September 2019

সারা দুনিয়া জুড়ে কোটি কোটি মানুষ ব্যবহার করছেন এই গুগল, এবং অনেকের কাছেই এটি তাদের ইন্টারনেট কার্যক্রমে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।

গুগল অবশ্য এখন আর শুধুই একটি সার্চ ইঞ্জিন নয়, এক বিশাল প্রযুক্তি কোম্পানি।
একুশ বছর পূর্তিতে গুগলের ডুডল
 তাদের ২১ বছর পূর্তির দিনে জেনে নিন এমন ২১টি তথ্য - যা হয়তো আপনার অজানা ছিল, অবশ্য যদি আপনি ইতোমধ্যেই এই তথ্যগুলো 'গুগল করে' জেনে নিয়ে না থাকেন!

১. প্রথমটিতে হয়তো বিস্মিত হবার তেমন কিছু নেই। গুগুল হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ভিজিটেড ওয়েবসাইট, অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অধিকাংশই এই ওয়েবসাইটটিতে অন্তত একবার ঘুরে গেছেন।

২. গুগল শুরু করেছিলেন দু'জন কলেজ ছাত্র - তাদের নাম ল্যারি পেজ এবং সের্গেই ব্রিন। তারা চেয়েছিলেন এমন একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে - যার মাধ্যমে অন্য ওয়েবপেজগুলোর একটা তুলনামূলক তালিকা করা যাবে। এর ভিত্তি হবে অন্য ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে কতগুলো তাদের সাথে সংযুক্ত হয়েছেন ।

৩. গুগল শব্দটা উৎপত্তি 'গুগোল' (googol) থেকে - যা একটি বিশেষ সংখ্যার নাম। সংখ্যাটা হলো : ১ এর পিঠে ১০০টা শূন্য বসালে যা হয় - তাই। কেন এই নাম বেছে নিয়েছিলেন ল্যারি আর সের্গেই? তাদের ওয়েবসাইট যে বিপুল পরিমাণ উপাত্ত ঘাঁটাঘাঁটি-অনুসন্ধান করবে - সেটাই এই নাম দিয়ে বোঝাতে চেয়েছিলেন তারা।

৪. প্রথম গুগল ডুডল - অর্থাৎ গুগলের হোম পেজে কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা দিনের স্মারক হিসেবে যে ছবি ব্যবহৃত হয় - তা তৈরি করা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে, বার্নিং ম্যান নামের একটি উৎসব উদযাপনের জন্য। গুগলেল প্রতিষ্ঠাতারা ভেবেছিলেন এর মাধ্যমে তারা জানিয়ে দেবেন যে কেন তারা অফিসে অনুপস্থিত।

৫.গুগলের সবচেয়ে স্মরণীয় ডুডলগুলোর অন্যতম হচ্ছে চাঁদে পানির আবিষ্কার, এবং জন লেননের ৭০তম জন্মদিন উদযাপনের জন্য। জন লেননের ডুডলটি আবার ছিল প্রথম ভিডিও ডুডল।

৬.প্রথম গুগল সার্ভার রাখা হয়েছিল লেগো দিয়ে তৈরি একটি কাস্টম কেসে।

৭. গুগলের হেডকোয়ার্টার পরিচিত 'গুগলপ্লেক্স' নামে এবং এটি অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালিতে।

৮.গুগলপ্লেক্সে টি-রেক্স জাতীয় ডাইনোসরের একটি বিশাল মূর্তি আছে - যার ওপর প্রায়ই অসংখ্য প্লাস্টিকের তৈরি গোলাপি ফ্ল্যামিঙ্গো বসে থাকতে দেখা যায়। গুজব রয়েছে যে এটা হচ্ছে কর্মচারীদের প্রতি এক সতর্কবার্তা যেন তারা কখনো গুগলকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে না দেন।

৯. গুগলের হেডকোয়ার্টারটি বিশাল এবং এর ভেতরে অনেক সবুজ জায়গা আছে। এখানে ঘাস কাটার জন্য লন-মোয়ার মেশিন ব্যবহার করা হয় না। এ জন্য গুগল বাইরে থেকে ছাগল ভাড়া করে নিয়ে আসে।

১০. গুগল হচ্ছে প্রথম বড় প্রযুক্তি কোম্পানি যারা তাদের কর্মচারীদের বিনামূল্যে খাবার পরিবেশন করে। তা ছাড়া কর্মচারীদেরকে তাদের পোষা কুকুর অফিসে নিয়ে আসতে দেয়া হয়।

১১. ২০০১ সালে চালু করা হয় গুগল ইমেজ সার্চ -যার অনুপ্রেরণা ছিল ২০০০ সালের গ্র্যামি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে জেনিফার লোপেজের পরা সবুজ পোশাক। এটি গুগলের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চে পরিণত হয়েছিল।

১২. গুগলের নিজস্ব ইমেইল সেবা জিমেইলের কথা ঘোষণা করা হয় ২০০৪ সালে ১লা এপ্রিল বা এপ্রিল ফুলস ডে-তে। অনেকেই ভেবেছিলেন যে এটা আসলে একটা রসিকতা।

১৩. গুগলকে একটি ক্রিয়াপদ হিসেবে ('গুগল করা' অর্থে) প্রথম অভিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ২০০৬ সালে। মিরিয়াম-ওয়েবস্টার অভিধান লিখেছিল, গুগল করা মানে হচ্ছে 'ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব থেকে কোন তথ্য অনুসন্ধান করার জন্য গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করা।'
গুগল ইউটিউব কিনে নেয় ২০০৬ সালে
  ১৪. ইউটিউব গুগল পরিবারের সদস্য হয় ২০০৬ সালে। দেড়শ' কোটি ডলারেরও বেশি দামে ইউটিউবকে কিনে নেয় গুগল।এখন ইউটিউবের মাসিক ব্যবহারকারী প্রায় ২০০ কোটি। প্রতি মিনিটে ইউটিউবে আপলোড হয় ৪০০ ঘন্টার ভিডিও। ১৫. গুগলের একজন ইঞ্জিনিয়ার ২০০৯ সালে একবার ইন্টারনেট ব্যবস্থা 'ধসিয়ে দিয়েছিলেন' । তিনি দুর্ঘটনাবশত: গুগলের ব্লকড ওয়েবসাইটের রেজিস্ট্রিতে ফরোয়ার্ড স্ল্যাশ ('/') চিহ্নটি যোগ করে ফেলেছিলেন। যেহেতু প্রায় প্রতিটি ওয়েবসাইটেই '/' চিহ্নটি আছে, তাই সেসময় অনলাইনে কোন ওয়েবসাইটেই ঢোকা যাচ্ছিল না।

১৬.গুগল সার্চে ১৫ শতাংশ অনুসন্ধানই হচ্ছে একেবারে নতুন - যা আগে কখনো সার্চ করা হয় নি।

১৭. গুগল ২০১৮ সালের এপ্রিলে পরিণত হয় প্রথম কোম্পানিতে যারা শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করছে। এর অর্থ হচ্ছে তারা প্রতি এক কিলোওয়াট বিদ্যুত খরচ করার সাথে সাথে এক কিলোওয়াট বিদ্যুত ক্রয় করছে।

১৮. গুগলের আসলে ৬টি জন্মদিন আছে। কিন্তু তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে শুধু ২৭ সেপ্টেম্বরকেই তারা জন্মদিন হিসেবে পালন করবে।


১৯. গুগলের হাতে নানা রকম কূটকৌশল আছে। যেমন আপনি যদি এস্কিউ (askew) শব্দটি ইংরেজিতে সার্চ করেন তাহলে দেখবেন পুরো পেজটাই একদিকে কাত হয়ে গেছে।

২০. এ্যাপোলো ১১তে চড়ে চাঁদে মানুষ পাঠাতে যতটুকু কম্পিউটিং ক্ষমতা ব্যবহৃত হয়েছিল - এখন মাত্র একটি গুগল সার্চে প্রায় সেই পরিমাণ কম্পিউটিং ক্ষমতা কাজে লাগানো হয়।

২১. গুগল এখন শুধু একটি সার্চ ইঞ্জিন নয়। ভবিষ্যতে এখানে থাকবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্ট্রিমিং-ভিত্তিক গেম খেলার ব্যবস্থা, এমনকি ড্রাইভারবিহীন গাড়ি।

নামটি থেকে বোঝা যায়, আইএমজি ফাইলগুলিতে প্রোগ্রামগুলির অনুলিপি এবং অন্যান্য ফর্মের ডেটা থাকে। একটি আইএমজি হলো Compressed File যাতে আরও ছোট ডেটা প্যাকেজে ফিট হতে পারে। একটি আইএমজি ফাইল খুলতে এবং উইন্ডোজ 7 এ Product গুলি দেখতে আপনার Winrar বা Winzip এর মতো তৃতীয় পক্ষের ফাইল নিষ্কাশন প্রোগ্রামের প্রয়োজন।

1। উইনআর বা--জিপের মতো কোনও ফাইল নিষ্কাশন প্রোগ্রাম ডাউনলোড করুন এবং এটি ইনস্টল করার জন্য অন-স্ক্রীন নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন। 
2। আপনি যে ফোল্ডারটি খুলতে চান সেটিতে ফোল্ডারে নেভিগেট করুন এবং তার আইকনে ডান ক্লিক করুন। একটি মেনু উপস্থিত হবে। 
3। ""Open with (name of file extraction software)" দিয়ে নির্বাচন করুন। প্রোগ্রামটি একটি নতুন উইন্ডোতে খুলবে। 
4। সামগ্রীগুলি ব্রাউজ করতে আইএমজি ফাইলের ফোল্ডারের পাশের প্লাস চিহ্নগুলিতে ক্লিক করুন। 

⬛ টিপস্ : আপনি পর্দার উপরের অংশে "ফাইল" মেনু থেকে "এক্সট্র্যাক্ট" বা "এক্সট্র্যাক্ট টু" নির্বাচন করে আপনার কম্পিউটারে রাখতে ফাইলগুলির অনুলিপি তৈরি করতে পারেন।

সৌদি আরব বলছে, শনিবার সৌদি তেল শোধনাগারের ওপর ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পেছনে যে ইরান রয়েছে সেই প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে। ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে: এ নিয়ে কী ঐ দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যেতে পারে?

