প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানিয়েছেন, এই খুলিটি একজন পুরুষের, যিনি আদিম যুগের একজন ইউরোপীয় ছিলেন। এই খুলিতে ছিল দু’টি আঘাতের চিহ্ন। মাথার সামনে দু’টি ছোট আঘাত এবং মাথার পিছনে একটি গভীর আঘাত। বিজ্ঞানীরা মাথার সামনের ছোট আঘাত দু’টিকে ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ বলেই মনে করছেন। তবে মাথার পিছনের গভীর আঘাতটি মৃত্যুর আগের, না কি পরে হয়েছে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে তাদের। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, যে ভাবে তার মাথায় আঘাত করা হয়েছে, তার থেকে স্পষ্ট যে, তার শরীরেও আঘাত থাকতে পারে।
বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করে জানতে পারেন যে, ঘটনাটি ঘটেছে প্রায় ৩৩ হাজার বছর আগে। যে সময় প্রস্তর যুগের ইউরোপিয়ানরা বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরির মাধ্যমে নিজেদের উন্নত করছিল।
তাছাড়া বিজ্ঞানীরা আঘাতের মাত্রা অর্থাৎ কিভাবে আঘাত লেগেছিল এবং এই আঘাতে কতটা ক্ষতি হতে পারে তা পরিমাপ করতে একটি সিনথেটিক খুলির মডেল বানিয়েছিলেন। আঘাতটি পরীক্ষা করার জন্য সিনথেটিক খুলিটিতে ব্যাট ও পাথর দিয়ে নানা ভাবে আঘাত করা হয়েছিল। এই পরীক্ষা থেকে বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্তে আসেন, এই ব্যক্তিকে হাতে ধরা কোনো পাথর অথবা কাঠের কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। যে সময় এই ঘটনাটি ঘটে, তখন মধ্য প্রস্তর যুগ থেকে নব্য প্রস্তর যুগে মানুষ প্রবেশ করছিল।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours