অহংকার যেন মানুষের জীবনে বাধার এক বিশাল প্রাচীর স্বরূপ। এ জন্য অনেক সময়েই মানুষ সঠিক চিন্তা করতে অক্ষম হয়। সঠিক ভাবে কথাও বলতে পারে না, ফলে সঠিক কাজ করতে অপারগ হয়। যে মানুষের জীবনে এক বার অহংকার প্রবেশ করে, তাঁর জীবনটাই নষ্ট হয়ে যায়। দুধ অমৃত, কিন্তু দুধের মধ্যে একফোঁটা বিষ পড়ে গেলে দুধে আর গরলে কোনও পার্থক্য নেই। তেমন ভাবেই মানুষের জীবনে অহংকার প্রবেশ করলে, গোটা জীবনটাই ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যায়।
একটু ভেবে দেখুন. ফেরাউনের কাছে কী ছিল না! অর্থ-সম্পদ, বিদ্যা, ক্ষমতা, কিন্তু নিজেকে খোদা ভাবার মূর্খ অহংকারের একটি বিন্দু ফেরাউনের সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছিল। এই অহংকারের কারণেই প্রায়ই মানুষ মানুষকে চিনতে পারে না। কারণ তাঁর চোখের সামনে অহংকারের পর্দা পড়ে থাকে। অহংকারের ফলে মানুষ ভগবানকেও পায় না এবং নিজের জীবনেও সফল হতে পারে না। আল্লাহ মানুষকে অনেক অমূল্য উপহার দিয়েছেন। কিন্তু দূর্ভাগ্য এটাই, আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানানোর পরিবর্তে অভিযোগ জানিয়ে যাই। 


মানুষকে প্রভু জিভ দিয়েছেন, যার দ্বারা মানুষ চাইলেই সকলের মন জয় করতে পারে। সবাই জানে যে জিভ কথা বলার জন্য রয়েছে। তবে কেন আমরা এর দ্বারা মিষ্ট কথা বলি না, যাতে অপর ব্যক্তিও সুখ পান এবং আমাদের নিজেদের আত্মাও শান্তি পায়!
 মানুষের মধ্যে যত ধরনের খারাপ গুণ আছে, তার মধ্যে সব চেয়ে বিষাক্ত গুণ দু’টি হলো অহংকারকটু বচন। যদি কোনও মানুষের মধ্যে নম্রতা ও মিষ্টি কথা বলার কৌশল থাকে, তিনি তা হলে মানুষ কেন স্বয়ং খোদাকেও খুশি করতে সক্ষম হন।
 অহংকার এত সূক্ষ্ণ, যে আমরা তাকে চোখে দেখতে পাই না। যখন সৃষ্টিকর্তাকে আমরা স্মরণে রাখি তখন আমরা অহংকারেরর হাত থেকে বেঁচে থাকি। কিন্তু আমরা আমাদের জীবনের বেশির ভাগ সময় অহংকারের সঙ্গেই কাটাই। সৃষ্টিকর্তাকে খুব কম সময়ের জন্য মনে স্থান দিই। আসুন! অহংকারের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মহান আল্লাহকে আমরা হৃদয়ে স্থাপন করি। যাতে আমাদের জীবন আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
Share To:

Naim Khan

Post A Comment:

0 comments so far,add yours