যে মাত্রায় হামলার ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরব তা কোনমতেই এড়িয়ে যেতে পারবে না। এবং ইরানই যে ঐ হামলার জন্য দায়ী সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পর সৌদি আরবকে একটা পাল্টা জবাব দিতেই হবে।

ঐ হামলার ঘটনাটি জাতিসংঘ এখন তদন্ত করে দেখছে। সেই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সৌদি সরকার সম্ভবত অপেক্ষা করবে।

এর ফলে যে কোন পদক্ষেপ নেয়ার আগে সৌদি সরকার কিছুটা সময় হাতে পাবে। যদিও বিশেষজ্ঞরা সবাই একমত যে ইরানের বস্তুগত সাহায্য এবং নির্দেশনা ছাড়া ঐ হামলার ঘটনা ঘটানো অসম্ভব।

বাজির খেলায় ইরান

ইরানের তরফ থেকে ঐ হামলার দায়দায়িত্ব শুধু অস্বীকার করলেই যথেষ্ট হবে না।

সৌদি আরব এবং তার মিত্র দেশগুলো বিশ্বাস করে যে ইরান এই বিষয়ে তাদের বাজির মাত্রা বাড়াতে চায় এই লক্ষ্যে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।

গত বছর ইরানের সাথে একটি পরমাণু চুক্তি মি. ট্রাম্প একতরফা-ভাবে প্রত্যাহার করেন এবং নতুন করে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

ইরানের নেতারা আশা করছেন, পারস্য উপসাগরে যুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়লে বিশ্ব নেতারা টের পাবেন ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কতোটা বিপজ্জনক হতে পারে।

ইরানের নেতারা আশা করছিলেন, পরমাণু চুক্তি পালন করার মধ্য দিয়ে এবং ঐ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ণ না করার শর্তে, ইরান ফ্রান্সের কাছ থেকে ১৫০০ কোটি ডলার ঋণ সুবিধে পাবে।

কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই পরিকল্পনায় সায় দেননি। শুধু তাই না, গত বুধবার মি. ট্রাম্প মার্কিন অর্থমন্ত্রীকে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়া নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে, ইরান এই বাজিতে দৃশ্যত হেরে গেছে বলেই মনে হচ্ছে।

সৌদি আরবের ওপর যে মাত্রায় আঘাত হানা হয়েছে, তা ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনির অনুমোদন ছাড়া ঘটা অসম্ভব ছিল।

গত সপ্তাহে মি. খামেনি যে ভাষণ দিয়েছেন তাতে সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগারে হামলার কোন কথা কিংবা ঐ অঞ্চলে যে কোন মুহূর্তে লড়াই বেধে যাওয়ার সম্ভাবনার কথার লেশমাত্র ছিল না।

এর বদলে, ঐ ভাষণে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যে কোন পর্যায়ে আলোচনাকে তিনি খারিজ করে দেন।

তবে আজ হোক কাল হোক, আয়াতোল্লাহ খামেনিকে হয়তো তার অবস্থান পরিবর্তন করতে হতে পারে এবং আলোচনার টেবিলে ফিরে যেতে হতে পারে, ইরানের নরমপন্থী নেতারা যেটা আশা করছেন।

ইরানের ভঙ্গুর অর্থনীতি

ইরানের তেল রপ্তানি এখন শূন্যের কোঠায়। এর অর্থের মজুদ দ্রুত ফরিয়ে আসছে। এখন যা বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে তা দিয়ে মাত্র কয়েক মাস চলবে।
ইরানি মুদ্রার মান কমে আসার ফলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ৪০%। এর ফলে ইরানিদের ক্রয়ক্ষমতা প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে।
তাই, অনেক ইরানির জীবনযাত্রাই এখন কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

সৌদি সামরিক পদক্ষেপের বিপদ

তাহলে ইরানকে হটিয়ে দিতে সৌদি আরব কী সামরিক ব্যবস্থা নিতে পারে?

তেমন সম্ভাবনা কম বলেই মনে হচ্ছে। ইরানের জনসংখ্যা এখন ৮ কোটি। অন্যদিকে সৌদি আরবের জনসংখ্যা ৩.৩ কোটি।

ইরান তার অস্ত্রভাণ্ডারে হাজার হাজার মিসাইল মজুদ রেখেছে। সৌদি তেল-ক্ষেত্র, শোধনাগার, সামরিক ঘাঁটি এবং জনবহুল শহরগুলো এর লক্ষবস্তুতে পরিণত হতে পারে।

তুলনামুলকভাবে সৌদি আরবের অস্ত্রভাণ্ডারে শত শত চীনা মিসাইল থাকলেও তাদের মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ দুর্বল।

সৌদি বিমান বাহিনীতে জঙ্গি বিমানের সংখ্যা ইরানের প্রায় সমান। তবে সৌদি বিমানগুলো বেশ আধুনিক এবং কার্যকর। অন্যদিকে ইরানের বিমান বাহিনীর জঙ্গি বিমানগুলো বেশ পুরনো এবং অদক্ষ।

পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ইরানের মিত্ররা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সৌদি আরবের শিয়া জনগোষ্ঠীর সমর্থনও ইরান পাবে।

ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরব ইতোমধ্যেই এক দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। এই যুদ্ধের জন্য তার প্রচুর অর্থব্যয় হচ্ছে।

তবে যদি সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে কোন সরাসরি লড়াই শুরু হয়, তাহলে দু'পক্ষকেই নির্ভর করতে হবে বিমান বাহিনী এবং ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির ওপর। কিন্তু ঐ যুদ্ধে কোন পক্ষেরই নিরঙ্কুশ বিজয় হবে না।

উপসাগর উত্তপ্ত

পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন সেনা, বিমান এবং নৌবহর মোতায়েন থাকলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোন দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে নারাজ।

কারণ, লড়াই শুরু হলে মার্কিন সেনা-ঘাঁটি এবং নৌবহরগুলো ইরানি হামলার ঝুঁকিতে পড়ে যাবে।

এছাড়া, বিশ্বের সর্বমোট তেল চাহিদার এক পঞ্চমাংশ হরমুজ প্রণালী দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেটিও তখন যুদ্ধের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। যুদ্ধের পটভূমিতে মার্কিন নির্বাচন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসছে। এ পরিস্থিতিতে মার্কিন পেট্রোল পাম্পগুলোতে তেলে দাম হঠাৎ করে আকাশ-ছোঁয়া হয়ে গেলে মি. ট্রাম্পের আবার নির্বাচনে জেতার আশা কঠিন হয়ে পড়বে।

সৌদি আরবের জন্য মার্কিন সমর্থন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মি. ট্রাম্প চাইছেন, এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে হবে সৌদি আরবকে এবং তাকে সাহায্য করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যে ব্যয় হবে সৌদি সরকার সেটি পুষিয়ে দিলেই তিনি খুশি।

ইরানের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার প্রশ্নে সৌদি আরব তার দুই প্রতিবেশী সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনকেও পাশে চায়।

ইরানের সাথে সৌদি যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র তার ইয়োরোপীয় মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক সমর্থন চাইতে পারে। কিন্তু সমস্যা হলো ইয়োরোপীয় দেশগুলো মনে করে এখন ইরানকে ঘিরে যে পরিস্থিতি তার সূত্রপাত ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে মি. ট্রাম্পের সরে আসার একক সিদ্ধান্ত।

ইরানের ভেতরে যার কট্টরপন্থী রয়েছেন তাদের এখনকার ভাবনা, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রশ্নে পদক্ষেপ না নিয়ে দেশকে আরেকটা যুদ্ধের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কৌশল আসলে কতোটা সুবিবেচকের কাজ হবে।


হুথি বিদ্রোহীরা দাবি করছে এই হামলা তারা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি এর পেছনে আছে ইরান। আর ইরান এর সঙ্গে তাদের কোন সম্পর্কের কথা জোর গলায় অস্বীকার করছে।

সৌদি আরবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তেল স্থাপনার ওপর নাটকীয় হামলার পর তীব্র বাকযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। সৌদি আরবের এই তেলস্থাপনাগুলো গোটা বিশ্বের তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে খু্বই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এগুলো যে কতটা নাজুক অবস্থায় আছে, এই হামলা সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছে।

 হামলার পর জ্বলছে সৌদি তেল স্থাপনা
ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যে বিমান হামলা চালাচ্ছে সৌদি আরব, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের মদত আছে। সৌদি আরবের এসব বিমান সরবরাহ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। বহু দিন ধরে সৌদি আরব হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু প্রতিপক্ষও যে পাল্টা হামলার ক্ষমতা রাখে, সৌদি তেল স্থাপনার ওপর এই আঘাত তারই প্রমাণ।

তবে এই ঘটনা সেই পুরোনো বিতর্ককে আবার উস্কে দিয়েছে- হুথি বিদ্রোহীদের ইরান কী পরিমাণ সামরিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে? মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি এমনিতেই অস্থিতিশীল। সেখানে এই সর্বশেষ ঘটনা যেন পুরো অঞ্চলের পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ করে তুলেছে।

কিন্তু এই হামলা একই সঙ্গে ইরানের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি এবং কৌশলের ব্যর্থতাও ফুটিয়ে তুলেছে।

সৌদি তেল স্থাপনায় হামলার ব্যাপারে নানা দাবি এবং পাল্টা দাবির মধ্যে অনেক তথ্য এখনো অজানা।

হুথি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবের বিভিন্ন টার্গেটে আগেও ড্রোন এবং মিসাইল হামলা চালিয়েছে। কিন্তু ড্রোন হামলা থেকে তারা খুব সীমিত সাফল্যই পেয়েছে।

তবে এবারের যে হামলা সেটা এমন মাত্রার যে তার সঙ্গে আগেরগুলোর কোন তুলনাই চলে না। বহুদূর থেকে যেরকম ব্যাপক মাত্রায় যে ধরণের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করা হয়েছে, তার নজির নেই।

মিসাইল না ড্রোন

এই হামলার ব্যাপারে আরেকটি প্রশ্নের উত্তর অমীমাংসিত। হামলায় কি 'আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল' (ইউএভি) ব্যবহার করা হয়েছে, নাকি নতুন কোন ধরণের মিসাইল। যদি মিসাইল ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সৌদি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেন তার সংকেত পেল না?

আরেকটি প্রশ্ন হচ্ছে হামলার পেছনে ইরাকের কোন ইরানপন্থী মিলিশিয়া গোষ্ঠী ছিল, নাকি স্বয়ং ইরানই জড়িত?

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও কিন্তু কোন সময় নষ্ট না করে সরাসরি তেহরানের দিকে আঙ্গুল তুলছেন এই ঘটনার জন্য। ঘটনার ব্যাপারে কোন গোয়েন্দা তথ্যের জন্য পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করেননি।

কয়েকঘন্টা পর অবশ্য মার্কিন সূত্রগুলো দাবি করতে থাকে মোট ১৭টি স্থানে এই ড্রোন হামলা হয় এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই এসব হামলা হয়েছে উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে। যুক্তরাষ্ট্র বলতে চাইছে এই হামলা হয়েছে ইরান বা ইরাকের দিক থেকে, দক্ষিণের ইয়েমেন থেকে নয়।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে তারা এই হামলা ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্য জানাবে। হামলায় ব্যবহৃত যেসব ড্রোন টার্গেট পর্যন্ত যেতে পারেনি, সেগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে।

কোন দিক থেকে হামলা

২০০৮ সালে জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ প্যানেল বলেছিল, হুথি বিদ্রোহীদের কাসেফ-ওয়ান ড্রোনের সঙ্গে ইরানের আবাবিল-টি ড্রোনের ব্যাপক সাদৃশ্য আছে। জাতিসংঘের দলটি তাদের রিপোর্টে বলেছিল, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি আছে, ইরান সেটি ভঙ্গ করেছে এবং হুথি বিদ্রোহীদের নানা রকম অস্ত্র সরবরাহ করেছে।
ইরানি সামরিক সরঞ্জাম কতটা পাচ্ছে হুথি বিদ্রোহীরা
কাসেফ-ওয়ান কিংবা আবাবিল-টি ড্রোন বড়জোর ১০০ বা ১৫০ কিলোমিটার দূরত্বে যেতে পারে। ইয়েমেনের সীমান্ত থেকে খুরাইস তেল ক্ষেত্রের দূরত্ব প্রায় ৭৭০ কিলোমিটার। যেসব টার্গেটে হামলা হয়েছে, তার মধ্যে এই তেলক্ষেত্রই ইয়েমেনের সবচেয়ে কাছে।

কাজেই ইয়েমেনের দিক থেকে যদি এই হামলা হয়ে থাকে, তাহলে এবারের ড্রোনগুলো নিশ্চিতভাবেই একেবারে ভিন্ন ডিজাইনের, যেগুলো অনেক বেশি দূরত্ব পাড়ি দিতে পারে এবং অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য।

ইরান এবং সম্ভবত হুথি বিদ্রোহীদেরও হয়তো আরও দূরপাল্লার ড্রোন আছে। কিন্তু এপর্যন্ত ইয়েমেনের যুদ্ধে সেধরণের ড্রোনের ব্যবহার দেখা যায়নি।

আরেকটা জল্পনা হচ্ছে, হামলায় হয়তো ক্রুজ মিসাইলও ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে। হয়তো ইরাক বা ইরান থেকে এই ক্ষেপনাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে। কিন্তু এই দাবির পক্ষে নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের দরকার হবে।

সর্বাত্মক যুদ্ধের ঝুঁকি কতটা

কিন্তু শেষ বিচারে এসব খুঁটি-নাটি তথ্যের কোন মানে দাঁড়ায় না। কারণ কূটনৈতিক ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব ইরানের নির্মম শত্রু। ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যে মনস্থির করে ফেলেছে। পারস্য উপসাগরে বিভিন্ন জাহাজে হামলার জন্য তারা ইরানকেই দোষী করছে।
 সৌদি বিমান হামলার বিরুদ্ধে মার্কিন কংগ্রেসে অসন্তোষ বাড়ছে
ইরান তাদের একটি তেলবাহী জাহাজ জিব্রালটারে আটক হওয়ার পর পাল্টা একটি ব্রিটিশ জাহাজ জব্দ করে।

ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, সৌদি আরবের তেল স্থাপনার বিরুদ্ধে হুথি বিদ্রোহীদের যত হামলা, তার সবকটিতে ইরানের হাতের ছাপ স্পষ্ট।

কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এ ব্যাপারে তারা কী করবে বা কী করার ক্ষমতা রাখে?

এর উত্তর হচ্ছে, সম্ভবত খুব বেশি কিছু করার ক্ষমতা নেই।

ইয়েমেনের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এমনিতেই শক্তভাবে সৌদি আরবের পক্ষে। কিন্তু এই যুদ্ধের ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসে অতটা উৎসাহ নেই। কংগ্রেসে এমন মত প্রবল হচ্ছে যে, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে এই সৌদি বিমান হামলার কোন মানে নেই। একটা গরীব দেশের ওপর এই হামলা এক বড় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করছে।

ট্রাম্প প্রশাসন যদিও সৌদি আরবের পক্ষে ব্যাপক সমর্থন জোগাচ্ছে এবং ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের কথা বলছে, বাস্তবে তেহরানের কাছে তারা কিন্তু নানা ধরণের বার্তা দিচ্ছে।

একদিকে মনে হচ্ছে মি. ট্রাম্প যেন ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটা মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চান। তিনি মাত্রই তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে বরখাস্ত করেছেন। জন বোল্টন হচ্ছেন সেরকম একজন কট্টরপন্থী, যিনি কিনা যে কোন পন্থায় ইরানের রাষ্ট্রক্ষমতায় পালাবদলের পক্ষে।

ইরান এবং হুথি বিদ্রোহীরা যুদ্ধে যে ধরণের কৌশল নিয়েছে, সেটা শক্তিমানের বিরুদ্ধে দুর্বলের লড়াইয়ের চিরাচরিত কৌশল। বেশিরভাগ কৌশল যেন রুশদের কাছ থেকে ধার করা- যে কোন কিছু অস্বীকার করা, ছায়াযুদ্ধ, সাইবার হামলা এবং প্রপাগান্ডা যুদ্ধ।

তেহরান ভালো করেই জানে, মিস্টার ট্রাম্প মুখে যত কথাই বলুন, আসলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন কোন যুদ্ধে জড়াতে চান না, বরং যুদ্ধ থেকে বের করে আনতে চান। এর ফলে ইরানই বরং এখন পাল্টা সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছে।

কিন্তু যে কোন মূহুর্তে যে কারও একটা ভূল হিসেবের কারণে একটা সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার আশংকা আছে, যেটা আসলে কেউই চায় না।


আপনি কি একজন সৎ মানুষ?

সামাজিক কোনও বিষয়ের কথা এলে দেখা যায় মিথ্যার অস্তিত্ব থাকতে পারে কিংবা অন্তত সাদাসিধে কিছু নির্দোষ মিথ্যা-যা হয়তো সমাজে আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে।



এবং যদিও আমরা মিথ্যা ধরে ফেলতে খুব দক্ষ নই, কিন্তু তারপরও কিছু সহজ উপায় আছে যা হয়তো আপনাকে কোনটি মিথ্যা তা সহজে বুঝতে সাহায্য করবে...

মানুষের এবং প্রাণী জগতের মধ্যে বিদ্যমান অসদাচরণের পেছনে কি কারণ তা অনুসন্ধানের জন্য গবেষণা শুরু করেন জীববিজ্ঞানী এবং লেখক লুসি কুক। শান্তির জন্য সত্যকে কলুষিত করছি

প্রায়ই লোকজন যখন তাদের কথা বা কাজ দিয়ে আমাদের প্রতারিত করার চেষ্টা করে তখন আমরা তাকে বলি মিথ্যাচার।। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সাধারণ কথাবার্তায় সেটা ঘটতে পারে কারণ যেটা আমরা সত্যিকারে ভাবি সেটা কিন্তু আমরা বলি না।কল্পনা করুন তো, প্রতিটি আড্ডায়, আপনার সাথে যাদের আলাপ হয়েছে তাদের যদি আপনি বলেন, আপনার সম্পর্কে এবং আপনার জীবনের সিদ্ধান্তগুলো সম্পর্কে তাদের সত্যিকার ভাবনা কি- সেটা জানাতে? সেটা হবে প্রচণ্ড অসহনীয়।

এমনকি যদি কারো অনেক টাকা দিয়ে করা নতুন হেয়ার স্টাইল দেখে তা আমাদের পছন্দ নাও হয় তবুও আমাদের বেশিরভাগই তা প্রকাশ করার দু:স্বপ্ন দেখবে না।

আমাদের বিবেচনা বলে যে, একশো ভাগ সত্যবাদী হওয়ার ফলে ভালোর চেয়ে তা ক্ষতিই করতে পারে এবং এইরকম পারস্পরিক সহযোগিতার আদান-প্রদানই মানুষের সামাজিক যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু ।

হ্যাঁ এভাবে প্রবঞ্চনা বা মিথ্যাচার হলো এক ধরনের আঠা যা আমাদের একে অপরের সাথে যুক্ত রাখে, সহযোগিতার চাকায় তেল দেয় এবং বিশ্বকে রাখে বন্ধুত্বপূর্ণ ও শান্তিময়।

আমাদের এক-তৃতীয়াংশ রোজ মিথ্যা বলে

"প্রতিদিনই জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ গুরুতর মিথ্যা বলে"-মনোবিজ্ঞানী রিচার্ড ওয়াইজম্যান বলেছেন।

এবং যদিও সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে যে, পাঁচ শতাংশ মানুষ দাবি করেছে যে তারা কখনোই মিথ্যা বলেনি। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে আমাদের অনেকেই নাম প্রকাশ না করে চালানো জরিপেও সত্যি বলতে অপারগ...

