কিছুদিন আগেই মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের ক্যাপ্টেন মার্ভেল চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, ক্যাপ্টেন মার্ভেল কিন্তু মার্ভেল কমিকের একার সৃষ্টি নয়। এর আগেই ডিসি কমিক তৈরি করেছিল তাদের কার্টুন চরিত্র ‘ক্যাপ্টেন মার্ভেল’। শিল্পী সি সি বেক ও লেখক বিল পার্কারের তৈরি এই চরিত্রের সৃষ্টি হয় ১৯৩৯ সালে, ডিসির হুইজ কমিকের দ্বিতীয় ভলিউমে। কিন্তু ষাটের দশকে মার্ভেল কমিক ‘ক্যাপ্টেন মার্ভেল’ নিয়ে আসে। সঙ্গে সঙ্গে এর স্বত্বও নিজেরাই নিয়ে নেয়। ফলে স্বত্ব নেওয়ার দিক থেকে পিছিয়ে পড়ে ডিসি। নিরুপায় ডিসি তখন আইনগত কারণেই তাদের ‘ক্যাপ্টেন মার্ভেল’–এর নাম বদলে রাখে ‘শাজাম’। হয়তো আপনি শোনেননি শাজাম সম্পর্কে। তবে একটা সময় সুপারম্যান আর ব্যাটম্যানকে নিয়মিত টক্কর দিত এই কমিক চরিত্র! অবশেষে শাজাম মুক্তি পেয়েছে বড় পর্দায়।
অনেক দিন ধরে মার্ভেলের সঙ্গে দৌড়ে পিছিয়ে গিয়ে অবশেষে অ্যাকুয়াম্যান, ওয়ান্ডার ওম্যান দিয়ে একটু একটু করে টক্কর দিতে শুরু করেছে ডিসি। মার্ভেল শিবিরে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে খানিকটা সফল হওয়ায় এবার মার্ভেলের ‘ডেডপুল’ চরিত্রের মতোই রসবোধে ভরা শাজামকে নিয়ে এসেছে সবার সামনে।
নামেও আছে অর্থ!
‘শাজাম’ কিন্তু আর দশটা সুপারহিরোর মতো হাতে গোনা দু–একটা অতিমানবীয় ক্ষমতার অধিকারীই নয়। শাজামে জুড়ে আছে ছয়টি শক্তি। সলোমন, হারকিউলিস, অ্যাটলাস, জিউস, অ্যাকিলিস আর মারকিউরি—অমর এসব পৌরাণিক দেবতার শক্তি নিয়ে ১৫ বছরের এক কিশোর থেকে সুপারহিরোতে পরিণত হয়েছে শাজাম।
শাজাম বনাম সুপারম্যান
ব্যাটম্যান আর সুপারম্যানকে পর্দায় মুখোমুখি হতে দেখা গেছে ডিসির আগের ছবিগুলোয়। তবে শুধু এই দুজন নয়, শাজাম আর সুপারম্যানও কমিক বইয়ের এক গল্পে হাতাহাতির পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। সেখানে অবশ্য দুই পক্ষই সমতা রেখে জয় পায়। শুধু তা–ই নয়, ওয়ান্ডার ওম্যানের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে পুরো একটা বিশ্বকে ধ্বংস করে দিয়েছিল শাজাম। তাই ডিসি ভক্তরা আশায় বুক বাঁধতেই পারেন। ধারণা করা হচ্ছে, পরবর্তী জাস্টিস লিগে ওয়ান্ডার ওম্যান, অ্যাকুয়াম্যান, ফ্ল্যাশের সঙ্গে এবার শাজামকেও দেখা যাবে। সেটা আদৌ হচ্ছে কি না, তা জানার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে অবশ্য!

দ্য টেলিগ্রাফ, আইএমডিবি, স্ক্রিনর্যান্ট অবলম্বনে
Share To:

Naim Khan

Post A Comment:

0 comments so far,add yours