চিরতার স্বাদ তেতো হলেও এই ফলটির রয়েছে নানান গুণ। চিরতার পাতলা ডালপালা ধুয়ে পরিষ্কার করে গ্লাস বা বাটিতে পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে ওই পানি খেতে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

ইউনানী চিকিৎসা অনুযায়ী চিরতা হৃৎপিণ্ড ও যকৃতের সবলকারক, চোখের জ্যোতিবর্ধক ও জ্বর রোগে বিশেষ উপকারী এই চিরতা। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে চিরতার উপকারিতা ও গুণাগুণ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হল- 

১। শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
২। নিয়মিত তিতা খাবার খেলে অসুখ হওয়ার প্রবণতা কম থাকে। চিরতা এর মধ্যে অন্যতম।
৩। চিরতা খেলে যেকোনো কাটা, ছেঁড়া, ক্ষতস্থান দ্রুত শুকায়।
৪। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য চিরতা ভীষণ জরুরি পথ্য। চিরতার রস দ্রুত রক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে দেয়।
৫। উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল, উচ্চরক্তচাপ, অতি ওজনবিশিষ্ট ব্যক্তির জন্যও চিরতা দরকারি।
৬। টাইফয়েড জ্বর হওয়ার পর আবারও অনেকের প্যারাটাইফয়েড জ্বর হয়। তাই টাইফয়েড জ্বরের পরে চিরতার রস খেলে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়।
৭। চিরতার রস কৃমিনাশক।
৮। তারুণ্য ধরে রাখতেও চিরতার গুরুত্ব অপরিসীম।
৯। শরীরের ঝিমুনিভাব, জ্বরজ্বর লাগা দূর করে চিরতার রস।
১০। নিয়মিত তিতা বা চিরতার রস খেলে ফুড পয়জনিং হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
১১। চিরতা রক্ত পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে।
১২। যাদের ডায়াবেটিস নেই কিন্তু রক্তে চিনির পরিমাণ সবসময় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে, তাদের জন্য চিরতা গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।
Share To:

Naim Khan

Post A Comment:

0 comments so far,add yours