মিথ্যা শনাক্তকরণে বিচারকদের চেয়ে কয়েদীরা এগিয়ে

মনোবিজ্ঞানী রিচার্ড ওয়াইজম্যান বলেন, "আমরা মিথ্যা বলায় বেশ ভালো, মিথ্যা শনাক্ত করণে বেশ বাজে"।

আমরা মনে করি যে প্রতারণা ধরে ফেলতে আমরা বেশ দক্ষ, কিন্তু যখন দুইজন মানুষকে আপনি গবেষণাগারে নিয়ে যাবেন এবং একটি ভিডিও দেখাবেন যেখানে একজন মানুষ মিথ্যা বলছেন এবং আরেকটিতে তারা সত্যি কথা বলছে- এরপর যখন তাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন কোনটা কি-তখন তাদের মধ্যে কেবল ৫০ শতাংশ মানুষ সঠিকভাবে বলতে পারবে।

এবং পুলিশ, আইনজীবী এবং এমনকি বিচারকদের ক্ষেত্রেও তা সত্য। সেখানে কেবল একটি গ্রুপ আছে যারা ভিন্ন এবং হল কারাবন্দী কয়েদীরা।

কারও মিথ্যা ধরতে হলে চোখ নয় নিজের কান-দুটো ব্যবহার করুন

মিথ্যা ধরে ফেলতে আমরা খুব একটা দক্ষ নই কারণ আমরা সব চাক্ষুষ করে বা চোখ দিয়ে দেখে তারপর বিচার-বিবেচনা করি। আমাদের ব্রেইনের বিশাল অংশ নিয়োজিত রয়েছে দৃষ্টিগোচর করার কাজে এবং সেকারণে কেউ মিথ্যা বলছে কিনা তা সনাক্ত করার জন্য আমরা এভাবেই বোঝার চেষ্টা করি।

তারা কি তাদের বসার আসনের চারদিকে ঘোরাঘুরি করছে? তারা কি ইঙ্গিত করছে? তাদের মুখের ভঙ্গি কেমন?

এর অধিকাংশ বিষয় মোটামুটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য। সুদক্ষ মিথ্যাবাদীরা জানে অন্য লোকেরা কিভাবে চেষ্টা করে এবং মিথ্যা ধরে ফেলতে চায়।

এর বাইরের সংকেতগুলি হচ্ছে মৌখিক: আমরা যা বলি এবং যেভাবে বলি।

এটা নিয়ন্ত্রণ করা মিথ্যাবাদীদের জন্য বেশ কঠিন -সুতরাং সেদিকে যদি আপনি নিজের মনোযোগ দেন তাহলে আপনি হবেন আরও ভালো মিথ্যা শনাক্তকারী। যারা মিথ্যাবাদী তারা সাধারণভাবে কম কথা বলে; তারা একটি প্রশ্নের পর উত্তর দিতে দীর্ঘ সময় নেয়; এবং তারা মিথ্যা থেকে নিজেদের দূরত্ব দেখাতে চায়: তাই "আমি", "আমার" এবং "আমি" শব্দগুলো প্রায়শই বাদ পড়ে যায়।

 যা দেখছেন সবসময় কি তাই বিশ্বাস করেন?
যদি আপনি দক্ষ মিথ্যাবাদী হন, তাহলে কপালে 'কিউ' লিখুন

আমাদের মধ্যে কেউ কেউ একে অপরের চেয়ে বেশি মিথ্যা বলতে ওস্তাদ, এবং রিচার্ড ওয়াইজম্যান দুটি গ্রুপের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য একটি পরীক্ষা চালান। এটাকে বলে "কিউ" টেস্ট এবং এটা সম্পন্ন করার জন্য মাত্র ৫ সেকেন্ড সময় লাগে।
আপনার তর্জনী আঙ্গুল হাতের ওপর রাখুন এবং কপালের ওপর বড় হাতের "কিউ" আঁকুন।

প্রশ্ন হল, কিউ'র লেজের অংশটি কি আপনার ডান চোখের ওপরে পড়েছে? নাকি বা চোখের ওপরে?

অন্য কথায়,আপনি কি "কিউ" এমনভাবে লিখেছেন যাতে করে কেউ আপনার দিকে তাকালে সেটি পড়তে পারে? নাকি যাতে আপনি নিজেই সেটি পড়তে পারেন?

এই তত্ত্বের মানে হল যে, যদি "কিউর লেজ বাম চোখের ওপরে থাকে - তাহলে আপনার দিকে তাকালে লোকজন সেটা পড়তে পারে- সর্বদা আপনি ভাবছেন যে অন্যান্য লোকেরা আপনাকে কিভাবে দেখছে এবং সুতরাং আপনি একজন দক্ষ মিথ্যাবাদী হবেন।

কিন্তু যদি সেটি আপনি ডান চোখের বরাবর রাখেন তাহলে বুঝতে হবে যে আপনি বিশ্বকে দেখছেন আপনার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে -আপনার মধ্যে সততার প্রতি একটু বেশি ঝোঁক আছে।

পৃথিবী জালিয়াত শিল্পীদের দ্বারা পরিপূর্ণ

সব জায়গাতেই প্রতারণা। প্রাকৃতিক পৃথিবীতে প্রাণীকুল ছদ্মবেশ এবং ব্যবহার দ্বারা প্রতিনিয়ত একজন আরেকজনকে প্রতারণা করে যাচ্ছে ।

ধরা যাক সামুদ্রিক মাছ স্কুইডের কথাই, যেটি শিকারীর থেকে নিজেকে দূরে রাখার জন্য ছদ্মবেশ ধারণ করে, কেবল নিজের দেহের একপাশে যৌন সংকেত পাঠিয়ে যা তার প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে নিজেকে গোপন রাখে।

এবং কখনো একটি মুরগীকে বিশ্বাস করবার নয়...পুরুষ মোরগগুলো এমনভাবে আওয়াজ করে খাবারের মিথ্যে প্রলোভন তুলে ধরবে যে নারী মোরগগুলো ছুটে আসবে। এরপর তাদের রাতের খাবারের পরিবর্তে যৌনকার্যে বাধ্য করবে।

সামুদ্রিক পাখিরা বেশিরভাগই আজীবনের জুটি বেঁধে থাকে এবং আমরা ভাবি যে, তারা হয়তো সঙ্গীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকে।

কিন্তু বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে এমনকি আজীবনের জন্য জুটি-বদ্ধ পাখিরাও-যেমন গিলিমট (উত্তর মেরু অঞ্চলের সামুদ্রিক পাখি) যদি মনে করে যে তাদের আরও এবং উন্নতমানের বংশ বিস্তারের সম্ভাবনা রয়েছে তাহলে তারা গোপন "বিবাহ-বহির্ভূত" সম্পর্কে যুক্ত থাকবে।

মানুষ কখন মিথ্যাচার শুরু করে?

গবেষক রিচার্ড ওয়াইজম্যান বলেছেন, বাচ্চারা কখন থেকে মিথ্যা বলতে শুরু করে সে বিষয়ে কিছু মজার বিষয় উঠে এসেছে।

"আপনি শিশুদের একটি কক্ষে নিয়ে যাবেন, এবং তাদের বলবেন, 'আমরা তোমার প্রিয় খেলনা তোমার পেছনে রেখে দেবো, কিন্তু প্লিজ তাকাবে না'- এবং এরপর আপনি কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাবেন এবং তাদের আবারো মনে করিয়ে দিন খেলনার দিকে না তাকাতে"।

যেহেতু কোনও সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে তাদের কর্মকাণ্ড আপনি প্রত্যক্ষ করবেন, আপনি বুঝতে পারবেন যে, কয়েক মিনিট পরেই তারা খেলনার দিকে তাকাবে।

এরপর কক্ষে ফিরে গিয়ে তাদের কাছে জানতে চান, "তোমরা কি খেলনার দিকে তাকিয়েছিলে?"



"যখন তিন বছর বয়সী বাচ্চাদের সাথে আপনি এই টেস্ট করবেন এবং যে বয়সে তারা কথাবার্তায় পাকা হতে শুরু করেছে- দেখবেন ইতোমধ্যে তাদের ৫০শতাংশই মিথ্যে বলছে"-বলেন গবেষক রিচার্ড।
"আর যখন তাদের বয়স পাঁচ বছরে পৌঁছাবে তখন তাদের একজনও সত্যি কথা বলবে না!"

