'১০০ বলের ক্রিকেট' নামটি ক্রিকেট ভক্তদের কাছে নতুন হলেও, নিয়ম খুবই সহজ - খেলা হবে ১০০ বলের, যে বেশি রান করতে পারবে সেই জিতে যাবে। 

আগামী গ্রীষ্মে অনুষ্ঠিত হবে এই সংস্করণের প্রথম কোন টুর্নামেন্ট, যেখানে থাকবে ৮টি দল, যারা যুক্তরাজ্যের ৭টি শহরের প্রতিনিধিত্ব করবে, প্রতিটি দলের থাকবে নারী ও পুরুষ দল।

১০০ বলের ক্রিকেটে একজন বোলার সর্বোচ্চ করতে পারবেন ২০টি ডেলিভারি। 

বোলিং স্পেল হবে ৫ বা ১০ বলের। 

১০ বলের স্পেলের ক্ষেত্রে মাঝপথে উইকেটের প্রান্ত বদল করতে পারবেন বোলাররা। 

ইনিংসের প্রথম ২৫ ডেলিভারিতে দুজন খেলোয়াড় ৩০ গজের বাইরে থাকতে পারবেন। 

যুগ যুগ ধরেই ক্রিকেট খেলাটিতে সাধারণ মানুষের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তোলার প্রয়াস চলছে। 

যার ফলশ্রুতিতে সাদা পোশাকে পাঁচদিনের টেস্ট ক্রিকেটের পর আসে একদিনের ক্রিকেট, সেটাকেও টেলিভিশনের দর্শকদের কাছে আরো উপভোগ্য করে তোলার জন্য যোগ করা হয় রঙিন পোশাক ও সাদা বল। 

১০০ বলের ক্রিকেট খেলতে রাজি হয়েছেন গেইল, স্মিথ, সাকিবরা

এই ঘটনার দেড় দশক পরেই আসে আরো ছোট আঙ্গিকে ২০ ওভারের ক্রিকেট, যেখানে দুটো দল ২০ ওভার করে খেলবে, প্রথম দিকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে 'সিরিয়াস ক্রিকেট' মনে করা না হলেও ক্রমেই এই ফরম্যাটই ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও ক্রিকেটারদের জন্য অর্থ উপার্জনের উৎস হয়ে উঠেছে। 

যদিও ১০০ বলের টুর্নামেন্টের মূল লক্ষ্য যুক্তরাজ্যে আরো বেশি পরিবারকে মাঠে নিয়ে আসা। 

প্রথম টুর্নামেন্ট:
২০২০ সালের ১৭ই জুলাই থেকে ১৬ই অগাস্ট পর্যন্ত আয়োজিত হবে এই আসরটি। 

যেখানে প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে লড়বে একবার করে। 

এখানে আবার জোড়ায় জোড়ায় দল থাকবে অর্থাৎ দুটি করে দল চার ভাগে ভাগ হবে যারা, হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে দুটো করে ম্যাচ খেলবে। 

লিডস ও ম্যানচেস্টার 

লন্ডনের দুটো দল 

বার্মিংহাম ও নটিংহ্যাম 

সাউদাম্পটন ও কার্ডিফ 

৩২টি লিগ ম্যাচ হবে, যার পরে যে দল প্রথম স্থানে থাকবে তারা সরাসরি ফাইনালে খেলবে। 

দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা দল দুটো একটি ম্যাচ খেলে সেখানে জিতে ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। 

কোচ হিসেবে যারা থাকছেন
এই টুর্নামেন্টের কোচ হিসেবে বিশ্বের নামী-দামী কোচরাই থাকছেন, যারা নব্বইয়ের দশকে বা চলতি শতকের শুরুর দশকে ক্রিকেট মাঠ দাপিয়েছেন। 

কার্ডিফের কোচ হিসেবে থাকছেন গ্যারি কার্স্টেন, যিনি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ক্রিকেটে খেলেছেন এবং ভারতের কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছেন ২০১১ সালে। 

ড্যারেন লেম্যান, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ লিডসের কোচের দায়িত্ব পালন করবেন এই আসরে। 

শেন ওয়ার্নের অধীনে থাকবে লন্ডনের একটি দল, যার ভেন্যু লডর্স। 

লন্ডনের অপর ক্লাবটির ভেন্যু দ্য ওভাল, এই দলটির কোচ টম মুডি, আরেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ও কোচ। 

সাইমন ক্যাটিচের অধীনে খেলবে ম্যানচেস্টার। 
ভারতের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের বিখ্যাত দল চেন্নাই সুপার কিংসের সফল কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং। 

মাহেলা জয়াবর্ধনে সাউদাম্পটনের কোচ হিসেবে থাকবেন। 

খেলোয়াড়রা কে কোন দলে?
কে কোন দলে খেলবে সেটা এখনো ঠিক হয়নি, ৩রা অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুই স্তরের ক্রিকেটার নির্বাচনের প্রথম ধাপ আয়োজিত হবে। 

যেখানে ইংল্যান্ডের লাল বলে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ তিন জন ও অন্তত একজন নেয়া যাবে। 

যেসব ক্রিকেটারকে নির্বাচিত করা হবে না তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার এলাকার দলে জায়গা পাবেন। 

ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের সীমিত সংখ্যার কারণে তারা তিনটি গ্রুপ পর্বের ম্যাচ ও ফাইনালস ডে তে খেলবে। 

তবে আকর্ষণীয় ও মূল ড্রাফট হবে ২০শে অক্টোবর, যেখানে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড তৈরি করার প্রক্রিয়া থাকবে। 

ইতোমধ্যে ক্রিস গেইল, ইয়ন মরগান ও স্টিভ স্মিথের মতো ক্রিকেটাররা এই টুর্নামেন্টে খেলার কথা জানিয়েছেন। 

ক্রিকেটারদের সাতটি বেতন স্তর নির্ধারণ করা হয়েছে: ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার, ১ লাখ ডলার, ৭৫ হাজার ডলার, ৬০ হাজার ডলার, ৫০ হাজার ডলার, ৪০ হাজার ডলার ও ৩০ হাজার ডলার। এছাড়া অধিনায়ক বাড়তি ১০ হাজার ডলার পাবেন। 

সাকিব আল হাসান একমাত্র বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে এই নিলামে আছেন। 
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে যাওয়া অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন শহীদ আফ্রিদি। 

বাবর আজম, কুইন্টন ডি কক, ফ্যাফ ডু প্লেসি, ডেভিড ওয়ার্নাররাও আছেন তালিকায়
Share To:

Naim Khan

Post A Comment:

0 comments so far,add yours