ্ঠান থেকে রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে, তাদের সংরক্ষণ কেন্দ্রে পাঠানো হয় এই রক্ত। রেড ক্রসের কেন্দ্রে এই রক্ত কখন নেওয়া হয়েছে, তার ওপর নির্ভর করে সাজিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। এ সময় টেস্টের জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয় টেস্ট টিউবের রক্ত।
৩) রক্ত আলাদা করা হয়
রক্তকে এর তিনটি আলাদা উপাদানে ভাগ করা হয়—লোহিত রক্তকণিকা, প্লাজমা বা রক্তরস এবং প্লাটিলেটে। এতে তিন দিনের মতো সময় লাগতে পারে। তিনটি উপাদান ব্যবহার করে আলাদা তিন জন মানুষের জীবন বাঁচানো যায়।
রক্তকে এর উপাদানে ভাগ করার সময়ে টেস্ট টিউবগুলোকেও পরীক্ষা করা হয়। এতে হেপাটাইটিস বা এইচআইভির মতো রোগ বা অন্য ইনফেকশন আছে কি না দেখা হয়। ইনফেকশন পাওয়া গেলে রক্ত ফেলে দেওয়া হয়।
৫) হাসপাতাল ও রোগী
আপনার রক্ত নিরাপদ বলে প্রমাণিত হলে তা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর যে রোগীর এই রক্ত দরকার, তাকে দেওয়া হয়। রক্তের অভাবে একজন মানুষের মৃত্যু হওয়া অসম্ভব নয়। তাই সমর্থ হলে আপনারও নিয়মিত রক্ত দান করা উচিত।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট
১) বরফ
রক্ত দান করার কাজটি শেষ হয়ে যায় ১৫ মিনিটের মাঝেই। এরপর ব্লাড ব্যাগ রাখা হয় একটি কুলারে। এ ছাড়া টেস্ট করার জন্য আলাদা একটি টিউবেও কিছু রক্ত রাখা হতে পারে।
২) সংরক্ষণ
যে প্রতিষ্ঠান থেকে রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে, তাদের সংরক্ষণ কেন্দ্রে পাঠানো হয় এই রক্ত। রেড ক্রসের কেন্দ্রে এই রক্ত কখন নেওয়া হয়েছে, তার ওপর নির্ভর করে সাজিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। এ সময় টেস্টের জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয় টেস্ট টিউবের রক্ত।
৩) রক্ত আলাদা করা হয়
রক্তকে এর তিনটি আলাদা উপাদানে ভাগ করা হয়—লোহিত রক্তকণিকা, প্লাজমা বা রক্তরস এবং প্লাটিলেটে। এতে তিন দিনের মতো সময় লাগতে পারে। তিনটি উপাদান ব্যবহার করে আলাদা তিন জন মানুষের জীবন বাঁচানো যায়।
- লোহিত রক্তকণিকা ৪২ দিন পর্যন্ত ফ্রিজে রাখা হতে পারে।
- প্লাজমা হিমায়িত করে এক বছর পর্যন্ত রাখা যেতে পারে।
- প্লাটিলেট মাত্র পাঁচ দিনের মাঝে ব্যবহার করতে হয়।
রক্তকে এর উপাদানে ভাগ করার সময়ে টেস্ট টিউবগুলোকেও পরীক্ষা করা হয়। এতে হেপাটাইটিস বা এইচআইভির মতো রোগ বা অন্য ইনফেকশন আছে কি না দেখা হয়। ইনফেকশন পাওয়া গেলে রক্ত ফেলে দেওয়া হয়।
৫) হাসপাতাল ও রোগী
আপনার রক্ত নিরাপদ বলে প্রমাণিত হলে তা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর যে রোগীর এই রক্ত দরকার, তাকে দেওয়া হয়। রক্তের অভাবে একজন মানুষের মৃত্যু হওয়া অসম্ভব নয়। তাই সমর্থ হলে আপনারও নিয়মিত রক্ত দান করা উচিত।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট
Post A Comment:
0 comments so far,add yours