আমাদের আছে কৌশলপূর্ণ ছলচাতুরীর দীর্ঘ ইতিহাস

জটিলতাপূর্ণ সামাজিক বিশ্বে দিক-নির্দেশনার জন্য অনেকক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে মিথ্যা।

শিম্পাঞ্জির মতো প্রাণীদের একটি বড় গ্রুপে থাকার বিশাল সুবিধা রয়েছে: আপনি খাদ্য শিকারের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিতে পারেন, এবং শিকারিদের খুঁজে বের করার জন্য আরও অনেক চোখ সক্রিয় থাকে।

কিন্তু যদি আপনি খাবারের জন্য অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতার মধ্যে থাকেন , সেটা লড়াইয়ের দিকে নিয়ে যেতে পারে যা আপনাকে এবং অন্যকে আহত করার ঝুঁকি তৈরি করে এবং সেটা একটি দলের জন্য নিশ্চয়ই বেহিসাবি ফলাফল আনবে।
ফলে কৌশলপূর্ণ হওয়াটা আসলেই আপনার এবং অন্য সবার জন্য ভালো।
সামাজিক প্রজাতির বিবর্তনে কৌশলগত প্রতারণার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।

একটি অগ্রগামী সমাজ একতার সুরের সাথে এগিয়ে চলে যা একে অপরের সাথে একসূতোয় আবদ্ধ থাকার কথা বলে: গবেষণা বলছে যত বেশি কেতাদুরস্ত প্রাণী, তত বেশি ছল-চাতুরীর খেলা।

সুতরাং, মিথ্যাবাদী হওয়াটা সবসময়ই যে খুব খারাপ বিষয় তেমনটি নাও হতে পারে।
সর্বোপরি, মিথ্যে ছাড়া আমরা থাকতে পারবো না: এটা আসলে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খুব গুরুতর রূপ নিয়েছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) এ বছরের ৯ই জানুয়ারি যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেখানে 'গণতান্ত্রিক' কিংবা 'ত্রুটিপূর্ণ গণতান্ত্রিক' দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই।

গত এক দশক ধরে স্বৈরতান্ত্রিক ও ত্রুটিপূর্ণ গণতান্ত্রিক অবস্থার মাঝামাঝি 'হাইব্রিড রেজিম' তালিকায় দেশটি অবস্থান করছে বলে ইআইইউ বলছে। তবে বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচকে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের স্কোর আগের বছরের তুলনায় ০.১৪ বেড়েছে। ফলে ২০১৭ সালে যেখানে দেশটির অবস্থান ছিলো ৯২তম, পরের বছর হয়েছে ৮৮তম।

ইআইইউ প্রতিটি দেশকে গণতন্ত্র সূচক পরিমাপ করতে পাঁচটি মানদণ্ড ব্যবহার করে। সেগুলো হলো - নির্বাচনী ব্যবস্থা ও বহুদলীয় অবস্থান, নাগরিক অধিকার, সরকারে সক্রিয়তা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণ।

প্রত্যেকটি মানদণ্ডকে ০ থেকে ১০ স্কোরের মধ্যে হিসেব করে গড় করা হয়।

প্রাপ্ত স্কোরের ভিত্তিতে দেশগুলোকে চারটি ক্যাটেগরিকে ভাগ করা হয় - 

স্বৈরতন্ত্র, হাইব্রিড রেজিম, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র এবং পূর্ণ গণতন্ত্র।

এই হিসেব অনুযায়ী, একটি দেশকে "পূর্ণ গণতান্ত্রিক" অবস্থায় যেতে হলে গণতান্ত্রিক সূচকে ৯ থেকে ১০ স্কোর করতে হয়।

যেসব দেশের স্কোর ৭ থেকে ৮ সেসব দেশকে "ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র" বলা হয়েছে।

তবে এর নিচের অবস্থান "হাইব্রিড রেজিম"-এ তালিকাভুক্ত দেশগুলোর স্কোর ৫ থেকে ৬ এবং "স্বৈরতান্ত্রিক" দেশগুলোর স্কোর ০ থেকে ৪ এর মধ্যে।

১৬৭টি দেশের মধ্যে মাত্র ২০টি দেশ গণতন্ত্রের তালিকায়, ৫৫টি দেশ ত্রুটিপূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশের তালিকায়, ৩৯টি দেশ হাইব্রিড রেজিমের তালিকায় এবং ৫৩টি দেশ স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায় আছে।



'হাইব্রিড রেজিম'-এর বৈশিষ্ট্য কী?
'ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র' এবং 'স্বৈরতন্ত্রের' মাঝামাঝি অবস্থান 'হাইব্রিড রেজিম' আসলে কী? একটি দেশের কোন কোন বৈশিষ্ট্যের জন্য এই তালিকায় পড়ে - ইআইইউ-এর গবেষণা পদ্ধতিতে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

সেখানে যা বলা হয়েছে তা হলো -

নির্বাচনে বেশ অনিয়মের ঘটনা ঘটে, যা নির্বাচনের সুষ্ঠুতা ও নিরপেক্ষতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে;

বিরোধী দল এবং প্রার্থীর ওপরে সরকারি চাপ খুবই সাধারণ ঘটনা; রাজনৈতিক সংস্কৃতি, সরকারের সক্রিয়তা এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণের বিষয়ে মারাত্মক দুর্বলতা দেখা যায়, যা ত্রুটিপূর্ণি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকেও বেশি; দুর্নীতির বিস্তার প্রায় সর্বত্র এবং আইনের শাসন খুবই দুর্বল; সিভিল সোসাইটি দুর্বল;

সাধারণত, সাংবাদিকরা সেখানে হয়রানি ও চাপের মুখে থাকে এবং বিচার ব্যবস্থাও স্বাধীন নয়;

বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের অবস্থান
ইকোনমিস্ট ইনটিলিজেন্স ইউনিট-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৬.১১ (ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র), সেটি ২০০৬ সালে। কিন্তু ২০০৮ সাল থেকে দেশটি 'হাইব্রিড রেজিম'-এর তালিকায় আছে।


২০১৭ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫.৪৩। ইকোনমিস্ট গ্রুপ ২০০৬ সালে এই সূচক প্রকাশ শুরু করার পর সেটাই ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে বাজে অবস্থান।

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান কত?
ইআইইউ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় 'ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র' বিরাজ করছে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল ও পাকিস্তানে 'হাইব্রিড রেজিম' এবং আফগানিস্তানে 'স্বৈরতন্ত্র" সরকার ব্যবস্থা আছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

২০০৬ সাল থেকে এধরনের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করছে ইআইইউ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণতন্ত্র পর্যালোচনা করে তারা এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তবে এবার ২০১৮ সালে বিশ্বে গণতন্ত্রের অবস্থায় বড় কোনো হেরফের হয়নি।

সর্বোচ্চ স্কোর ৯.৮৭ পেয়ে গণতন্ত্র সূচকে সবচেয়ে উপরের অবস্থানে আছে নরওয়ে। অন্যদিকে, মাত্র ১.০৮ স্কোর নিয়ে উত্তর কোরিয়ার অবস্থান সবার নীচে।

অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় মৃতদেহ বিশ্লেষণ করে মৃত্যুর কারণ জানার যে চেষ্টা করা হয়, তাকেই পোস্টমর্টেম বা ময়নাতদন্ত বলা হয়।

পোস্টমর্টেম শব্দটি অটোপসি, নিক্রোপসি ইত্যাদি দ্বারাও বোঝানো হয়ে থাকে।

বাংলাদেশে প্রতিবছর কয়েকশো ময়না তদন্ত হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ বা হাসপাতালে আলাদা আলাদাভাবে সেটি হওয়ায় এর মোট সংখ্যাটি কারো জানা নেই।



পোস্টমর্টেম কেন করা হয়?


মৃত্যুর কারণ জানার জন্য পোস্টমর্টেম বা ময়নাতদন্ত করা হয়।
''কোন ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে বা তার মৃত্যু নিয়ে কোন সন্দেহ তৈরি হলে, মৃত্যুর সঠিক কারণটি জানার জন্য মৃতদেহের পোস্টমর্টেম করা হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে মৃতদেহ বিশ্লেষণ করে বোঝার চেষ্টা করা হয়, ঠিক কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।''

অনেক সময় শরীরের ভেতরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখা হয়। যেমন ধর্ষণের অভিযোগে সিমেন সংগ্রহ করে ডিএনএ ম্যাচ করা হতে পারে। আবার আত্মহত্যার মতো অভিযোগে ভিসেরা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বোঝা যায় যে বিষপ্রয়োগের কোন ঘটনা ঘটেছে কীনা।

অনেক সময় কোন ব্যক্তি অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করার পরেও যদি ওই মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়, তাহলে তখন যে পোস্টমর্টেম করা হয়, তাকে বলা হয় ক্লিনিক্যাল পোস্টমর্টেম।

ময়নাতদন্ত নাম কীভাবে এলো?
অটোপসি শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ অটোপসিয়া থেকে। যার অর্থ মৃতদেহ পরীক্ষা-নিরীক্ষার করার মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করা।

ময়না শব্দটি ফার্সি বা উর্দু থেকে এসেছে, যার অর্থ ভালো করে খোঁজা বা অনুসন্ধান করা। ফলে ময়না তদন্ত মানে হলো ভালো করে তদন্ত করে দেখা।

যেহেতু মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকরা এই কাজটি করে থাকেন, এ কারণেই এর নাম হয়েছে ময়না তদন্ত।

কীভাবে ময়না তদন্ত করা হয়
হত্যা, আত্মহত্যা, দুর্ঘটনার মতো যেকোনো অপমৃত্যু বা অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পোস্টমর্টেম বা ময়না তদন্ত করা হয়ে থাকে।

এ ধরনের ঘটনায় প্রথমেই পুলিশ একটি সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। অর্থাৎ মৃতদেহ কী অবস্থায় পাওয়া গেছে, তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এরপর মৃত্যু সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার জন্য ময়না তদন্ত করতে পাঠানো হয়।

