গরমে মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
গরম বলতে যা তা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ফলে মানুষ নিত্যদিন নানা মানসিক ও শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। এর মধ্যে মাথাব্যথা সাধারণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন কারণে এ মাথাব্যথা হতে পারে। স্ট্রেস, ভয়, শারীরিক কোনো সমস্যা, বিষষ্নতা, ওষুধ সেবন, অ্যালকোহল পান, কম ঘুম, পরীক্ষার চাপের কারণেও মাথা ব্যথা হয়। তবে গরমকালে প্রায় প্রত্যেকেই এ সমস্যায় ভোগেন। তাই কিছু নিয়ম মেনে চললে সহজেই মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।
পর্যাপ্ত পানি পান : গরমের সময় ঘামের সাথে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ তরল পদার্থ বেরিয়ে যায়। এর ফলে আমাদের শরীর হয়ে পড়ে পানিশূন্য। ফলে দেখা দেয় নানা রকম সমস্যা। মাথা ব্যথা, প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যাওয়া, দুর্বলতাসহ আরও অনেক সমস্যা। এমনকি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে শরীরও ক্লান্ত হয়ে পরে। তখনও এ সমস্যাগুলো আরও প্রকট রূপে দেখা দেয়। এজন্যই গরমের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। তবে এক্ষেত্রে একজন প্রাপ্ত বয়স্কের প্রতিদিন অন্তত ৩ লিটার ( ১৩ গ্লাস ) পানি পান করা উচিত।
রোদ থেকে সতর্কতা : গরমের সময় যারা বাইরে চলাফেরা করেন তাদের অবশ্যই ক্যাপ, সানগ্লাস, ছাতা ব্যবহার করা উচিত। কারণ এ সময় রোদ বা সূর্যের আলো সরাসরি মাথার উপরে পড়ার কারণেও মাথা ব্যথা হতে পারে।
অতিরিক্ত গরমে ধূমপান : বাইরে প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও অনেককেই ধূমপান করতে দেখা যায়। এমনিতেই এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তার উপর গরমের কারণে শরীর পানি শূন্য হয়ে পড়লে তখন এটি শরীরের জন্য মারাত্নক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তখন খুব বেশি মাথা ব্যথা হতে পারে। তাই গরমের সময় ধূমপান না করাই ভাল। আর যদি ধূমপান করতেই হয় তাহলে ধূমপানের আগে অবশ্যই কিছুটা পানি পান করুন। সেইসাথে একটু বিশ্রাম নিন।
ভারী কাজ করার সাবধানতা: গরমকালে শরীরের পানি শূন্যতার কারণে আমরা অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে যায়। তাই যেকোনো ভারি কাজ করার সময় সব সময় পানি রাখতে হবে। তাহলে বেশি সমস্যায় পড়তে হবেনা।
কোমল পানিও বা কোল্ড ড্রিঙ্কস: গরমের সময় তৃষ্ণার্ত হয়ে আমরা প্রায়ই কোল্ড ড্রিঙ্কস পান করি।এটা অবশ্যই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কারণ প্রায় সব ধরনের কোল্ড ড্রিঙ্কস এর মধ্যে অতিরিক্ত চিনি ও ক্ষতিকারক কেমিক্যাল মেশানো থাকে। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর।এর ফলেই অনেক সময় দেখা দিতে পারে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা। তাই এ সময়ে কোমল পানি পান করা একেবারেই নিরাপদ নয়।
মাথা ব্যথা দূর করার কিছু সহজ উপায়
