বজায় রাখুন সঠিক তাপমাত্রা ফ্রিজের ভেতরের তাপমাত্রা ঠিকঠাক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রেগুলেটর সেট করে তাপমাত্রা রাখুন ৩৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট থেকে ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এর ফলে খাদ্যগুণ নষ্ট হবে না। অনেক দিন পর্যন্ত তাজা থাকবে কাঁচা খাবার ও রান্না করা খাবার।

দরজা ঠিকমতো বন্ধ করুন
এই সমস্যাটা খুবই সাধারণ। আমরা ফ্রিজ থেকে কিছু বের করার বা ফ্রিজে কিছু রাখার পরে এর দরজাটা ঠিকমতো বন্ধ হলো কিনা খেয়াল করি না। আবার যখন ফ্রিজ খোলার দরকার হয়, তখন দেখতে পাই আগেরবার দরজা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এর ফলে ফ্রিজ এবং এর ভিতরে রাখা জিনিস, দুটিরই মারাত্মক ক্ষতি হয়। অনেক সময় গ্যাসকেটের সমস্যার জন্যও এটা হয়।

ফ্রিজের দরজায় যে রাবারের ফ্রেমের আস্তরণ থাকে, তাকে বলা হয় গ্যাসকেট। এটাই ফ্রিজের দরজাকে নিশ্ছিদ্রভাবে বন্ধ থাকতে সাহায্য করে। লক্ষ রাখবেন যেন এটা কোনওভাবেই ফ্রিজের দরজা থেকে আলগা না হয়ে যায়। বছরে অন্তত দুইবার পানির সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে পরিষ্কার করুন গ্যাসকেট। প্রয়োজনে পেশাদারদের ডেকে গ্যাসকেট পরিষ্কার করিয়ে নিন। ফ্রিজ পরিষ্কার করুন নিয়মিত

নিয়মিত পরিষ্কার করুন ফ্রিজের ভেতরের অংশ। ফ্রিজ পুরো খালি করে ভিনেগার মেশানো পানি দিয়ে ভালো করে মুছে নিন। সঙ্গে সঙ্গে খাবার রাখবেন না। প্রথমে ডিফ্রস্ট, তারপর পুরোপুরি শুকিয়ে নিয়ে ফ্রিজ আবার ব্যবহার করুন।

ভেতরের মতো যত্ন দরকার বাইরেও। বছরে অন্তত একবার ফ্রিজের পিছনে বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতিতে জমে থাকা ধুলা এবং ঝুল পরিষ্কার করুন। পরিষ্কার করার আগে অবশ্যই ফ্রিজে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেবেন। তারপর ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে ব্যবহার করুন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার। দরকার হলে আগে ফ্রিজের ম্যানুয়ালের নির্দেশিকা পড়ে নিন।

পুরোপুরি ফাঁকা রাখবেন না ফ্রিজ

রেফ্রিজারেটর বেশি ফাঁকা রাখবেন না। কারণ এর ফলে যখনই আপনি এর দরজা খুলবেন, বাইরের গরম বাতাস ভেতরে প্রবেশ করবে বেশি। ফলে ফ্রিজের কর্মদক্ষতা কমে যাবে। তাই দীর্ঘদিন একে সুস্থ রাখতে ভেতরে বেশি জিনিস রাখুন। আর রান্না করা খাবার সবসময় মুখঢাকা পাত্রে রাখুন। তারপরেও যদি ফ্রিজে কটু গন্ধ ছড়ায়, একটি খোলা পাত্রে রেখে দিন কয়েক টুকরো পাতিলেবু। দুর্গন্ধ দূর হবে।
Share To:

Naim Khan

Post A Comment:

0 comments so far,add yours