মর্গে ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকরা সেই সুরতহাল প্রতিবেদন দেখে, প্রথমে মৃতদেহের বাহ্যিক অবস্থার বিশ্লেষণ করেন। সেখানে কোন আঘাত বা ক্ষত আছে কিনা, ত্বক ও জিহ্বার রঙ ইত্যাদি দেখে প্রথম প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।

এরপরে মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদ করে মস্তিষ্ক, ফুসফুস, লিভারসহ শরীরের ভেতরটা যাচাই করে দেখা হয়। ফলে শরীরের ভেতরে কোন আঘাত থাকলে, রক্তক্ষরণ বা বিষক্রিয়া থাকলে, সেটি চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন। কোথাও আঘাতের চিহ্ন থাকলে সেটি কীভাবে হয়েছে, তা ভালো করে যাচাই করা হয়।

এই কাজটি করতে গিয়ে মৃতদেহের নানা অংশ কেটে দেখতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা। এ সময় শরীরের নানা প্রত্যঙ্গও সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়ে থাকে।

ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহ আবার সেলাই করে আগের মতো অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়। তবে শরীরের অভ্যন্তরীণ কোন কোন অংশ কেটে আরো পরীক্ষার জন্য গবেষণাগারে পাঠানো হতে পারে।

ময়না তদন্ত থেকে কী জানা যায়?
ময়না তদন্তে বেশ কয়েকটি বিষয় জানার প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি বিষয় হলো মৃত্যু কীভাবে হয়েছে এবং কখন মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কিনা, আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে কিনা, বিষ খাওয়ানো হয়েছে কিনা, রক্তক্ষরণের কোন ঘটনা আছে কিনা- ইত্যাদি বিষয়ও ময়না তদন্তে বেরিয়ে আসে।

কোন মৃত্যুর ময়না তদন্ত করা হয়?
ফৌজদারি কার্যবিধিতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, কোন মৃত্যুর ঘটনাগুলোয় ময়না তদন্ত করা হবে।

''হত্যাকাণ্ড, দুর্ঘটনায় মৃত্যু, বিষপানে মৃত্যু, শরীরের যদি কোন আঘাতের দাগ থাকে, অর্থাৎ স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি বলে সন্দেহের অবকাশ থাকলেই সেখানে মৃত্যুর কারণ জানার জন্য পোস্টমর্টেম করতে হবে।''

এ ধরনের ঘটনায় প্রথমে পুলিশ একটি সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। অর্থাৎ পুলিশ কর্মকর্তা কী অবস্থায় মৃতদেহটি দেখেছেন, মৃতদেহের বিস্তারিত বর্ণনা এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এরপর থানায় মামলা বা সাধারণ ডায়রির পরে পুলিশ মৃতদেহটি ময়না তদন্ত করার জন্য পাঠিয়ে থাকে।

তবে পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু হলে একজন ম্যাজিস্ট্রেট সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

ময়না তদন্ত কোথায় হয়?
বাংলাদেশের ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ বেশ কয়েকটি মেডিকেল কলেজে মর্গ রয়েছে। সেখানে ময়না তদন্তের জন্য বিশেষ স্থান থাকে। সেখানে ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা ময়না তদন্ত করে থাকেন।

এর বাইরে যেসব জেলা শহরে আড়াইশো শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল রয়েছে, সেখানে ময়না তদন্ত করা হয়ে থাকে। মেডিকেল কলেজগুলোয় ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপকরা ময়না তদন্ত করলেও, জেলা শহরে সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধানে আবাসিক সার্জনরা সেটা করে থাকেন।

যত দ্রুত ময়না তদন্ত করা যাবে, তত ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

তবে অনেক সময় মৃত্যুর অনেক পরেও, দাফন হয়ে যাওয়ার দীর্ঘ সময় পরেও পুনরায় ময়না তদন্তের উদাহরণ রয়েছে।

ময়না তদন্তের প্রকারভেদ
মৃত্যুর কারণ জানার জন্য মূলত ময়না তদন্ত করা হলেও এর আরো কয়েকটি ভাগ রয়েছে। যেমন:

মেডিকেল: অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ জানতে এই ময়না তদন্ত করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি একটি প্রচলিত পদ্ধতি।

একাডেমিক: চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদ করা হয়ে থাকে।

ক্লিনিক্যাল: অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যুর পরেও কারো মৃত্যু নিয়ে যদি বিতর্ক তৈরি হয়, তখন ক্লিনিক্যাল পোস্টমর্টেম করা হয়।

ময়না তদন্তের ব্যতিক্রম
অনেক সময় অস্বাভাবিক মৃত্যু হলেও পরিবারের স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়না তদন্ত ছাড়াও মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়ে থাকে।

''বাস দুর্ঘটনার মতো অনেক অস্বাভাবিক মৃত্যুর মতো ঘটনায় যখন মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহ থাকে না, তখন পরিবারের অনুরোধে ময়না তদন্ত ছাড়াই মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়ে থাকে। কারণ পরিবারের সদস্যরা চান না, তাদের স্বজনদের মৃতদেহ কাটাছেঁড়া করা হোক। তখন ম্যাজিস্টেটের অনুমতি নিয়ে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হতে পারে।''

কিন্তু মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহ থাকলে অবশ্যই ময়না তদন্ত করা হবে,

ময়না তদন্তের ইতিহাস
সতেরশো শতক থেকেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর পোস্টমর্টেমের রীতি চালু রয়েছে।
তবে তখনকার তুলনায় এখন অনেক আধুনিকভাবে ময়নাতদন্ত করা হয়ে থাকে।
রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে বিংশ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকরী ছিল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। একবিংশ শতাব্দীতে এসে সে চিত্র অনেকটাই বদলে গেছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীর অনেকে দেশে গণতন্ত্র নামেমাত্র কার্যকর রয়েছে।

কর্তৃত্ববাদী সরকার ব্যবস্থা নিয়ে নির্মিত বিদ্রুপাত্মক চলচ্চিত্র 'দ্যা গ্রেট ডিক্টেটর'-এ অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন। চলচ্চিত্রটি ১৯৪০ সালে মুক্তি পায়।


বিংশ শতাব্দীর মতো অনেক দেশে সরাসরি সামরিক শাসন না থাকলেও, অনেক দেশে গণতান্ত্রিক-ভাবে নির্বাচিত সরকারগুলো সামরিক একনায়কদের মতোই আচরণ করছে বলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণে বলা হচ্ছে।


অনেক দেশে পরিপূর্ণ বেসামরিক সরকার থাকলেও সেখানে গণতন্ত্র কতটা কার্যকরী আছে সেটি নিয়ে অনেক প্রশ্নের উদয় হয়েছে।

একটি দেশে বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় থাকলেও সে দেশে গণতন্ত্র নাও থাকতে পারে। কিভাবে বুঝবেন একটি দেশে গণতন্ত্র নেই?

১. প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন:

গণতন্ত্রের মূল বিষয় হচ্ছে নির্বাচন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মধ্যে নির্বাচন হলো 'গণতন্ত্রের প্রাণভোমরা' । সে নির্বাচন হতে হবে এবং অবাধ ও স্বচ্ছ। যে দেশে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি এবং জবরদখল হয় সেটিকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলতে নারাজ রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা। 


২. একনায়করাও নির্বাচন করে:

যেসব দেশে বেসামরিক একনায়কতন্ত্র আছে সেখানেও নিয়মিত নির্বাচন হয়।
কারণ তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে শাসকগোষ্ঠী তাদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রাখে।
এখন নির্বাচনে কারচুপি শুধু জাল ভোটের মাধ্যমে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়না, এর নানা দিক আছে।
লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্সের গবেষক ব্রায়ান ক্লাস বলেন, নির্বাচনের সময় অধিকাংশ একনায়ক শাসক তাদের প্রতিন্দ্বন্দ্বিকে নানা কৌশলের মাধ্যমে নির্বাচনে অযোগ্য করে দেন।

৩. জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করা:

গণতন্ত্রে জনগণের মতামতের প্রাধান্য একটি বড় বিষয়। একটি সরকার নির্বাচিত হলেই গণতান্ত্রিক হয়না।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে গণতন্ত্র না থাকলে এবং একনায়কতন্ত্রের আবির্ভাব হলে জনগণের মতামতকে সহিংসভাবে দমনের চেষ্টা করা হয়।
এর ফলে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ইয়াহিয়া আখতার বলেন, 'সিভিলিয়ান অটোক্র্যাট' বা 'বেসামরিক স্বৈরশাসক' বলে একটি কথা রাষ্ট্রবিজ্ঞানে চালু আছে। তিনি বলেন, "অনেক সময় গণতান্ত্রিক সরকারের চরিত্র দেখে অনেক সামরিক শাসকও লজ্জা পেতে পারে।"


২০১২ সালে নির্মিত কমেডি চলচ্চিত্র 'দ্য ডিক্টেটর''। এই চলচ্চিত্রে কাল্পনিক দেশ ওয়াদিয়ার স্বৈরশাসকের চরিত্রে অভিনয় করেন সাচা ব্যারন কোহেন। একটি দেশে একজন স্বৈরশাসকের পক্ষে কী কী নৈরাজ্য চালানো সম্ভব তা ঠাট্টা এবং তামাশাচ্ছলে চলচ্চিত্রটিতে তুলে আনেন পরিচালক।


৪.
ভোটার অংশগ্রহণ কমে যাবে:


দেশে গণতন্ত্র থাকেনা সেখানে শাসকগোষ্ঠী নিয়মিত নানা ধরণের নির্বাচন অনুষ্ঠান করলেও সেসব নির্বাচনের প্রতি মানুষের কোন আস্থা থাকেনা। ভোটাররা ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। তারা ভোট দেবার জন্য ভোট কেন্দ্রে যেতে চায়না।