ছোট বড় প্রায় সকলেই নানা কারণে বিভিন্ন সময় মাথাব্যথায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। সাধারণত ঘুমের ঘাটতি, ক্লান্তি, দুশ্চিন্তা, মাইগ্রেন ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে মাথাব্যথা। অনেকে এই ব্যথা দূর করার জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন, অনেকে আবার ব্যথানাশক ঔষধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু খুব সহজে কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে এই মাথাব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন জানি কীভাবে মুক্ত হবেন এই ব্যথা থেকে।
১. আদা
আদার অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান মাথা ব্যথা কমাতে ভূমিকা রাখে। আদার উপকারী উপাদান সমূহ রক্ত প্রবাহ ঠিক রেখে মাথাব্যথায় দ্রুত আরাম দেয়। মাথাব্যথা শুরুর সাথে সাথে আদা চা খেতে পারেন, ব্যথা কমে যাবে।
২. পানি পান করুন
একচুমুক পানি পানও আপনাকে এক মিনিটের মধ্যে মাথা ব্যথা সারাতে কাজে দেবে। যখন আমাদের শরীর আর্দ্র হতে থাকে তখন ব্যথা ধীরে ধীরে কমে।
একচুমুক পানি পানও আপনাকে এক মিনিটের মধ্যে মাথা ব্যথা সারাতে কাজে দেবে। যখন আমাদের শরীর আর্দ্র হতে থাকে তখন ব্যথা ধীরে ধীরে কমে।
৩. লেবু
ঝটপট মাথাব্যথা সারিয়ে তুলতে লেবুর তুলনা হয়না। ব্যথা শুরু হওয়ার সাথে সাথে আপনি যদি গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে খান তাহলে মাথাব্যথা দ্রুত কমে আসবে। আপনি যদি লেবু পেস্ট করে কপালে লাগান তাতেও মাথা ব্যথা কমবে আর সাথে খেতে পারেন এক কাপ লেবু চা।
ঝটপট মাথাব্যথা সারিয়ে তুলতে লেবুর তুলনা হয়না। ব্যথা শুরু হওয়ার সাথে সাথে আপনি যদি গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে খান তাহলে মাথাব্যথা দ্রুত কমে আসবে। আপনি যদি লেবু পেস্ট করে কপালে লাগান তাতেও মাথা ব্যথা কমবে আর সাথে খেতে পারেন এক কাপ লেবু চা।
৪. লবঙ্গ
কিছু লবঙ্গ তাওয়ার মধ্যে গরম করে নিন। গরম লবঙ্গ একটি রুমালের মধ্যে নিন। এক মিনিট এর ঘ্রাণ নিন এবং দেখুন মাথা ব্যথা চলে গেছে।
৫. মিষ্টিকুমড়োর বিচি খান
মিষ্টি কুমড়োর বিচি ভেজে খেলে মাথাব্যথার সমস্যা থেকে দুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কারণ মিষ্টি কুমড়োর বিচিতে হয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট যা মাথাব্যথা উপশমে কাজ করে থাকে।
৬. কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাস রাখুন
অনেক সময় আবহাওয়া, ধুলোবালির কারণে মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায়, আবার অনেক সময় মানসিক চাপের কারণেও মাথা ব্যথা শুরু হয়। এই সকল ধরনের ব্যথা কমানোর জন্য একমুঠো বা দুইমুঠো কাঠবাদাম চিবিয়ে খান। কাঠবাদামে রয়েছে ‘স্যালিসিন’ যা ম্যথাব্যথা উপশমে কাজ করে রবং দ্রুত ব্যথা নিরাময় করে।
কিছু লবঙ্গ তাওয়ার মধ্যে গরম করে নিন। গরম লবঙ্গ একটি রুমালের মধ্যে নিন। এক মিনিট এর ঘ্রাণ নিন এবং দেখুন মাথা ব্যথা চলে গেছে।
৫. মিষ্টিকুমড়োর বিচি খান
মিষ্টি কুমড়োর বিচি ভেজে খেলে মাথাব্যথার সমস্যা থেকে দুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কারণ মিষ্টি কুমড়োর বিচিতে হয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট যা মাথাব্যথা উপশমে কাজ করে থাকে।
৬. কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাস রাখুন
অনেক সময় আবহাওয়া, ধুলোবালির কারণে মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায়, আবার অনেক সময় মানসিক চাপের কারণেও মাথা ব্যথা শুরু হয়। এই সকল ধরনের ব্যথা কমানোর জন্য একমুঠো বা দুইমুঠো কাঠবাদাম চিবিয়ে খান। কাঠবাদামে রয়েছে ‘স্যালিসিন’ যা ম্যথাব্যথা উপশমে কাজ করে রবং দ্রুত ব্যথা নিরাময় করে।
৭. পান পাতা
পান পাতার প্রাকৃতিক মাথা ঠাণ্ডাকারী উপাদান মুহূর্তেই মাথা ব্যথা সারিয়ে তুলতে কার্যকারী অবদান রাখে। মাথাব্যথা সারাতে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে তাজা দেখে তিন থেকে চারটি পান পাতা নিয়ে মোলায়েম করে ছেঁচে কপালে লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টার মধ্যে এটি আপনাকে মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে।
পান পাতার প্রাকৃতিক মাথা ঠাণ্ডাকারী উপাদান মুহূর্তেই মাথা ব্যথা সারিয়ে তুলতে কার্যকারী অবদান রাখে। মাথাব্যথা সারাতে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে তাজা দেখে তিন থেকে চারটি পান পাতা নিয়ে মোলায়েম করে ছেঁচে কপালে লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টার মধ্যে এটি আপনাকে মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে।
৮. লবণযুক্ত আপেল
ব্যথা যদি বেশি হয় তবে এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি চেষ্টা করে দেখতে পারেন।এক টুকরো আপেল চিবুতে পারেন তবে এতে একটু লবণ ছিটিয়ে নেবেন। এটা দ্রুত ব্যথা মুক্ত করতে সাহায্য করবে।
ব্যথা যদি বেশি হয় তবে এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি চেষ্টা করে দেখতে পারেন।এক টুকরো আপেল চিবুতে পারেন তবে এতে একটু লবণ ছিটিয়ে নেবেন। এটা দ্রুত ব্যথা মুক্ত করতে সাহায্য করবে।
৯. হাসি খুশি মন
অনেকেই হয় তো বিশ্বাস করবেন না, তবে মনকে যদি ইতিবাচক এবং ভালো বিষয়ের দিকে নিয়ে যান তবে মাথা ব্যথা ৬০ সেকেন্ডেই দূর হবে। চেষ্টা করেই দেখুন না!
অনেকেই হয় তো বিশ্বাস করবেন না, তবে মনকে যদি ইতিবাচক এবং ভালো বিষয়ের দিকে নিয়ে যান তবে মাথা ব্যথা ৬০ সেকেন্ডেই দূর হবে। চেষ্টা করেই দেখুন না!
১০. পেপারমিন্ট
মাথাব্যথা সারিয়ে তোলার আরো একটি কার্যকরী উপায় হলো কপালে পেপারমিন্ট মালিশ করা আর ঘাড়ে সামান্য পেপারমিণ্ট মালিশ করা। এরূপে করেই দেখুন মাথাব্যথা একদম সেরে যাবে।
মাথাব্যথা সারিয়ে তোলার আরো একটি কার্যকরী উপায় হলো কপালে পেপারমিন্ট মালিশ করা আর ঘাড়ে সামান্য পেপারমিণ্ট মালিশ করা। এরূপে করেই দেখুন মাথাব্যথা একদম সেরে যাবে।
১১. আইসব্যাগ
বাজারে নানা আকারের অনেক আইসব্যাগ কিনতে পাওয়া যায়। একটি আইসব্যাগে বরফ ভরে নিয়ে তা মাথার ওপরে অর্থাৎ ঠিক মাথার তালুতে খানিকক্ষণ ধরে রাখুন। দেখবেন মাথা ব্যথা উপশম হচ্ছে। তবে যাদের হুটহাট ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার প্রবণতা আছে তারা এই পদ্ধতি পালন করাই ভালো।
বাজারে নানা আকারের অনেক আইসব্যাগ কিনতে পাওয়া যায়। একটি আইসব্যাগে বরফ ভরে নিয়ে তা মাথার ওপরে অর্থাৎ ঠিক মাথার তালুতে খানিকক্ষণ ধরে রাখুন। দেখবেন মাথা ব্যথা উপশম হচ্ছে। তবে যাদের হুটহাট ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার প্রবণতা আছে তারা এই পদ্ধতি পালন করাই ভালো।
সূত্র : বিভিন্ন ব্লগ থেকে সংগৃহিত ও সম্পাদিত
Post A Comment:
0 comments so far,add yours