৫. সংসদ হবে একদলীয়:

রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে একটি দেশে যখন গণতন্ত্র থেকে বিচ্যুত হবার দিকে ধাবিত হয় তখন সংসদে ক্ষমতাসীনদের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকে। সংসদে কার্যত কোন বিরোধী দল থাকেনা।

৬. নিরাপত্তা বাহিনীর প্রভাব:

রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে গণতন্ত্র না থাকলে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো নানা ধরণের আইন-বহির্ভূত কাজ জড়িয়ে পরে। কারণ, শাসক গষ্ঠী তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নিরাপত্তাবাহিনীকে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন এবং সাধারণ মানুষকে দাবিয়ে রাখার কাজে ব্যবহার করে।

৭. দুর্বল প্রতিষ্ঠান:

অধ্যাপক ইয়াহিয়া আখতারের মতে গণতন্ত্র কায়েম করতে হলে কিছু প্রতিষ্ঠানকে কার্যকরী করতে হয়। যেমন: নির্বাচন কমিশন, সংসদ, বিচার বিভাগ ইত্যাদি। অধ্যাপক আখতার বলেন একটি দেশে যদি এসব প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক প্রভাব থাকে এবং সেগুলো ভঙ্গুর অবস্থার দিকে অগ্রসর হয়, তাহলে বুঝতে হবে সে দেশে গণতন্ত্র নেই।

৮. মতপ্রকাশে ভয় পাওয়া

গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকলে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমও স্বাধীনভাবে কাজ করতে ভয় পায়। এমনকি শাসকগোষ্ঠী ইন্টারনেটও নিয়ন্ত্রণ করতে চায় যাতে করে মানুষ সেখানে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে না পারে।

৯. দুর্নীতি বেড়ে যাওয়া:

একনায়কতন্ত্রে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ঘটে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ক্রয় করার জন্য এই দুর্নীতি ব্যবহার করা হয়। এই ব্যবস্থায় দুর্নীতি এমন সুন্দরভাবে সাজানো হয় যে, সেটি অল্প কিছু ব্যক্তির উপর নির্ভর করে। শাসকের অনুগত হবার বিনিময়ে তাদের দুর্নীতি করার সুযোগ করে দেয়া হয়। ফলে তারা আরো ধনী হয়। যদি কোন কারণে সন্দেহ হয় যে তারা শাসকের অনুগত নয়,তখন তাদের দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়।

১০. ক্ষমতা হারানোর ভয়

একনায়ক শাসকরা অবসরের ভয়ে থাকেন। তাদের মনে থাকে যে ক্ষমতা হারানোর পর একটি অনিশ্চিত পরিস্থিতির তৈরি হবে। ফলে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ প্রতিশোধ নিতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, খাদ্যাভ্যাসে মাত্র পাঁচটি পরিবর্তন এনে হৃদরোগ ও স্ট্রোক থেকে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি।

ব্রিটেনে পুষ্টি ফাউন্ডেশন তাদের নতুন এক রিপোর্টে বলছে, বয়স কম হওয়া সত্ত্বেও এই দুটো কারণে বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
এক পরিসংখ্যান বলছে, ব্রিটেনে যতো মানুষের অকাল মৃত্যু হয় তার অন্তত চার ভাগের এক ভাগের মৃত্যুর জন্যে দায়ী হৃদরোগ।
বেশি করে আঁশযুক্ত খাবার খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যাবে।

স্বাস্থ্য গবেষকরা বলছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব।

পুষ্টি ফাউন্ডেশনের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মানুষের দেহের অত্যন্ত ক্ষুদ্র একটি অণুজীব মাইক্রোবায়োম যদি সুস্থ থাকে এবং কোমরের আকার যদি খুব বেশি বেড়ে না যায়, পাশাপাশি রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কম রাখা যায় তাহলেই হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে সামান্য কিছু পরিবর্তন এনেই এসব অর্জন করা সম্ভব।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে খাবার-দাবারের বেলায় কী ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে?

১. বেশি করে আঁশযুক্ত খাবার খান

যেসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ আছে সেসব খাবার খাবেন। এসব খাবারের কারণে শরীরে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়।

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সাহায্য করে এই ব্যাকটেরিয়া।

বেশি আঁশ আছে এরকম সবজির মধ্যে রয়েছে শিম ও মটরশুঁটি জাতীয় সবজি, কলাই ও ডাল জাতীয় শস্য এবং ফলমূল।

পুষ্টি বিজ্ঞানীরা বলছেন, আলু এবং শেকড় জাতীয় সবজি খোসাসহ রান্না করলে সেগুলো থেকেও প্রচুর আঁশ পাওয়া যায়।

এছাড়াও তারা হোলগ্রেইন আটার রুটি এবং বাদামী চাল খাবারও পরামর্শ দিয়েছেন।

২. স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা জমাট-বাঁধা চর্বি জাতীয় খাবার কমিয়ে ফেলুন

খাদ্য বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেসব খাবারে বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা জমাট-বাঁধা চর্বি থাকে সেসব খাবার খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে বেড়ে যায় হৃদরোগের ঝুঁকিও।

চিজ, দই, লাল মাংস, মাখন, কেক, বিস্কিট ও নারকেল তেলে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে।

চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করুন।
তারা বলছেন, হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে হলে স্যাচুরেটেড নয় এমন চর্বি (যেসব খাবারের উপর চর্বি জমাট বাঁধে না) সে ধরনের খাবার খেতে হবে।

এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে, তেল সমৃদ্ধ মাছ, বাদাম ও বীজ। অলিভ, রেপসিড, সানফ্লাওয়ার, কর্ন এবং ওয়ালনাট তেল দিয়ে রান্নার বিষয়ে তারা জোর দিয়েছেন।

দুধের বেলায় স্কিমড বা সেমি-স্কিমড (দুধ থেকে চর্বি সরিয়ে নেওয়া) দুধ খেতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে খাবারে যাতে বাইরে থেকে চিনি মেশানো না থাকে। লাল মাংসের বদলে খেতে হবে মুরগির মাংস। মুরগির চামড়া তুলে ফেলে দিন। গরুর মাংস খেলে তার উপর থেকে চর্বি ফেলে দিয়ে রান্না করতে হবে।

সপ্তাহে অন্তত একদিন এমন মাছ খেতে হবে যাতে প্রচুর তেল আছে।
ক্রিস্প ও বিস্কিটের বদলে নানা ধরনের বাদাম ও বীজ খেতে পারেন।

৩. লবণকে বিদায় জানান

লবণ বেশি খেলে শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যায়। এর ফলে বৃদ্ধি পায় হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও।

ব্রিটেনে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হয় যে এনএইচএস থেকে তাদের পরামর্শ হলো দিনে সর্বোচ্চ ৬ গ্রাম (এক চা চামচের পরিমাণ) লবণ খাওয়া যেতে পারে।

চিনি ও লবন পরিহার করুন।

তারা বলছে, লবণ কম-বেশি খাওয়া একটি অভ্যাসের ব্যাপার। লবণ যতো কম খাওয়া হবে তার চাহিদাও ততো কমে যাবে। 
এই অভ্যাস বদলাতে মাত্র চার সপ্তাহের মতো সময় লাগে। এই সময় পর দেখা যাবে আপনি যে খাবারের সাথে লবণ খাচ্ছেন না, সেটি আপনি বুঝতেই পারবেন না।

খাদ্য বিশেষজ্ঞ বলছেন, লবণের পরিবর্তে মশলা দিয়ে খাবার প্রস্তুত করলে তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে।

৪. ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খাবেন

যেসব খাবারে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বেশি থাকে সেগুলো আমাদেরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
শুধু তাই নয়, এসব খাবার হৃদরোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়।

ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজ উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে। হৃদরোগের যেসব কারণ আছে সেগুলো ঠেকাতেও এসব খনিজ ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে।

অনেক খাদ্য বিশেষজ্ঞ মনে করেন, স্বাস্থ্যকর ও ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েটের মাধ্যমেই এসব ভিটামিন ও খনিজ পাওয়া সম্ভব।
এসবের জন্যে ট্যাবলেটের উপর নির্ভর করতে হবে না। তবে তার মধ্যে ব্যতিক্রম হচ্ছে ভিটামিন ডি।

কারো শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের অভাব থাকলে যেসব খাবার খাওয়া প্রয়োজন:
প্রতিদিন পাঁচটি ফল বা সবজি খাওয়া। ছোট্ট এক গ্লাস জুস। শিম ও ডাল জাতীয় শস্যও খেতে পারেন। বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবারে থাকে ভিটামিন ই।

মাছ, দুগ্ধজাত খাবার ও হোলগ্রেইনে পাওয়া যায় ভিটামিন বি। কলা, আলু এবং মাছে পটাশিয়াম।
ডাল ও হোলগ্রেইনে ম্যাগনেসিয়াম। দুগ্ধজাত খাবার ও সবুজ পাতার সবজি থেকে পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম।

৫. বেশি মোটা হলে ক্যালরি কমিয়ে দিন

হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেওয়ার জন্য উপরের চারটি ধাপ অনুসরণ করলেই আপনি অনেক দূর অগ্রসর হয়েছেন।

কারণ আপনি যদি চিনি, লবণ, স্যাচুরেটেড চর্বিযুক্ত খাবার কম খান, ভিটামিন ও মিনারেল আছে এরকম খাবার বেশি খান তাহলে আবার মোটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কম।
ওজন যাতে বেড়ে না যায় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
মনে রাখতে হবে মোটা হলে তা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে কোমরে চর্বি জমা হলে।
পুরুষের কোমর যদি ৩৭ ইঞ্চি আর নারীর কোমর ৩১ দশমিক ৫ ইঞ্চির বেশি হয় তাহলে ওজন কমাতে হবে।
ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

আরো যেসব উপায়:

১. প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
২. সপ্তাহে অন্তত আড়াই ঘণ্টা ব্যায়াম করুন।
৩. মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলুন।
৪. ধূমপান ছেড়ে দিন।
হাজার বছর আগেও চিঠি আদানপ্রদানে কবুতরের ব্যবহারের কথা জানা যায় বিশ্বের অনেক অঞ্চলের ইতিহাসে।
কিন্তু খুব বেশিদিন নয়, রাশিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ কবুতর, কাক ও ডলফিন ব্যবহার করতো গুপ্তচর হিসেবে।
সম্প্রতি সিআইএ এই বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে।

কবুতর ছিল সবচাইতে কার্যকর গুপ্তচর।

প্রকাশিত তথ্য দেখা যাচ্ছে গোপন মিশনের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হতো এসব প্রাণীদের। কবুতর স্নায়ু যুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের গোপন স্থাপনার ছবি তুলতে প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। 


কী করতো এই গুপ্তচরেরা? 

সিআইএ কাক পাঠাতো জানালায় গোপন মাইক ফেলে আসার জন্য।
তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হতো ৪০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের কোন বস্তু জানালার ধারে ফেলে আসা বা নিয়ে আসার জন্য। যেসব ভবনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতো সেখানে তাদের পাঠানো হতো।

লেজার তাক করে তাকে কোথায় বস্তুটি ফেলতে হবে সেই টার্গেট বুঝিয়ে দেয়া হতো।
আর ছোট বাতির মাধ্যমে সংকেত দিয়ে তাকে ফিরে আসতে সাহায্য করা হতো।
ডলফিন প্রশিক্ষণ দেয়া হতো পানির নিচের মিশনে বিশেষ করে বন্দরের নিচে ঢোকার জন্য। ডলফিন দিয়ে হামলার চেষ্টাও হয়েছে।

এমনকি পরিযায়ী পাখি দিয়ে এমন গুপ্তচরবৃত্তি করানো যায় কিনা সেই চিন্তাও ছিল। কুকুরের মস্তিষ্কে বৈদ্যুতিক তরঙ্গ দিয়ে দুর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিনা সেই গবেষণাও হয়েছে।

ষাটের দশকের শেষের দিকে সিআইএ এসব গোয়েন্দা মিশনে প্রাণী পাঠানোর জন্য ৬ লাখ ডলার পর্যন্ত খরচ করতো।

সবচেয়ে সফল গুপ্তচর কবুতর 


তবে কবুতর ছিল সবচাইতে কার্যকর কারণ তাদের খুব দারুণ একটা ক্ষমতা হল শত মাইল দুরের অপরিচিত কোন যায়গায় ফেলে আসার পরও তারা ঠিকই পথ খুঁজে বাড়ি ফিরে আসে।
যুদ্ধ চলাকালীন তথ্য আদান প্রদানে হাজার বছর ধরে কবুতর ব্যবহৃত হচ্ছে।

যুদ্ধ চলাকালীন তথ্য আদান প্রদানে হাজার বছর ধরে কবুতর ব্যবহৃত হচ্ছে।

প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের সময় গোপন তথ্য সংগ্রহে কবুতর ব্যবহার করা হতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার গোপন কবুতর গোয়েন্দা বাহিনী ছিল। যাকে কিনা বলা হতো "সিক্রেট পিজন সার্ভিস" ।

এই বিশেষ কবুতর গোয়েন্দা বাহিনীর এক হাজারের বেশি কবুতর সফলভাবে বার্তা নিয়ে ফিরে এসেছিলো।
জার্মানদের রাডার স্টেশন ও রকেট ছোড়ার স্থাপনা সম্পর্কে তাদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া গেছে।
৭০ এর দশকে টাকানা নামে একটি অভিযানের অংশ হিসেবে কবুতর দিয়ে ছবি তোলার বিষয়টি চিন্তা করা হয়েছিলো।

সিআইএ সেসময় কবুতর দিয়ে ছবি তোলার পরীক্ষামূলক অভিযান শুরু করে। ৩৫ গ্রাম ওজনের ক্যামেরা তাদের শরীরে ঝুলিয়ে দেয়া হতো।

সেই ক্যামেরাগুলো ছিল স্বয়ংক্রিয়। কবুতরের কাজ ছিল সঠিক যায়গা দিয়ে উড়ে যাওয়া।
সাম্প্রতিক সময় মার্কিন নৌবাহিনী মাইন অপসারণের ডলফিন ব্যবহার করেছে।



সাম্প্রতিক সময় মার্কিন নৌবাহিনী মাইন অপসারণের ডলফিন ব্যবহার করেছে।

সেই ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবিগুলো বেশি পরিষ্কার ছিল।

সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেতরে গোপন স্থাপনায় তাদের কিভাবে নিয়ে যাওয়া হবে সেনিয়েও নানা গবেষণা হয়েছে।
১৯৭৬ সালের একটি নথি অনুযায়ী লেনিনগ্রাদের কাছে রাশিয়ার সবচাইতে শক্তিশালী সাবমেরিন তৈরি করতো এমন একটি বন্দরকে নির্বাচিত করা হয়েছিলো গুপ্তচর কবুতরদের মিশনের জন্য।

কিন্তু এর পর থেকে এই কবুতরেরা কতগুলো সফল মিশনে গেছে এবং তা থেকে কী ধরনের গোপন তথ্য মিলেছে সে সম্পর্কিত নথিপত্র এখনো গোপনই রয়ে গেছে।
তাই এর বেশি কিছু আর জানা যায়নি।
সম্প্রতি একটি ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর প্রোগ্রাম গুগল প্লে স্টোরে থাকা কয়েকটি অ্যাপে ছড়িয়েছে। এসব অ্যাপ আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ইনস্টল করা থাকলে তা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি ছাড়াও অজান্তে মোবাইলের টাকা শেষ করে করে ফেলতে পারে। সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সিএসআইএসের গবেষকেরা এ ধরনের ২৪টি অ্যাপের কথা বলেছেন। তাঁরা পরীক্ষা করে গুগল প্লে স্টোরে থাকা এসব অ্যাপে ‘জোকার’ নামের একটি ক্ষতিকর ম্যালওয়্যারের সন্ধান পেয়েছেন। ইতিমধ্যে এ ম্যালওয়্যারটি প্রায় পাঁচ লাখ ডিভাইসে ছড়িয়েছে।

গবেষকেরা বলেন, জোকার নীরবে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনভর্তি ওয়েবসাইটের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং মোবাইল থেকে এসএমএস, কনটাক্ট লিস্ট ও ডিভাইসের নানা তথ্য হাতিয়ে নেয়।

গত জুন মাসে প্রথম খোঁজ পাওয়া যায় জোকার নামের এ ম্যালওয়্যারটির। যখন এটি কারও স্মার্টফোন বা অন্য ডিভাইসে আক্রমণ করে, তখন এটি এসএমএসের অ্যাকসেস নিতে পারে। এ ম্যালওয়্যার ছড়ানো দুর্বৃত্তরা জোকার ব্যবহার করে স্মার্টফোনের কন্টাক্ট লিস্ট ও ডিভাইসের সব তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। এতে ব্যবহারকারীর প্রাইভেসি বা ব্যক্তিগত গোপন বিষয়গুলো হুমকির মুখে পড়ে যায়। প্রাইভেসি নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ানোর পাশাপাশি জোকার অনেকটাই গোপনে কোনো অ্যাপের সাবসক্রিপশন চালু করে দেয় বা কোনো ওয়েবসাইটের প্রিমিয়াম সেবা বা অ্যাপ কেনাকাটা করতে পারে।

সফটওয়্যার ডেভেলপার অ্যালেক্সেজ কুপারনিস মিডিয়ামে লেখা এক ব্লগ পোস্টে জোকার ম্যালওয়্যারটি বিশ্লেষণ করেছেন। জোকার ম্যালওয়্যারটি বিশ্বের ৩৭টি দেশে আক্রান্ত অ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়েছে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশে জোকার ম্যালওয়্যার আক্রান্ত ডিভাইস রয়েছে।

অ্যাপ্লিকেশনগুলোর নাম জেনে নিন

১. বিচ ক্যামেরা ৪.২
২. মিনি ক্যামেরা ১.০.২
৩. সার্টেন ওয়ালপেপার ১.০২
৪. রেডওয়ার্ড ক্লিন ১.১.৬
৫. এজ ফেস ১.১.২
৬. অল্টার মেসেজ ১.৫
৭. সবি ক্যামেরা ১.০.১
৮. ডিক্লেয়ার মেসেজ ১০.০২
৯. ডিসপ্লে ক্যামেরা ১.০২
১০. র‍্যাপিড ফেস স্ক্যানার ১০.০২
১১. লিফ ফেস স্ক্যানার ১.০.৩
১২. ব্রড পিকচার এডিটিং ১.১.২
১৩. কিউট ক্যামেরা ১.০৪
১৪. ড্যাজল ওয়ালপেপার ১.০. ১১
১৫. স্পার্ক ওয়ালপেপার ১.১. ১১
১৬. ক্লাইমেট এসএমএস ৩.৫
১৭. গ্রেট ভিপিএন ২.০১
১৮. হিউমার ক্যামেরা ১.১.৫
১৯. প্রিন্ট প্ল্যান স্ক্যান ১.০৩
২০. অ্যাডভোকেট ওয়ালপেপার ১.১.৯
২১. রুডি এসএমএস মড ১.১
২২. ইগনাইট ক্লিন ৭.৩
২৩. অ্যান্টিভাইরাস সিকিউরিটি-সিকিউরিটি স্ক্যান, অ্যাপ লক ১.১.২
২৪. কোলাট ফেস স্ক্যানার ১.১.২